1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্তানদের মুখোশ

৮ জুন ২০১২

শিল্পীর চেতনা শুধু গভীর নয়, হয় গভীরতর৷ মাইকেল জ্যাকসন কেন তাঁর সন্তানদের মুখোশ পরতে বাধ্য করতেন তা বোঝা গেল জ্যাকসনের মৃত্যুর এতদিন পরে৷ সেটা বুঝেছে জ্যাকসনের কিশোরী কন্যা প্যারিস৷

ছবি: AP

দুনিয়াজোড়া যে বাপের নাম, তার সন্তানদের জনারণ্যে, নাগালের ভিতর, হাতের কাছে দেখলে মানুষ তাদের দিকে ছুটে আসবে, তাদের বিরক্ত করবে, তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে যাবে৷ শৈশব যাবে বিনষ্ট হয়ে৷ সে কারণেই জ্যাকসন তাঁর সন্তানদের নিয়ে যখন বাইরে যেতেন, তাদের মুখে পরিয়ে দিতেন মুখোশ৷ আর বিখ্যাত পপস্টার বাবা জ্যাকসনকে ছাড়া তারা যখন বাইরে যেত, সেই একই নির্দেশ ছিল, ‘মুখে মুখোশ পরে যাও'৷

জ্যাকসনের কিশোরী কন্যা প্যারিস, এখন যার বয়স তেরো বছর, সে ছেলেবেলাতে ব্যাপারটা বুঝতে পারত না৷ ভাবত, কেন বাবা এমন জোর করে তাদের মুখোশ পরাচ্ছে? জ্যাকসন সন্তানদের বলতেন, নিজের ছেলেবেলাটা বড় কষ্টে কেটেছিল তাঁর৷ সংগীতের জগত চুরি করে নিয়েছিল তাঁর শৈশব৷ অন্য বাচ্চারা যখন খেলছে, ছোট্ট জ্যাকসন তখন স্টুডিওতে গান রেকর্ড করতে ব্যস্ত৷

প্যারিসছবি: AP

তাই নিজের সন্তানদের জন্য একটা স্বাভাবিক, আনন্দময় শৈশব দিতে চেয়েছিলেন পপস্টার৷ চেয়েছিলেন, তাঁর খ্যাতির প্রভাবে তাঁর সন্তানরা যাতে বিপর্যস্ত না হয়৷ সে কারণেই মুখে মুখোশ পরার নির্দেশ ছিল৷ আর তেমনভাবে বাইরে বেরিয়ে জ্যাকসনের সন্তানরা কখনোই কোন সমস্যার মুখোমুখি হয়নি৷

ওপরা উইনফ্রির টিভি শো-তে এসব কথাই জানিয়েছে কিশোরী প্যারিস৷ বলেছে, ‘‘ছেলেবেলায় বুঝতাম না কেন আমাদের মুখে মুখোশটা পরতে হবে বাইরে যাওয়ার সময়৷ এখন বেশ বুঝতে পারি যে বাবা আমাদের শৈশবটাকে বাঁচাতে চাইতেন৷''

শিল্পীর বোধ তো! তা নিঃসন্দেহে উদার হওয়াই স্বাভাবিক৷ আর জ্যাকসন তো একজন সত্যিকারের শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি ভালো বাবাও ছিলেন৷ সেটাই আরও একবার প্রমাণ হল৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (এএফপি/ রয়টার্স)

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ