একের পর এক ডাক্তারি পড়ুয়ার আত্মহত্যা পশ্চিমবঙ্গে৷ বাড়তি পরীক্ষার জন্যই কি আরো চাপে তারা? কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও কেন কমছে না মানসিক চাপ?
বিজ্ঞাপন
একের পর এক আত্মহত্যা
গত সোমবার আত্মঘাতী হন কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া প্রদীপ্তা দাস৷ মেডিকেলের চূড়ান্ত বর্ষের এই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়৷ ৩০ জুলাই এনআরএস মেডিকেল কলেজের ছাত্র অনুপ ঢেলিয়া আত্মহত্যা করেছেন৷ হাওড়ায় নিজের বাড়ির ছাদ থেকে তিনি ঝাঁপ দেন৷ সপ্তাহ তিনেক আগে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের আর এক ছাত্রী নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হন৷ কেন ক্রমশ বাড়ছে ডাক্তারি পড়ুয়াদের আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা?
সমাজের চোখে এখনো সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা চিকিৎসকের৷ তাই উচ্চ মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশের লক্ষ্য থাকে ডাক্তার হওয়া৷ এই ডাক্তারি পড়ার সময় তাঁরা এতটাই মানসিক চাপে পড়ছেন যে তাঁদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হচ্ছে৷ কোনো ব্যক্তিগত কারণ থাকতেই পারে, তবে ঘনিষ্ঠ মহলের বয়ান অনুযায়ী পড়াশোনা সংক্রান্ত চাপ এই চূড়ান্ত পদক্ষেপের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় কারণ৷
জোড়া পরীক্ষার চাপ
এই পর্বে আলোচনার কেন্দ্রে নয়া পরীক্ষা৷ ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের নিয়মে অনুযায়ী আগামী বছর থেকে এমবিবিএস-এর চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার সঙ্গে জাতীয় স্তরের একটি পরীক্ষা হতে চলেছে৷ গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করছে হবু চিকিৎসকদের ভবিষ্যৎ৷ কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়া অয়ন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের ফাইনাল ইয়ারে মোটামুটি চারটি বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়৷ নতুন যে পরীক্ষাটা দিতে হবে, তাতে প্রথম থেকে ফাইনাল ইয়ার পর্যন্ত যে ১৯টা বিষয় পড়েছি, সবটা নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে৷ তার সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ ও তা মুখস্থ করার উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে৷ এর সঙ্গে ডাক্তার হয়ে ওঠার সম্পর্ক খুব একটা নেই৷” পড়ুয়াদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করা ছাত্রনেতা, ডা. শামস মুসাফির বলেন, "পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন ও নতুন পরীক্ষার ফলে ছাত্রছাত্রীরা চাপে পড়ে যাচ্ছেন৷ আমাদের সময়ের থেকে সিলেবাস ক্রমশ বদলে যাচ্ছে, এর ফলে চাপ সহ্য করতে না পেরে আরও মানসিক অবসাদে চলে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা৷”
সমীক্ষার ফলে অবসাদের চিহ্ন
পড়াশোনা নিয়ে চাপের কথা প্রদীপ্তা বা অনুপের সহপাঠীরা স্বীকার করে নিচ্ছেন বলে তাদের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যাচ্ছে৷ সে কারণে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে গত জানুয়ারি থেকে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে হেল্পলাইন নম্বর দেয়া হয়েছে৷ মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সম্বলিত ভিডিও দেখানো হয় ইউটিউব চ্যানেলে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় সমীক্ষাও চালানো হয়৷ চিকিৎসাশাস্ত্রের পঠনপাঠনে সঙ্গে যুক্ত হাজার ছয়েক পড়ুয়া একটি সমীক্ষা ফর্ম অনলাইনে পূরণ করে জমা দেন৷ তাতে দেখা যাচ্ছে , ১০ শতাংশ পড়ুয়ার মধ্যে গভীর অবসাদ রয়েছেন, যার একাংশ আবার আত্মহত্যাপ্রবণ৷ বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনকে চিঠি দিয়ে জানায় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়৷ তার পরও প্রদীপ্তা বা অনুপের মৃত্যু ঠেকানো যায়নি৷
কাউন্সেলিং কি পর্যাপ্ত?
প্রদীপ্তার মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালের প্রতিক্রিয়া, "আমরা কি হেরে যাচ্ছি? ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্য যাতে ঠিক থাকে, তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ তারপরেও এমন ঘটনা ভীষণ দুঃখের৷” যদিও চলতি প্রশিক্ষণ বা কাউন্সেলিং ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব একটা আশাবাদী নন চিকিৎসকদের একাংশ৷ ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম-এর সদস্য ডা. পুণ্যব্রত গুণ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা যখন পড়েছি, তার তুলনায় এখন প্রতিযোগিতা অনেক বেশি৷ তার উপর যে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে, সেটা মোকাবিলা করার ঠিকঠাক ব্যবস্থা নেই৷ একটা কার্যকরী, উন্নত কাউন্সেলিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার৷ পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়লে বাবা-মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন৷ এই কাজটা প্রতিষ্ঠানকে আরো নিবিড়ভাবে করতে হবে৷”
একলা ঘর আমার দেশ…
আত্মহত্যা ঠেকাতে চেষ্টা চলছে৷ ‘গেট কিপার'-এর মতো অভিনব প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে৷ কোনো পড়ুয়া অবসাদে ভুগলে বা তার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হলে সেটা কিছু লক্ষণে প্রকাশ পায়৷ এই লক্ষণ সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের পরিচিত করাতে রাজ্যের মেডিকেল কলেজ-সহ স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘গেট কিপার' প্রশিক্ষণ চালু রয়েছে৷ কিন্তু অনুপ-প্রদীপ্তাদের ক্ষেত্রে সেই লক্ষণ কি চোখে পড়েনি? ডাক্তারি পড়ুয়া অয়নের বক্তব্য, "সবাই আত্মকেন্দ্রিক আর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে৷ শুধু নিজেরটা বুঝে নিতে হবে৷ প্রতিযোগিতা এমনই৷ অন্যের দিকে কে লক্ষ্য রাখছে? সবাই তো দৌড়ে সামিল!
শিক্ষা, শিক্ষকতা ও ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে শিক্ষাঙ্গন ও বাইরের প্রভাব
শিক্ষক মানেই গুরু৷ শিক্ষার্থী তার কাছে স্নেহাস্পদ৷ কিন্তু ইদানীং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত স্পষ্ট৷ তাতে শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষক, সমাজ, রাজনীতি, পাঠক্রমের ভূমিকা কতটুকু? এর উত্তর খুঁজেছে ডয়চে ভেলে৷
ছবি: bdnews24.com
আবদুল্লাহ রানা, সাংস্কৃতিক কর্মী
সামগ্রিক পরিবেশের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক পরিবেশও অনেকটা দায়ী৷ আমার ছেলে যখন ক্লাস থ্রি-তে পড়তো, তখন একদিন সে আমাকে বলল, তার ক্লাসের একটা ছেলে হিন্দু বলে তার সঙ্গে কেউ কথা বলে না৷ আমি তখন হেডমাস্টারের সঙ্গে কথা বলি৷ ওই স্কুলের পরিবেশ কিন্তু এমন না৷ তার মানে, পরিবার থেকেই এটা এসেছে৷ আসলে বাচ্চাদের খেলার মাঠ নেই, এলাকায় লাইব্রেরি নেই৷ কীভাবে আমরা ধর্মান্ধ একটা জাতিতে পরিণত হতে পারি- সে দিকেই যাচ্ছি৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
তৌহিদুল হক, সমাজ গবেষক ও শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান লক্ষ্য নৈতিকভাবে বলিষ্ঠ জনগোষ্ঠী তৈরি করা৷ নৈতিক শিক্ষা আমরা পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজ থেকে পেয়ে থাকি৷ ধর্মীয় বোধও গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নৈতিক শিক্ষার দায়টা পরিবার ও রাষ্ট্র শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে থাকে, যা একপেশে ধারণা৷ সমাজের সব স্তরেই যদি নৈতিকতার চর্চা না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র শিক্ষকদের বক্তব্য বা বই পড়ে উদ্বুদ্ধ হবে, এমন মনে করা ঠিক নয়৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
আরেফিন শরিয়ত, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নৈতিক শিক্ষা বইপত্র পড়ে শেখা যায় না৷ পারিবারিক সংস্কৃতি, শিক্ষকের মানসিকতা- এসবের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে৷ মানসিকতার কারণে ধর্ম ও বিজ্ঞান আলাদা হয়ে যায়৷ দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকদের ভাবনার জায়গা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রসার ঘটছে না, যে কারণে শিক্ষার্থীরা এখন অন্য ধর্মের শিক্ষককে ভিন্ন চোখে দেখছে৷ এখানে রাষ্ট্রের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ৷ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শিক্ষককে কীভাবে দেখছেন তারও প্রতিফলন ঘটছে৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
রুকাইয়া জহির, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
দিন দিন আমরা বাঙালি সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছি৷ গত দুই বছর ধরে কোনো সাংস্কৃতিক চর্চা নেই৷ আমরা যদি বাঙালি সংস্কৃতি আরো বেশি তুলে ধরতে পারি, আরো বেশি চর্চা করতে পারি, তাহলে বিভাজনটা চলে যাবে৷ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই আমরা আবার বিশ্ব বাঙালি এক হতে পারি, আমাদের অন্ধত্ব দূর হতে পারে৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
সালমান সিদ্দিকী, সভাপতি, ছাত্রফ্রন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত৷ এই সম্পর্কের উপর নির্ভর করে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এগুবে, না পেছাবে৷ যত দিন যাচ্ছে, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে৷ এখন আমরা দেখি, ছাত্রকে অপহরণ করছেন শিক্ষক৷ আবার ছাত্ররা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে৷ এখন শুধু স্কুল না, পুরো রাষ্ট্রের মধ্যে ধর্মকে ব্যবহার করা, ধর্মকে ব্যবহার করে অন্যকে ফাঁসানো, একটা উন্মাদনা তৈরি করার প্রবণতা বাড়ছে৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
সায়মা সিদ্দিকা, উন্নয়নকর্মী
আমাদের মধ্যে ধর্মভিরুতা তৈরি করা হচ্ছে৷ দীর্ঘদিনের যে সমাজ-সংস্কৃতি তা থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে৷ এটা হওয়া উচিত না৷ পরিবার থেকেই বাচ্চাদের আমাদের কৃষ্টি-কালচার শেখাতে হবে৷ যেমন কীভাবে আমরা একে অপরের ধর্মীয় উৎসবের সঙ্গে মিশে যেতাম, এখনও যেতে পারি৷ এতে আমাদের ধর্মের কোনো ক্ষতি হবে না৷ আমি এখনও বিশ্বাস করি, সমাজে এই ধরনের মানুষ এখনও আছে৷ তারাই পরিস্থিতি পালটে দেবে৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
অনিক রায়, সভাপতি, ছাত্র ইউনিয়ন
আমাদের সময় যেভাবে পাঠ্যবইয়ে ধর্ম পড়ানো হতো, এখন সেভাবে হচ্ছে না৷ এখন ধর্মকে সাম্প্রদায়িকীকরণ ও উগ্রবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে৷ ওয়াজগুলো কোনো সেন্সর ছাড়াই চলছে৷ সেখানে নারীর বিরুদ্ধে বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়, যেটা বারবার বলার কারণে মানুষের মাথায় গেঁথে যায়৷ শিক্ষক হৃদয় মন্ডলের যে ঘটনা, সেখানে একটি ছেলে বারবার বলছে, সে ওয়াজে শুনেছে৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
উৎপল বিশ্বাস, সাবেক ভিপি, জগন্নাথ হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে যে সম্পর্কটা আমরা ছোটবেলায় দেখেছি এখন সেটা আর নেই৷ শিক্ষকরা এখন অনেক হীনমন্যতায় ভুগছেন৷ নৈতিক শিক্ষা দিতে গিয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আক্রমণের শিকার হতে হয় কিনা তা তাদের ভাবনায় থাকছে৷ এই সুযোগটা শিক্ষার্থীরা নিচ্ছে৷ কোনো শিক্ষক যদি কিছু বলেনও, শিক্ষার্থীরা সেটিকে ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ এই যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে দূরত্ব, এর জন্য জাতিকে আগামী দিনে চড়া মাশুল দিতে হবে৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
সুস্মিতা রায় সুপ্তি, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ঢাকার সমন্বয়ক
আমরা যেটা দেখছি, শিশুদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষা এত বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে তারা নৈতিক শিক্ষার কথা ভাবতেই পারছে না৷ শুধু বই পড়ছে৷ এখন বেশি নম্বর পাওয়ার এক ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে৷ স্কুলের প্রশ্ন ফাঁস করছেন শিক্ষক৷ এগুলো তো ভয়াবহ ব্যাপার৷ যে শিক্ষক নৈতিক শিক্ষা দেবেন, তিনি যদি প্রশ্ন ফাঁস করে দেন, তাহলে কোথায় শিখবে৷ আবার অভিভাবকরাও এই প্রশ্ন সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
শান্তনু মজুমদার, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষা যে খুব একটা গুরুত্ব পায়, তা নয়৷ শিক্ষার ক্ষেত্রে সহনশীলতা এবং বৈচিত্র খুবই প্রয়োজন৷ আমি এখনও বিশ্বাস করি না, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক রচনা করে৷ সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে প্রবণতা দেখছি, সেটা একটা দুষ্টু প্রবণতা৷ শিক্ষার্থীদের মনোজগৎ নষ্ট করার রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক চেষ্টা তো আছেই৷ তবে আমি মনে করি না, এখনও সব ধ্বংসের মুখে চলে গেছে৷