মহামারি মোকাবিলায় চিকিৎসা খাতের নানা সংকটের পাশাপাশি সবচেয়ে প্রকট হয়ে উঠেছে নিজস্ব নীতির সংকট৷ অন্য অনেক দেশের চেয়ে নানা ফ্যাকটর আলাদা হলেও নীতিগুলো নেয়া হচ্ছে উন্নত দেশগুলো থেকে অনেকটা কপি-পেস্ট এর মতো করে৷
বিজ্ঞাপন
এর ফলে স্বভাবতই কার্যকর না করতে পারায় তা পড়ছে মুখ থুবড়ে৷
একদিকে ভ্য়াকসিন ও ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে, আবার কিভাবে সামাজিকভাবে সংক্রমণ কমানো যায় সে চেষ্টাও চলছে৷ এই সব বিষয় সমন্বয় করার চেষ্টা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ অন্যদিকে প্রতিটি দেশ নিজেদের বিভিন্ন ফ্যাকটর বিবেচনায় নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে৷
প্রায় সব দেশই সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য শুরুতেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, বা কড়াকড়ি আরোপ করেছে৷ ধীরে ধীরে সংক্রমণের মাত্রা কমার পর শিথিল করা হচ্ছে বিধিনিষেধ৷ চীন বা ইটালি, সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশগুলোর গ্রহণ করা নীতির দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে সংক্রমণ ছড়ানোর শুরুতেই হটস্পট ঘোষণা করে তা ঠেকানোর প্রয়াস ছিল৷ চীন উহান ও অন্য় কয়েকটি শহরকে পুরো লকডাউন করে ক্ষেত্রে এতে সাফল্য পেয়েছে, ইটালি দেরি করায় তা পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে৷ ফলে একসময় পুরো দেশকেই নিতে হয় লকডাউনের আওতায়৷
আবার জার্মানির ক্ষেত্রে শতভাগ লকডাউন না দিলেও পুরো দেশে কন্টাক্ট ব্য়ান ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়৷ সংক্রমণ কমার পর ধীরে ধীরে শিথিল করা হয় নিষেধাজ্ঞা৷ কিন্তু কোনো অঞ্চলে সংক্রমণ বাড়লেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে জোনভিত্তিক লকডাউনের৷
বাংলাদেশে শুরুতে উহান থেকে ফিরিয়ে আনা শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে রাখা হলেও পরবর্তীতে সে কড়াকড়ি আরোপে ব্যর্থ হয় সরকার৷ এরপর যখন নারায়ণগঞ্জের মতো হটস্পট তৈরি হয়, তখন স্বয়ং মেয়র কারফিউ ঘোষণার অনুরোধ করলেও তা মানা হয়নি৷ নারায়ণগঞ্জের মতো হটস্পটগুলোতে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি ও সেবা নিশ্চিত করা গেলে এত দ্রুত তা সারাদেশে নাও ছড়াতে পারতো৷
তা না করে বরং দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি৷ স্কুল-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ রওয়ানা হয় গ্রামের বাড়িতে৷ সচেতনতা সবার মধ্যে সমান না হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ ফলে যাকে ছুটিকে বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে ‘ছুটি' হিসেবে নেওয়াটাই স্বাভাবিক৷ হয়েছেও তাই৷ ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে পরে৷ ফলে নারায়ণগঞ্জের পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান পটুয়াখালীতে গিয়ে ৷
মাঠে কাজ করা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও জানতেন না তাদের প্রতি সুনির্দিষ্ট নির্দেশটা কী! ফলে কোথাও মানুষকে পুলিশ পিটিয়েছে, কোথাও দোকানে তালা দেয়া হয়েছে, কোথাও বৃদ্ধদের কানে ধরানো হয়েছে৷ একদিকে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে গার্মেন্টস খোলা-না খোলা নিয়ে অস্পষ্টতা৷ এই ‘সাধারণ ছুটি' আসলে কী, সেটা নিয়েই তৈরি হয় জটিলতা৷
অন্য সব দেশ লকডাউন দিয়েছে, সব বন্ধ করে দিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পেরেছে বলেই যে বাংলাদেশেও কি ‘সাধারণ ছুটির' নামে সেটিই করতে হতো? বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে সেটা সম্ভব? এ নিয়ে রীতিমতো বিশেষজ্ঞদের গবেষণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত থাকলেও তা হয়েছে বলে কোথাও শুনতে পাইনি৷
এখনও একেক দেশ তার নিজের পরিস্থিতি বিবেচনায় শিথিলতার মাত্রা নির্ধারণ করছে৷ কোনো কোনো দেশে স্কুল খুলেছে বিশেষ ব্যবস্থায়, কোথাও বন্ধ রয়েছে৷ সুইডেনে শিশুরা স্কুলে খেলাধুলাও করেছে, আবার স্পেনে তাদের বাসার বাইরেই যেতে দেয়া হচ্ছে না৷ ফ্রান্সে লকডাউন উঠে গেলে সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ তবে কেউ স্কুলে না গেলেও তার কোনো শাস্তি হবে না৷ কোনো কোনো দেশে দুই মাস ধরে সেলুন পর্যন্ত বন্ধ, আবার কোথাও কেবল মাস্ক পরলে সবকিছুই করা যাচ্ছে৷
বেশিরভাগ দেশেই রাজনীতিবিদ, প্রশাসন এবং বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে৷ এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও খুব সতর্কতার সঙ্গে নিজেদের পরিস্থিতি বিবেচনায় সব দেশকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে৷ বাংলাদেশে কি সেটিই হচ্ছে? শুরুতেই জোন ঘোষণা করে অর্থনীতি চাঙ্গা রেখে দেশব্যাপী চাপ কমানো যেত৷ সেক্ষেত্রে সফল না হলে পরবর্তীতে সারা দেশে অস্পষ্ট ছুটির বদলে সুস্পষ্ট লকডাউন কার্যকর করা যেত৷
এখনও যে রেড-ইয়েলো-গ্রিন জোন ঘোষণা করা হচ্ছে, সেটিও আসলে কতটুকু কার্যকর হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো গবেষণা দেখতে পেলাম না৷ আইইডিসিআর প্রতিদিনের মৃত্যু আর আক্রান্তের সংখ্যা জানানো ছাড়া নিজেরা কী গবেষণা করছে ওয়েবসাইটে গিয়েও সে তথ্য পেলাম না৷ বাংলাদেশ এই ভাইরাস কেমন আচরণ করছে তিন মাসেও সেটা আমরা জানি না৷
রেড জোনে ওষুধ-খাবার বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলা হলেও সেটা নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনের কাছে আছে বলেও শুনিনি৷ সেসব এলাকায় অর্থনৈতিকভাবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাদের কী হবে? খাবার ও অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ কিভাবে নিশ্চিত করা হবে? রেড জোনে কী চিকিৎসাসেবাও অন্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে? নাকি সবাইকে চিকিৎসার জন্য ঢাকাতেই নিয়ে আসা হবে? প্রতি লাখে ৩০ জনের বেশি মানুষ আক্রান্ত কিনা সেটা বুঝতে সে পরিমাণ টেস্ট করা প্রয়োজন৷ সে সামর্থ্য কি অর্জন করা হয়েছে? টেস্ট করা নিয়েও জল ঘোলা তো কম হলো না৷
এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর না মিললে জোনিং ব্যবস্থাও ‘সাধারণ ছুটি’ আর ‘কোয়ারান্টিনের’ মতো তামাশা ছাড়া আর কিছুই হবে না৷
করোনা: গুজব ও বাস্তবতা
করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়৷ কিন্তু এই ভয়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে ভুয়া তথ্য, মিথ্যা সংবাদ৷ ডয়চে ভেলে চেষ্টা করছে বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে আপনাদের সঠিক তথ্য জানানোর৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Xiao Yijiu
শিশুদের আশঙ্কা কি বেশি?
শিশুদের নিয়ে আলাদা করে কোনো আশঙ্কা নাই৷ যে কোনো বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন৷ আক্রান্তদের পাঁচ জনের চারজনের ওপর এই ভাইরাস সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের মতোই প্রভাব ফেলবে৷ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া রোগীদের বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে শিশু ও তরুণ বয়সিরা স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়েই সংক্রমণ কাটিয়ে উঠতে পারেন৷ মধ্যবয়সিরা এতে আক্রান্ত হলেও পর্যাপ্ত সেবা ও চিকিৎসায় তাদেরও সেরে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
কী খেলে ঠেকানো যাবে করোনা?
কোনো কিছু খেয়েই করোনা ঠেকানো যাবে না৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য সুষম খাবার এমনিতেই প্রয়োজন৷ অনলাইনে গুজব ছড়াচ্ছে৷ কেউ রসুন খাওয়ার কথা বলছেন, কেউ ব্লিচিং বা অন্য রাসায়নিক দ্রব্যের কথা বলছেন৷ রসুনে নানা উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য ভালো৷ রসুন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে তা ভূমিকা রাখতে পারে৷ তবে ব্লিচিং বা অন্য রাসায়নিক শরীরে গেলে তা করোনা ভাইরাসের চেয়েও মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে৷
ছবি: AFP/C. De Souza
গরম বা ঠান্ডা পানি পান করা উচিত?
নিয়মিত পানি পান করলে শরীরের জন্য ভালো৷ কিন্তু ১৫ মিনিট পর পর গরম পানি পান করলে ভাইরাস মারা যাবে, এমন তথ্য সঠিক নয়৷ মুখে বা শরীরে একবার ভাইরাস প্রবেশ করলে কোনো খাবার বা পানীয় দিয়েই তা আটকানো যাবে না৷ শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেই এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম৷
ছবি: Colourbox/Haivoronska_Y
অ্যান্টিবায়োটিক বা কোনো ওষুধে কাজ হবে?
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য কার্যকর, ভাইরাসের জন্য নয়৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসুস্থ শরীরে ভাইরাসের পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও হতে পারে৷ সেসব ক্ষেত্রে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন৷ এখনো নভেল করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি৷ বিভিন্ন সংস্থা প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ শিগগিরই হয়তো আসবে সুখবর৷
ছবি: imago/Science Photo Library
আবহাওয়া ও তাপমাত্রার কোনো প্রভাব রয়েছে?
এ বিষয়ে এখনো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন৷ পরীক্ষাগারে দেখা গেছে ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাইরাস মারা যায়৷ কিন্তু এত উচ্চ তাপমাত্রা কোনো দেশেই থাকে না৷ অনেকে মনে করছেন গরম পানি দিয়ে স্নান করলে ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে৷ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা সবসময় জরুরি৷ কিন্তু প্রচণ্ড গরম পানি দিয়ে স্নান করলেই তা করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচাবে, এমন তথ্য সঠিক নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Lipinski
থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে কি করোনা ভাইরাস শনাক্ত সম্ভব?
থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা বোঝা সম্ভব, ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চত করা সম্ভব না৷ সেক্ষেত্রে কারো শরীরে জ্বর বা অন্য উপসর্গ দেখা দেয়ার আগ পর্যন্ত তার শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি বোঝা যাবে না৷ সাধারণত ভাইরাস শরীরে ঢোকার ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৫ দিনের মধ্যেই তা টের পাওয়া যায়৷ তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৪ দিনের পরও ভাইরাস শরীরে কর্মক্ষম থাকতে পারে৷
ছবি: Reuters/P. Mikheyev
টাকার মাধ্যমে কী করোনা ছড়ায়?
শরীরের বাইরে করোনা ভাইরাস কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে৷ ফলে আমদানি করা কোনো পণ্য বা চিঠির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বললেই চলে৷ ময়লা টাকা থেকে যেকোনো জীবাণুই ছড়াতে পারে৷ ফলে টাকা লেনদেনের পর ভালো করে হাত ধুয়ে নেয়া উচিত৷ যত বেশি সম্ভব হাত-মুখ-নাক-কানে হাত নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে৷
ছবি: DW
মশা বা অন্য পশুর মাধ্যমে ছড়াতে পারে?
সার্স ভাইরাস ছড়িয়েছিল এক ধরনের বেড়াল থেকে৷ মার্স ছড়িয়েছিল উট থেকে৷ নভেল করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়ালো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন৷ ধারণা করা হচ্ছে, বাদুড় থেকে অন্য কোনো মাধ্যম হয়ে মানুষের মধ্যে এটি ছড়িয়েছে৷ তবে মশা বা অন্য কোনো প্রাণীর মাধ্যমে এটি আপনার মধ্যে ছড়াবে না৷ সতর্কতা হিসেবে মাছ-মাংস খাওয়ার আগে ভালোভাবে রান্না করতে হবে৷ অর্ধেক সিদ্ধ মাছ-মাংস বা পোচ করা ডিম থেকে যেকোনো জীবাণুই ছড়াতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/A. Rose
কিভাবে থাকবো নিরাপদ?
সবচেয়ে জরুরি হাত পরিষ্কার রাখা৷ সাবান দিয়ে হাত ভালো করে ২০ সেকেন্ড পরিষ্কার করতে হবে৷ যদি সাবান না থাকে, ব্যবহার করতে পারেন অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার৷ হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করে তা ডাস্টবিনে ফেলুন, হাত ধুয়ে নিন৷ অথবা হাতের কনুইয়ে মুখ ঢাকুন৷ হাতের তালুতে হাঁচি-কাশি দিলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে আক্রান্ত হতে পারেন অন্য়রা৷ হ্যান্ডশেক বা হাত মেলানো ও কোলাকুলি থেকেও বিরত থাকুন৷
ছবি: AFP/N. Almeida
আমি কী মারা যাবো?
করোনায় আক্রান্ত হলেই আপনি মারা যাবেন, এমন আশঙ্কা একেবারেই কম৷ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন৷ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলুন৷ অনলাইনে যা দেখবেন, সব বিশ্বাস না করে নির্ভরযোগ্য তথ্যের সন্ধান করুন৷ সাবান, স্যানিটাইজার নিজে কিনে জমিয়ে রাখবেন না৷ আপনি নিরাপদ থাকলেও আপনার আশেপাশের মানুষ নিরাপদ না থাকলে সহজেই তার কাছ থেকে ছড়াবে ভাইরাস৷ ফলে নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যদেরও থাকার সুযোগ দিন৷