1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইডেলবার্গে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ

১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. বের্নহার্ড এইটেল৷

ছবি: DW/Rahat Rafe

বাংলাদেশ সরকার ও হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাঝে ‘বাংলাদেশ চেয়ার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’ এর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে ডয়চে ভেলেকে এ কথা বলেন তিনি৷

বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. বের্নহার্ড এইটেল ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জার্মানিতে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷

উপাচার্য বলেন, এ সমঝোতা স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা৷ তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অন্বেষনে সহায়তা করার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক জ্ঞান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে৷
সমঝোতা স্মারকের মধ্য দিয়ে ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর আবারো চালু হলো বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ৷ 

তার আগে, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্যসহ নানা বিষয়ে গবেষণা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে হাইডেলবার্গ বিশ্বিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’৷

তবে চালু হওয়ার দুবছরের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যায় এ চেয়ার৷ 

বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপে দেশের পরিচয় বাড়বে

02:26

This browser does not support the video element.

নতুন এ সমঝোতার আওতায় হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইন্সটিটিউটে প্রতি বছর একজন শিক্ষক ছয়মাসের জন্য যোগদান করবেন৷ বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করবেন৷ 

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবছর এপ্রিলে শুরু হওয়া সামার সেমিস্টারে প্রস্তাবিত এ শিক্ষক যোগদান করবেন৷ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও নিয়োগকৃত শিক্ষকের আবাসিক সুবিধাদি বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷   

দক্ষিণ এশিয়া ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, মডার্ন ইন্ডোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. হান্স হার্ডার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা আনন্দিত যে বাংলাদেশ সরকার আমাদের এটি দিয়েছে৷ আশা করি আগামী বছর থেকে আমরা এর পুরো সুবিধা পাব৷’’

তিনি বলেন আমরা আগামী বছর থেকে বাংলাদেশ থেকে একজন গবেষককে ছয় মাসের জন্য আসবেন৷ ‘‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি৷ বাংলাদেশ নিয়ে ইতিমধ্যে কিছু কাজ হয়েছে তবে আরো অনেক কাজ করা প্রয়োজন৷ ফেলোশিপের এ সুবিথার মধ্য দিয়ে সে কাজটি এগিয়ে নেওয়া যাবে৷’’

হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যারয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদশি শিক্ষার্থীরা জানায় বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালুর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরি হলো৷

দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী নামিয়া আক্তার বলেন, শুধু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারবে ও এ বিষয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় গবেষণার আরো সহজ করতে পারবে৷

তার আগে, রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন৷ এসময় তিনি ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে থাকাকালীন তাঁদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ