ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা
৮ জানুয়ারি ২০১৩ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত৷ বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে শরিক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সমর্থন তুলে নেয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার ২৮ মাসের সরকার হয়ে পড়ে সংখ্যালঘু৷ বিকল্প সরকার গঠনের সুযোগও কম৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি বুঝে আজ রাজ্যপালের কাছে তাঁর ইস্তফা পত্র দিয়ে বিধানসভা ভেঙে দেবার সুপারিশ করেন৷ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইস্তফা দিয়েছি৷ মন্ত্রিসভা চায় নতুন জনাদেশ এবং স্থির সরকার৷ নতুন জনাদেশই স্থির সরকার গঠনের একমাত্র বিকল্প৷
এই পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের সমীকরণে ইতিমধ্যেই মেতে উঠেছে অন্য সব দল৷ কংগ্রেস পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে৷ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, জেএমএম এবং কংগ্রেস একে অপরের মন বোঝার চেষ্টা করছে৷ কারণ কংগ্রেসের মতে মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ মেনে নেয়া রাজ্যপালের কাছে বাধ্যতামূলক নয়৷
সমর্থন তুলে নেবার কারণ হিসেবে জেএমএম নেতৃত্ব বলছে যে, ৮২ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বিজেপি এবং জেএমএম, প্রত্যেকের বিধায়ক সংখ্যা ১৮ করে৷ তাই সরকার গঠনের সময় বোঝাপড়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী হবে পালা করে, অর্থাৎ ২৮ মাস থাকবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী এবং ২৮ মাস জেএমএমের৷ কিন্তু বিজেপি সেই কথার খেলাপ করায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এমনটাই তাদের অভিযোগ৷
বিজেপি অবশ্য তা অস্বীকার করে পাল্টা তোপ দেগেছে৷ বলেছে, জেএমএম একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল৷ সেই দলের হাতে রাজ্যকে ছেড়ে দিতে পারিনা, যা হয়েছে তা বিজেপি এবং রাজ্যের পক্ষে ভালোই হয়েছে৷
বিজেপি নেতার মতে, ঝাড়খণ্ড সমস্যার সমাধান করতে হবে বিজেপির নীতি ও কর্মসূচির ভিত্তিতে৷ বিজেপির যেহেতু প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই, তাই সরকার ভেঙে দিতে হবে, যাতে সরকার গঠনে বিধায়ক বেচাকেনা না হয়৷
ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার প্রধান বলেছেন, রাজ্যপালের উচিত এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের আদেশ দেয়া৷ তাঁর মতে, রাজ্যের ৮০ শতাংশ মানুষ তাই চায়৷ দু-এক দিনের মধ্যেই রাজ্যপাল তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন৷