বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে৷ ফেসবুকে এই আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়৷ জবাবে কিছু পরামর্শ পেয়েছেন৷ দুর্নীতি ও মৌলবাদের বিস্তার রোধ আর চাটুকারদের দাপট কমানোর কথা বলেছেন অনেকেই৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ বাংলাদেশ আর দরিদ্র দেশ নয়৷ যা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মধ্যম আয়ের দেশ৷ গত ৬ বছরে আমাদের সরকারের সময় মাথাপিছু আয় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে, দারিদ্র্যসীমা কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে, আর্থ-সামাজিক সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে৷'' ‘‘আমরা এখন ‘নিম্ন মধ্যম' আয়ের সীমায় রয়েছি''- এ কথা জানিয়ে সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ দিকে বাংলাদেশ ‘উচ্চ-মধ্যম' আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি৷''
সজীব ওয়াজেদ জয়ের লেখার নীচে অনেকেই মন্তব্য করেছেন৷ বেশির ভাগ মন্তব্যেই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার প্রশংসা৷ সরকারকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন অনেকে৷ কিছু বিষয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷ ইফতেখার মোহাম্মদ নামের একজন লিখেছেন, ‘‘দুর্নীতি,অনিয়ম এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বন্ধ করতে হবে৷ সরকারের উন্নয়নে যারাই বাধা হবে তাদেরই কঠোর হাতে দমন করতে হবে৷ চাটুকারদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে৷ দলে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে৷ তবেই সকল অর্জনের প্রকৃত সুফল দেশের মানুষ পাবে৷''
মালোপাড়ার হিন্দুদের কান্না থামেনি
বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়াকে ঘিরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার মালোপাড়ায় ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার পাশাপাশি লুটপাটও করা হয়৷
ছবি: DW
নেই নিরাপত্তাকর্মীর সাড়া
যশোরের অভয়নগরের চাপাতলী গ্রামের প্রবেশপথে পুলিশের সতর্ক অবস্থান৷ গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের দিন এই গ্রামের নিম্নবর্ণের হিন্দু অধ্যুষিত মালোপাড়ায় বসবাসরতদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে৷ আক্রান্তরা জানান, ঘটনাস্থলের মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে থানার অবস্থান হলেও অনেক ফোন করেও সে সময়ে পুলিশ কিংবা কোনো নিরাপত্তাকর্মীর সাড়া মেলেনি৷
ছবি: DW
‘নদী ঠাকুর’
দুর্বৃত্তদের হামালায় লণ্ডভণ্ড মায়া রানি বিশ্বাসের একমাত্র মাথা গোঁজার ছোট্ট নিবাস৷ সেদিন হামলা শুরু হলে পাশের বুড়ি ভৈরব নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ওপারে উঠে প্রাণে বেঁচে যান বিধবা এই নারী৷ তাঁর ভাষায় ‘নদী ঠাকুর’ সেদিন না থাকলে জানটা হয়ত থাকতো না৷
ছবি: DW
প্রাণ বাঁচাতে নদীতে
নিজের ঘরের ভাঙা আসবাব, টেলিভিশনের পাশে মালোপাড়ার গৃহবধু উজ্জ্বলা বিশ্বাস৷ হামলাকারীদের ভয়াবহ রূপ সামান্য দেখেছিলেন তিনি৷ প্রাণ বাঁচাতে তিনিও ঝাঁপ দেন বুড়ি ভৈরবে৷ হামলার সময়ে তাঁর মনে হয়েছিল যে ভগবান সেদিন পাশে ছিলেন না৷
ছবি: DW
বই-পত্র পুড়িয়ে দিয়েছে
কলেজ পড়ুয়া মঙ্গলা বিশ্বাসের বই-পত্র, এমনকি সার্টিফিকেটও পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা৷
ছবি: DW
সুন্দর স্বপ্নে চির
হামলাকারীদের ভেঙে দেয়া আয়নায় কলেজ পড়ুয়া মঙ্গলা বিশ্বাসের প্রতিবিম্ব৷ বাড়ির দেয়ালে টাঙানো এই ভাঙা আয়নার মতোই মঙ্গলার সুন্দর স্বপ্নেও চির ধরিয়েছে হামলাকারীরা৷ মঙ্গলার আক্ষেপ, তাঁর বই-পত্র আর সার্টিফিকেট কী দোষ করলো?
ছবি: DW
আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয়
হামলার ছয় দিন পরে এঁরা ফিরছেন বাড়িতে৷ হামলার সময় পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা৷
ছবি: DW
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী
৮৬ বছর বয়সি মৃত্যুঞ্জয় সরকার সেদিনের হামলার প্রত্যক্ষদর্শী৷ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও দেশ ছাড়েননি তিনি৷ কিন্তু হামলার পর তাঁর মনে হচ্ছিল যে, সে সময়ে ছেড়ে যাওয়াটাই উচিত ছিল তাঁর৷
ছবি: DW
গাছও রেহাই পায়নি
বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি মালোপাড়ার গাছও জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা৷
ছবি: DW
পলাতক জামায়াত নেতা
মালোপাড়ায় হামলার পরে চাপাতলী গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালিয়াডাঙ্গায় স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল আজিজের বাড়ি ভাঙচুর করে যৌথবাহিনী৷ ঘটনার আগে থেকেই পলাতক রয়েছেন এ জামায়াত নেতা৷
ছবি: DW
আক্রান্তদের অভিযোগ
জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুল ওহাব৷ মালোপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য জামায়াত শিবির ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলকেও দায়ী করেছেন অনেকে৷ সাবেক এই সাংসদ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন৷ সেখানে নতুন প্রার্থী হিসেবে রণজিৎ রায় মনোনয়ন পাওয়ায় এই দুই জনের সমর্থকদের মাঝে বেশ উত্তেজনা ছিল পুরো নির্বাচনের সময়টায়৷
ছবি: DW
গণধর্ষণ
যশোরের আরেক ভয়াল জনপদ মনিরামপুর উপজেলার হাজরাইল গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা অনারতী দাস৷ ৭ জানুয়ারি রাতে তাঁর সামনেই অস্ত্রের মুখে একদল দুবৃত্ত গণধর্ষণ করে পুত্রবধু মনিমালা দাস আর ভাতিজি রূপালী দাসকে৷
ছবি: DW
ভয়াবহ দৃশ্যের প্রত্যক্ষদর্শী
কার্তিক দাসকেও সেদিন রাতে সেই ভয়াবহ দৃশ্যের প্রত্যক্ষদর্শী হতে হয়েছিল৷ দাসপাড়ায় গণধর্ষণের শিকার নিম্নবর্ণের হিন্দু মনিমালা দাসের শ্বশুর ও রূপালী দাসের চাচা তিনি৷
ছবি: DW
বাড়িঘর ছেড়েছেন
দাসপাড়ায় গণধর্ষণের শিকার হওয়া পরিবার দুটি আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়েছেন৷
ছবি: DW
শুধুই আতঙ্ক
দাসপাড়ার এক নারী৷ দাসপাড়ার নারীদের এখন নির্ঘুম রাত কাটে আতঙ্কে৷
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘‘তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনী কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুদান পেয়ে ফেসবুকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার সমর্থকদের ইন্টারনেটভিত্তিক সংগঠন সিপি গ্যাং৷ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের অনেকে ফেসবুকে দেওয়া তাদের সমালোচনামূলক পোস্টে বলেছেন, ইন্টারনেটে কুরুচিপূর্ণ সংগঠিত আক্রমণকারীদের জনগণের করের টাকার ভাগ দিয়ে সরকার সাইবার সন্ত্রাসকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল৷ সিপি গ্যাং নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণাকারী বলে দাবি করলেও সমালোচকরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অ্যাস্টিভিস্টরাই মূলত তাদের আক্রমণের শিকার হয়েছে৷''
দৈনিক প্রথম আলোতেও সিপি গ্যাংকে চার লাখ টাকা অনুদান দেয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন হয়েছে৷ প্রতিবেদনে অনুদান প্রদান প্রসঙ্গটি এসেছে এভাবে,‘‘৩০ জুন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের সম্মেলনকক্ষে উদ্ভাবন তহবিলের (ইনোভেশন ফান্ড) আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনী কাজের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের অনুদান এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ফেলোশিপের চেক হস্তান্তর করা হয়৷.... উদ্ভাবন তহবিল থেকে তৃতীয় পর্বে অনুদানপ্রাপ্তদের তালিকার ২ নম্বর ক্রমিকে সিপি গ্যাং প্রোডাকশন লিমিটেডকে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়৷'' প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, ‘‘কে কোন প্রকল্পের জন্য অনুদান পেয়েছে, সেই তালিকা আইসিটি বিভাগ থেকে পাওয়া যায় ১ জুলাই সন্ধ্যায়৷ এই তালিকায় সিপি গ্যাংয়ের নাম নেই৷ ক্রমিক-২-এ আছে ‘হ্যাপিওয়ার্কস' নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম৷ ঠিকানা হিসেবে আছে, ১৭/ডি, রোড-২, মহানগর প্রজেক্ট, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা৷ এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ‘ভিডিও ডেটা ভিত্তিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা' উদ্ভাবনের জন্য অনুদান পেয়েছে৷ '' তবে এ প্রতিবেদনের শুরুতেই লেখা হয়েছে, ‘‘অনুদানের চেক হস্তান্তরের মাত্র এক দিনের মধ্যে অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন হয়ে গেছে৷ আদতে নাম দুটি হলেও প্রতিষ্ঠান একটিই৷''
বাংলাদেশে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা
পশ্চিমা বিশ্বের একদল পরিদর্শক বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ভয়াবহ নিরপত্তা ঝুঁকি দেখতে পেয়েছেন৷ রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তারা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
রানা প্লাজা বিধ্বস্তের পর...
২০১৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের সাভারে রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হলে নিহত হয় অন্তত ১,১০০ পোশাক শ্রমিক৷ এ ঘটনার পর পশ্চিমা যেসব দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়, তারা পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়৷ সম্প্রতি বেশ কিছু নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন করেছেন৷
ছবি: Reuters
নিরাপত্তা ঝুঁকি
পরিদর্শকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এবং ভবনের কাঠামোর বিষয়ে অন্তত ৮০,০০০ নিরারপত্তা ইস্যু খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷
ছবি: Kamrul Hasan Khan/AFP/Getty Images
২,২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য
বাংলাদেশে পোশাক খাতে বাণিজ্যের পরিমাণটি বিশাল৷ অর্থের অঙ্কে প্রায় ২,২০০ কোটি মার্কিন ডলার৷
ছবি: DW/C. Meyer
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে গার্মেন্টসগুলো তাদের ক্রেতা হারাচ্ছে৷ ফলে পোশাক রপ্তানির হার হ্রাস হয়েছে৷
ছবি: Reuters
পোশাক কারখানা পরিদর্শন
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম এবং ইনডিটেক্সসহ ১৮০টিরও বেশি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি ও সদস্যরা অন্তত ১,১০৬টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিটি কারখানায় বৈদ্যুতিক ঝুঁকির পাশাপাশি, ভবনের কাঠামো ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাতে গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷ এমনকি অনেক কারখানায় ফায়ার অ্যালার্ম ও ফায়ার এক্সিটও নেই৷
ছবি: DW/C. Meyer
অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ
১৭টি কারখানা অবিলম্বে খালি করে বন্ধের নোটিস দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিদর্শকরা৷ কারণ ঐ ১৭টি কারখানা যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ এছাড়া ১১০টি কারখানার ভবন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেও জানা গেছে৷
ছবি: Reuters
নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখা
এর আগে নর্থ অ্যামেরিকান কোম্পানি ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ-এর মতো বেশ কিছু কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ৫৮০টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ উদ্দেশ্য একই, নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখা৷ দেশের অন্তত ৩০০টি কারখানায় ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ-এর পোশাক তৈরি হয়৷
ছবি: AP
আশঙ্কায় শ্রমিকরা
তবে যেসব কারখানা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, সেসব শ্রমিকরা বেতন না পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন৷ কেননা পরিদর্শকরা শ্রমিকদের বেতন দেয়ার কথা বললেও মালিকরা এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি৷
ছবি: Imago/Xinhua
পরবর্তী পদক্ষেপ
পরিদর্শকরা বেশিরভাগ কারখানার মালিক ও প্রকৌশলীদের নিয়ে আলোচনায় বসে কী কী ইস্যুতে পরিবর্তন আনা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ এরপর আবারো তাঁরা পরিদর্শনে আসবেন নিজেদের নির্দেশনা কতটা বাস্তবায়ন হলো, তা দেখার জন্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
9 ছবি1 | 9
ফেসবুক এবং গণমাধ্যমে সিপি গ্যাং-এর অনুদান প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এ বিষয়ে সরকার বা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য জানা যায়নি৷
বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশ এখন ‘নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ'৷ প্রধানমন্ত্রীর সন্তান জয় ফেসবুকে এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অনেকে তাঁকে এবং বর্তমান সরকারকে দেশের আরো কিছু সমস্যা দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ মোহাম্মদ রশিদ খানের শঙ্কা মৌলবাদীদের নিয়ে৷ তাঁর মতে, ‘‘ মুসলিম প্রধান দেশ হলেও আমরা চরমপন্থা, মৌলবাদ- এসব পছন্দ করিনা৷ এসব আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করে দিতে পারে৷''
তপু রায় মনে করেন, হিন্দুদের ওপর প্রতিনিয়ত যে হারে নির্যাতন হচ্ছে তাতে বাংলাদেশ ‘নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ' হলে তাতে হিন্দুদের জন্য কোনো আশার আলো নেই৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমাদের হিন্দুদের ওপর যে অত্যধিক অত্যাচার হচ্ছে আমাদের বিপদ ছাড়া কোনো আশার আলো নেই৷ অন্য ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার হলে একদিকে যেমন তারা অসহায় অন্যদিকে সৃষ্টিকর্তাও খুশি হতে পারবেন না৷ আমরাও এই দেশের সন্তান, তাই দেশের উন্নয়নে আমরাও ভূমিকা রাখতে চাই৷''
শিমুল গুপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি-র ওপর ভ্যাট ধার্য করার বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘ বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়,এ দেশ উন্নয়নের রোল মডেল তাতে কোনো সন্দেহ নাই৷ কিন্তু ২০১৫/১৬ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি'র উপর ৭.৫% হারে ভ্যাট ধার্য করা হয়েছে,যা খুবই হতাশাজনক৷ এর ফলে শিক্ষাকে পণ্যে রূপ দেয়া হয়েছে৷...এই সিদ্ধান্ত অনেক নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে৷ শিক্ষাকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার জোর দাবি জানাই৷''
এস রানা সজীব লিখেছেন, ‘‘দুর্নীতি, অর্থ পাচার, মানব পাচার- ইত্যাদির প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে৷ আমরা ব্রাজিল বা ইন্দোনেশিয়া মতো মধ্যম আয়ের দেশ হতে চাইনা৷''