1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফরাসি ওপেন

৬ জুন ২০১২

শুক্রবার সেই সেমিফাইনাল৷ কিন্তু তার আগে মঙ্গলবারেই টেনিসের এই দুই মহারথী প্রমাণ করেছেন, মহাকাব্যের নায়ক হতে গেলে সবচেয়ে আগে যে বস্তুটির প্রয়োজন, সেটি হল মনোবল৷

Roger Federer of Switzerland waves after winning his match against Tobias Kamke of Germany during the French Open tennis tournament at the Roland Garros stadium in Paris May 28, 2012. REUTERS/Benoit Tessier (FRANCE - Tags: SPORT TENNIS)
রজার ফেডারারছবি: Reuters

মঙ্গলবারের কোয়ার্টার ফাইনালে দু'সেটে পিছিয়ে থেকেও হুয়ান মার্টিন দেল পোর্তো'কে হারান রজার ফেডারার৷ ওদিকে নোভাক জোকোভিচ যেন এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন, এই ভেবে ঠিক অনুরূপ পদ্ধতিতে জো-উইলফ্রিড সঙ্গা'কে হারান পাঁচ সেটে৷ সেজন্য জোকোভিচ'কে পাঁচ-পাঁচটি ম্যাচবল ঠেকাতে হয়েছে৷ ওদিকে ফেডারার প্রথম দুটি সেট হারলেও, অন্তত ম্যাচপয়েন্টের মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে৷

ইউরো ২০১২ শুরু হতে চলেছে, এমন সময়ে টেনিসকে মহাকাব্য-মহারথীদের পর্যায়ে ফেলাটাকেই ধৃষ্টতা মনে করতে পারেন অনেকে৷ কিন্তু ফুটবল হল টিম গেম৷ টেনিসে ঐ একক গ্ল্যাডিয়েটরের ব্যাপারটা আছে৷ এবং সেই কারণেই একজন টেনিস প্লেয়ারের কাছে সার্ভ কি ভলি কি ব্যাকহ্যান্ড কি লংলাইন, যে অস্ত্রই থাক না কেন, তার আসল অস্ত্র হল তার মনোবল৷ জোকোভিচের ভাষায়: ‘‘টেনিস বড়ই মানসিক ব্যাপার৷ আবেগ-অনুভূতির একটা বড় ভূমিকা থাকে৷''

১৫, ৩০, ৪০, গেম - এক অদ্ভুত ট্যাক্সির মিটারের মতো পয়েন্ট গোণা হয় টেনিসে৷ এবং বারংবার একটি খেলা কখনো একজনের হাতের মুঠোয়, কিংবা অন্যজনের হাতের মুঠো থেকে ছিটকে যেতে পারে৷ যেন খেলোয়াড়রা নয়, বলটা নয়, খেলাটাই নেটে আটকে থেকে কখনো এ'দিকে, কখনো ওদিকে গড়িয়ে পড়তে পারে৷ সেটাই হল টেনিসের নিজস্ব ভারসাম্য, এবং নাটকীয়তা৷

জকোভিচ ও ফেডারারছবি: AP

মঙ্গলবারের ম্যাচ সম্পর্কে জোকোভিচ বলেছেন, তিনি হারার মুখে থেকেও কেন জিতলেন, তার কোনো যুক্তিসিদ্ধ ব্যাখ্যা নেই৷ কাজেই তিনি বলতে পারেন না, ‘‘আমি জানি, ম্যাচপয়েন্টের মুখোমুখি হয়ে কীভাবে খেলতে হয়৷'' সাধু স্বীকারোক্তি৷ তবে উচ্চপর্যায়ের টেনিস খেলার অভিজ্ঞতা কিছুটা সাহায্য করে বৈকি, বলেছেন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান৷

হয়তো জোকোভিচের অবচেতনই তাঁকে শেষ মুহূর্তে সচেতন করে দিয়েছে, ‘ওহে, তুমি কি বিস্মৃত হইয়াছ যে, তুমি রড লেভার 'এর ৪৩ বছর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় নশ্বর ব্যক্তি হিসেবে আবার সেই রেকর্ড সৃষ্টি করতে চলিয়াছ, একাধারে, একযোগে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের অধিকারী হওয়ার রেকর্ড?'

জোকোভিচ উইম্বলডন জেতেন গত জুলাই মাসে, ইউএস ওপেন জেতেন গত সেপ্টেম্বরে এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন গত জানুয়ারিতে৷ ওদিকে ফেডারার এবার ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে পারলে, সেটা হবে তাঁর সপ্তদশ গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব - আবার একটি বিশ্বরেকর্ড এবং চিরকালের রেকর্ড৷ দু'জনে এযাবৎ ২৬ বার সম্মুখসমরে উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ জোকোভিচ বনাম ফেডারার'এর স্কোর আপাতত ১৪-১১, তবে গত সেপ্টেম্বরে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে একটি পাঁচ সেটের ম্যারাথনে ফেডারার'কে হারান জোকোভিচ৷

শুক্রবার যে'ই জিতুন না কেন, রবিবারের ফাইনালে যার সঙ্গে মোলাকাত হবে, তিনি সম্ভবত রাফায়েল নাদাল৷ নাদালও এক রেকর্ডের সন্ধানে, সপ্তম বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জেতার রেকর্ড৷ জোকোভিচ কিংবা ফেডারার, রোলঁ গারো'তে দু'জনের কেউই এ'যাবৎ নাদাল'কে হারাতে পারেননি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এএফপি, এপি, রয়টার্স)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ