ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্ঝিয়া এখনো রাশিয়ার দখলে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও রাশিয়া ঘিরে রেখেছে। আর তা নিয়েই উঠছে নতুন প্রশ্ন।
বিজ্ঞাপন
গত রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পশ্চিমা নেতাদের ফোন করে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে অস্ত্র তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউক্রেন তা প্রয়োগ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন জানিয়েছিল, রাশিয়া আসলে নিজে এমন অস্ত্র প্রয়োগের কথা ভাবছে। সে কারণেই তারা রাতারাতি ইউক্রেনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
শাহেদ-১৩৬ : ইউক্রেনে আতঙ্ক ছড়ানো ইরানের ড্রোন
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে ইইউ৷ না, পারমাণবিক অস্ত্র বা মাহসা আমিনি হত্যাকাণ্ড নয়, নিষেধাজ্ঞার কারণ ইরানের এমন এক ড্রোন যা নিয়ে ইউক্রেনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাশিয়া৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
ইউক্রেনের আকাশে পুলিশের মুহুর্মুহু গুলি
১৭ অক্টোবরের ছবি৷ আকাশের দিকে গুলি ছুঁড়ছেন ইউক্রেনের দুই পুলিশ সদস্য৷ দূরে রাশিয়ার ড্রোন ছুটে আসতে দেখেছেন, তাই এভাবে আকাশের দিকে গুলি ছোঁড়েন তারা৷ ইউক্রেনের অভিযোগ- রাশিয়াকে এমন এক ড্রোন সরবরাহ করেছে ইরান, যা এখন অনায়াসে উড়ে ঢুকে রাজধানী কিয়েভে, ঢুকে দমাদম বোমা ফেলছে যেখানে-সেখানে৷
ছবি: Vadim Sarakhan/REUTERS
একমাসে ২২০টি ড্রোন!
না, ২২০টি ড্রোন রাশিয়াকে দেয়নি ইরান, অভিযোগ সত্যি হলে তার চেয়ে অনেক বেশি ড্রোন ইরান থেকে পেয়েছেন পুটিন৷ ইউক্রেনের দাবি, গত এক মাসের চেয়ে একটু বেশি সময়ে ২২০টিরও বেশি ড্রোন গুলি করে ফেলেছে তাদের নিরাপত্তা বাহিনী৷ রাশিয়া অবশ্য ইরানের কাছ থেকে কোনো ধরনের ড্রোন নেয়ার কথা অস্বীকার করেছে৷ ইরানেরও একই সুর, অর্থাৎ তারা বলছে, রাশিয়াকে কোনো ড্রোনই দেয়া হয়নি৷ ছবিতে কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন৷
ছবি: Roman Petushkov/REUTERS
কিয়েভে ভয়াবহ হামলা
সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায় রাশিয়ার ড্রোন৷ হামলায় পাঁচ জন মারা যান৷ ছবিতে হামলায় বিধ্বস্ত এক ভবন থেকে আটকে পড়াদের বের করার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা৷
ছবি: Oleksii Chumachenko/ZUMA/IMAGO
আতঙ্কের নাম শাহেদ-১৩৬
১৭ অক্টোবরের এই ছবিতেও ড্রোন থেকে ফেলা বোমায় বিধ্বস্ত কিয়েভের আবাসিক এলাকার এক অংশ দেখা যাচ্ছে৷ ইউক্রেনের দাবি- রাশিয়ার হয়ে এ হামলা চালিয়েছে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন৷
ছবি: Oleksii Chumachenko/ZUMA Wire/IMAGO
শাহেদ-১৩৬-এর আরেক নাম
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার ব্যবহার করা ড্রোনকে কামিকাজে ড্রোন নামেও বর্ণনা করছে৷ ওপরের ছবিতে সেই ড্রোনের হামলায় বিধ্বস্ত কিয়েভের আবাসিক এলাকার একাংশ৷
ছবি: NurPhoto/IMAGO
কামিকাজে কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের বিমান বাহিনী এই নামে মিত্রবাহিনীর নৌবহরের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল৷ জাপানি ভাষায় কামিকাজে অর্থ ‘স্বর্গীয় বায়ু’৷ বিস্ফোরক বোঝাই বিমান নিয়ে বৈমানিকরা মিত্রবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজে আত্মঘাতী হামলা চালাতো বলে সেই হামলার নাম দেয়া হয়েছিল কামিকাজে৷ এমন হামলায় জাপানের প্রায় তিন হাজার ৮০০ বৈমানিক প্রাণ দিয়েছিলেন৷ বিপরীতে অন্তত সাত হাজার নৌ-সেনা হারিয়েছিল মিত্রবাহিনী৷
ছবি: Vadym Sarakhan/AP/picture alliance
ইউক্রেনের আকাশে ড্রোন মানেই এখন আতঙ্ক
কিয়েভের আকাশে উড়ে যাচ্ছে রাশিয়ার আরেকটি ড্রোন৷ এই ছবিটিও ১৭ অক্টোবরের৷
ছবি: SERGEY SHESTAK/EPA-EFE
ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র
কিয়েভসহ ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ড্রোন হামলা হওয়ার পর হোয়াইট হাউস জানায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলবে৷ এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি৷
ছবি: Vladyslav Musiienko/REUTERS
ইরানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
সোমবারের হামলার পর ইরানের দূতাবাসের সামনে ইউক্রেনীয়দের বিক্ষোভ৷ ইরানের প্রতি অবিলম্বে রাশিয়াকে ড্রোন দিয়ে সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা৷
ছবি: SERGEY DOLZHENKO/EPA-EFE
পোল্যান্ডেও বিক্ষোভ
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর অনেক ইউক্রেনীয় পাশের দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নেয়৷ সোমবার পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরের ইউক্রেনীয়রা কিয়েভে ড্রোন থেকে বোমা হামলার প্রতিবাদ জানান৷ ওয়ারশর ইরান দূতাবাসে গিয়ে বিক্ষোভ জানান তারা৷
ছবি: Aleksander Kalka/ZUMA//picture alliance
ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করায় বুধবার ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ৷ বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বৈঠক হয়৷ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র,ফ্রান্স এবং ব্রিটেন কিয়েভে ড্রোন হামলা চালানোয় নিরাপত্তা পরিষদকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনান অনুরোধ জানায়৷
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
11 ছবি1 | 11
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের এই দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের অন্যতম কেন্দ্র ঝাপোরিজ্ঝিয়া। ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র এটি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই রাশিয়া এই কেন্দ্রটি দখল করে। এবং তার পর থেকেই ইউক্রেন নানা অভিযোগ তুলেছে। রাশিয়া কেন্দ্রটি দখল করলেও ভিতরে ইউক্রেনের কর্মচারীরাই কাজ করছিলেন। সম্প্রতি রাশিয়া তাদেরকেও সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ইউক্রেনের বক্তব্য, ওই পরমাণুকেন্দ্রে রাশিয়া গোপনে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে অস্ত্র তৈরি করছে। আরো একটি জল্পনাও প্রকাশ পেয়েছে। কারখানায় ১৭৬টি ট্যাঙ্কে পরমাণু বর্জ্য আছে। সেই বর্জ্যে বিস্ফোরণ ঘটালে রেডিয়েশন এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। রাশিয়া সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ।
এই বিতর্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন রাশিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। মিখাইল উলিয়ানভ নামের ওই ব্যক্তি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) যে কথা বলছে, রাশিয়া প্রাথমিকভাবে তা সমর্থন করে। আইএইএ-এর বক্তব্য, ওই পরমাণু কেন্দ্রের পরিধির মধ্যে কোনো সামরিক কার্যকলাপ করা যাবে না। সেখানে সেনাও মোতায়েন রাখা যাবে না।
ইউক্রেন যুদ্ধ: পরমাণু যুদ্ধ কি আসন্ন!
ফের ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের সামনে রকেট হামলা রাশিয়ার। আরো অঞ্চল পুনর্দখলের দাবি জেলেনস্কির।
ছবি: REUTERS
রকেট হামলা
বৃহস্পতিবার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের খুব কাছে রকেট হামলা চালায় রাশিয়া। রকেটের আঘাতে একটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
ইউক্রেন প্রশাসনের স্থানীয় সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ভাঙা বাড়ির নীচে এখনো অন্তত পাঁচজন আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মৃতদের মধ্যে একজন নারী। অন্যজনের অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু হয়েছে।
ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রটি রাশিয়া দখল করতে চায়। বুধবার এবিষয়ে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। পরমাণু কেন্দ্রটির সম্পূর্ণ হস্তান্তর চেয়েছিলেন তিনি।
ছবি: REUTERS
ইউক্রেনের বক্তব্য
ইউক্রেন কোনোভাবেই পরমাণু কেন্দ্রটি রাশিয়ার হাতে দিতে প্রস্তুত নয়। বুধবার দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেন ঝাপোরিজ্ঝিয়া অঞ্চলে আরো তিনটি জায়গা পুনর্দখল করেছে। কোনোভাবেই ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হবে না।
ছবি: Ukrainian Presidency/AP/picture alliance
পরমাণু সংস্থার প্রধান ইউক্রেনে
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির প্রধান কিয়েভে গিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন। কীভাবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। জেলেনস্কিকে আশ্বাস দিয়েছেন।
ছবি: Valentyn Ogirenko/REUTERS
রাশিয়ার অধিকারে
যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাশিয়া দখল করে। তার ভিতর থেকেই তারা লড়াই চালাচ্ছিল। কিন্তু পরমাণু কেন্দ্রটি দখল করলেও কর্মীদের তারা তাড়িয়ে দেয়নি। ইউক্রেনের কর্মীরাই সেখানে কাজ করছিলেন।
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
বাইডেনের ভয়
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার সেনা লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এবং সে কারণেই তার ভয়, পুটিন যে কোনো সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের পর পরমাণু অস্ত্র নিয়ে এত চিন্তা করতে হয়নি বলে এদিন মন্তব্য করেছেন বাইডেন।
ছবি: picture alliance / Consolidated News Photos
রাশিয়ার অবস্থান
পুটিন আগেই জানিয়ে রেখেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব আঘাত পেলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতেও তিনি ভয় পাবেন না।
ছবি: Dmitry Astakhov/Sputnik/REUTERS
ইউক্রেনের অবস্থান
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের যে জমি দখল হয়েছে, দেশের সেনা তা উদ্ধeর করতেও বদ্ধপরিকর। যার অর্থ ইউক্রেন ক্রাইমিয়া দখলেরও চেষ্টা করবে। পুটিন আগেই জানিয়েছিলেন, ক্রাইমিয়ায় আঘাত হানলে রাশিয়া ফের কিয়েভের অভিমুখে যাত্রা করবে।
ছবি: dpa/APA Images/Zuma/picture alliance
9 ছবি1 | 9
মিখাইলের বক্তব্য, এই বিষয়ে রাশিয়া দ্বিমত নয়। রাশিয়া আইএইএ-এর অভিমত সমর্থন করে। তবে বিষয়টি কীভাবে লাগু করতে চাইছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি, তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। অন্যদিকে, ইউক্রেনের বক্তব্য, তারা আইএইএ-এর প্রতিনিধিদের কিয়েভে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিটি পরমাণু শক্তিকেন্দ্র তারা ঘুরে দেখতে পারবেন। ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া পরমাণু কেন্দ্রের ভিতর গোপন পরীক্ষা চালাচ্ছে বলে ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এমনকি, আইএইএ-এর প্রতিনিধিদেরও নয়। মিখাইল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বাইডেনের বক্তব্য
পরমাণু শক্তি নিয়ে এই বিতর্কের মধ্যে ফের মুখ খুলেছেন জো বাইডেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করলে ভুল করলে। সেক্ষেত্রে যুদ্ধ আরো বড় আকার নেবে। এদিন বাইডেনকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন যে, ইউক্রেন বার বার রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা প্রকাশ করছে। তারই উত্তরে বাইডেন বলেন, ''রাশিয়া কোনোরকম পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের চেষ্টা করলে মারাত্মক ভুল করবে।'' যদিও এর জবাবে মস্কো ফের জানিয়েছে, তাদের ধারণা ইউক্রেন এমন অস্ত্র প্রয়োগের কথা ভাবছে।
ঋষি সুনকের ফোন
এদিকে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের ক্ষেত্রে প্রথম ফোনটি করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। সুনক জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য আগের মতোই ইউক্রেনকে সমর্থন করবে এবং সাহায্য করবে। বস্তুত, ইউক্রেনকে আরো বেশি সমর্থনের কথা বলেছেন সুনক। সুনক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। সুনক তার জন্য ধন্যবাদও দিয়েছেন।