ঝকঝকে পাবলিক টয়লেটের জন্য বিশেষ অভিযান
১৮ ডিসেম্বর ২০১০অনেকের কাছে বেশ আশ্চর্য ঠেকলেও পাবলিক টয়লেট নিয়ে সিঙ্গাপুরের মাথাব্যথা নতুন নয়৷ আসলে ঝকঝকে পরিপাটি শহর গড়ে তুলতে সবকিছু যখন করা হয়ে গেছে তখন তারা একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে পাবলিক টয়লেটের পেছনে৷ একের পর এক নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে পাবলিক টয়লেটগুলোকে ‘পাঁচ তারকা' খচিত টয়লেটে পরিণত করতে৷
সিঙ্গাপুরের পাবলিক টয়লেটগুলোর নকশা, আকার, ব্যবহার উপযোগিতা, পরিচ্ছন্নতা এসবকিছুর উপর নজরদারি করতে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে রেস্টরুম অ্যাসোসিয়েশন সিঙ্গাপুর বা আরএএস৷ ইতিমধ্যে তারা চালু করেছে হ্যাপি টয়লেট স্কুল এডুকেশন কর্মসূচি৷ এই কর্মসূচির আওতায় তারা সিঙ্গাপুরের পাবলিক টয়লেটগুলোকে তিন তারকা থেকে পাঁচ তারকা পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে চিহ্নিত করেছে৷ চার তারকা মানের টয়লেটগুলোতে বিশেষভাবে থাকা প্রয়োজন শিশুদের প্রয়োজনীয় কাজ সারার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, যাকে বলে ডায়াপার চেঞ্জিং স্টেশন৷ আর পাঁচ তারকা মানের টয়লেটগুলোতে থাকতে হবে পরিবেশ বান্ধব নানা উপকরণ৷ এর মধ্যে রয়েছে পানির ট্যাপ ব্যবহারের পর যেন নিজে নিজেই পানি পড়া বন্ধ হয়ে যায় সেরকম ব্যবস্থা৷
এছাড়া তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছে বিশ্ব টয়লেট সংস্থা - ডাব্লিউটিও এবং সিঙ্গাপুর সৌন্দর্য সংরক্ষণ আন্দোলনের সদস্যপদ৷ সম্প্রতি তারা প্রকাশ করেছে পাবলিক টয়লেটগুলোর হালচিত্র নিয়ে ৭০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন৷ এতে দেখা গেছে, সেখানকার প্রায় ৫০০ পাবলিক টয়লেট মোটামুটি মানসম্পন্ন৷ একদিকে যেমন এসব টয়লেটে কোন দাগ কিংবা দুর্গন্ধ নেই৷ অন্যদিকে, এগুলোতে রয়েছে হাত ধোয়ার সাবান ও টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা৷
তবে শুধু ৫০০ টয়লেট পরিচ্ছন্ন থাকলেই তো হবে না, সারাদেশের সবগুলো টয়েলেটকেই হতে হবে একেবারে ‘পাঁচ তারকা' মানের৷ তাই ২০০৮ সাল থেকেই দুর্বার কর্মসূচি চালাচ্ছে সিঙ্গাপুর প্রশাসন৷ এবার শুরু করলো তিন বছরের পরিকল্পনা ভিত্তিক অভিযান৷ এই অভিযানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকছে একদিকে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ৷ অন্যদিকে, টয়েলটগুলোকে পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে করে রাখতে ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা