জোট গঠনে সময় নষ্ট করতে চায় না সিডিইউ/সিএসইউ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জার্মানিতে ২৮ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ এক নম্বর দল হয়েছে। কিন্তু অতি ডানপন্থি এএফডি তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে পেরেছে। তারা পেয়েছে ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর এটাও স্পষ্ট হয়ে গেছে, সিডিইউ/সিএসইউ-কে সরকার গঠনের জন্য অন্য দলের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে। সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস জানিয়েছেন, তিনি এএফডির সঙ্গে জোট করবেন না। সেক্ষেত্রে তার সামনে বিকল্প বেশি নেই। মূলত ওলাৎ শলৎসের এসপিডি ও রবার্ট হাবেকের গ্রিনের সঙ্গেই তাকে হাত মেলাতে হবে।
এএফডি নেত্রী অ্যালিস ভাইডেল রোববার বলেছেন, ''ওরা আমাদের ভোটপ্রাপ্তির হার অর্ধেক করতে চেয়েছিল। আমরা দ্বিগুণ বেশি ভোট পেয়েছি। এএফডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করলেই সিডিইউ/সিএসইউ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারবে। তারা অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে পারবে।''
তার জবাবে ম্যার্ৎস বলেছেন, ''আপনারা নিজের হাত যত খুশি ধরতে পারেন।'' সিডিইউ/সিএসইউ যে এএফডির হাত ধরবে না, সেটা এইভাবেই আবার জানিয়ে দিয়েছেন ম্যার্ৎস।
ওলাফ শলৎসের সরকার বিদায় নিচ্ছে এবং ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের নেতৃত্বে নতুন সরকার হতে চলেছে। কিন্তু তাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকবে। অর্থনৈতিক সংকট থেকে জার্মানিকে বের করে নিয়ে আসা, অভিবাসী-সংকট, অতি দক্ষিণপন্থিদের প্রতি ভোটদাতাদের ঝোঁক এবং ইউরোপে জার্মানির পরিবর্তনশীল ভূমিকা, ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সবই জার্মানির নতুন সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
সময় নষ্ট করতে চায় না সিডিইউ
ডিডাব্লিউর প্রধান রাজনৈতিক সম্পাদক মাইকেলা কুফনারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সিডিইউ নেতা ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান ডেভিড ম্যাকআলিস্টার বলেছেন, ''বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের সামনে নষ্ট করার মতো কোনো সময় নেই।''
কীভাবে স্থায়ী সরকার গঠন করা সম্ভব? ডেভিডের জবাব, ''আমরা জোট নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি মাত্র। আমরা এসপিডি-র সঙ্গে কথা বলবো। আমাদের নতুন সরকার গঠন করতে হবে, মানুষের মনে জার্মানি সম্পর্কে, গণতন্ত্র সম্পর্কে আস্থা ফেরাতে হবে।''
তিনি বলেছেন, ''সিডিইউ/সিএসইউ এবং এসপিডি যদি একজোট হয়ে দেশের সমস্যার সমাধানে মন দিতে হবে এবং দেশশাসন করার বিষয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। আমরা যদি সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে অন্যরা আর হালে পানি পাবে না। তবে আমাদের কাজ করে দেখাতে হবে।''
তার বক্তব্য, ''জার্মানি হলো ইইউ-র সবচেয়ে বড় দেশ, সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি, ফ্রান্স ও পোল্যান্ডের সঙ্গে একযোগে আমরা ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারব।''
তিনি জানিয়েছেন, ''নতুন সরকার গঠন করতে কতটা সময় লাগবে তা জানি না। কিন্তু একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করতে চাই, আমাদের কাছে সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই। তারজন্য যত তাড়াতাড়ি নতুন সরকার গঠিত হবে, তত তাড়াতাড়ি ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস নতুন চ্যান্সেলর হবেন। তার ফলে শুধু জার্মানির নয়, পুরো ইউরোপের ভালো হবে।''
স্যাবিনা কিনকার্টজ/নিনা ফাখআরকয়সা/জিএইচ