1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশআফ্রিকা

ঝুঁকির মুখে আফ্রিকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল

৩০ জুলাই ২০২০

আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের বনাঞ্চল মালা মালা৷ করোনার বিস্তারের কারণে লকডাউন দেয়া হলে সেখানে পর্যটকদের আনাগোণাও কমে যায়৷ তাতে শুধু স্থানীয় অধিবাসীই ক্ষতিগ্রস্ত হননি, বনের প্রাণীরাও শিকার হবার ঝুঁকিতে পড়ে৷

Global Ideas Südafrika Mala Mala Game Reserve
ছবি: DW

সারাটা দিন ধরেই টহল দিয়ে যাচ্ছিলেন তারা৷ এরা মালা মালার ফিল্ড রেঞ্জার৷ লকডাউনের শুরু থেকেই তারা জানোয়ারদের সুরক্ষা দিতে এমনকি জঙ্গলেও লুকিয়ে ছিলেন৷

আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের বনাঞ্চল মালা মালা হলো বিশেষ সাফারি এলাকা৷ প্রতি বছর হাজারো পর্যটক আসেন এখানে৷ তবে লকডাউনের পর থেকে মানুষের আনাগোণা ছিল না৷ আর এই সুযোগ নেয়ার অপেক্ষায় থাকেন সংঘবদ্ধ শিকারীরা৷

মহামারীর কারণে যেসব প্রাণীর মাংস খাওয়া হয়, তারাও বেশ ঝুঁকিতে৷ মালা মালা হল দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে গরীব এলাকার একটি৷ রেঞ্জাররা আশেপাশের গ্রামগুলো নিয়ে বেশি চিন্তিত৷

‘‘মহামারির কারণে অনেক মানুষের কাজ নেই৷ তাদের টাকাও নেই, তারা ক্ষুধার্ত৷ আমাদের আশঙ্কা, তারা জঙ্গলে ঢুকে মাংসের জন্য প্রাণী হত্যা করতে পারে,'' বলেন ফিল্ড রেঞ্জার উবিসি৷

প্রাণীরাও বুঝতে পারে যে কিছু নিশ্চয়ই বদলেছে৷ গাড়ি ও পর্যটকদের শব্দ নেই৷ অনেক প্রাণী লোকালয়ের লজ্জা ভেঙ্গে ক্যাম্পের আরো কাছে চলে আসে৷

মালা মালা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পরিচালক ভুসি এমপান্জডা৷ লকডাউনের পর তিনি প্রধান তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বও পালন করতে থাকেন৷ ক্যাম্পে তিনি রেঞ্জারদের প্রাণীদের চলাফেরা সম্পর্কে অবহিত করেন৷

স্থানীয় জনগণের দাবির মুখে সরকার ২০১৩ সালে জঙ্গলটি ব্যক্তি মালিকানা থেকে কিনে নেয়৷ এরপর তা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফিরিয়ে দেয়৷ এ এলাকায় এখন ১১টি কমিউনিটি বসবাস করে৷ মালা মালা অপারেটিং কোম্পানিতে তাদের মালিকানাও আছে৷ এই কোম্পানি শহর কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেয়৷ আর এখানকার মানুষকে দেয় প্রশিক্ষণ৷

সংরক্ষিত বনটিতে ১৮০ জন কর্মী রয়েছেন, যাদের অনেকেই এই এলাকার বাসিন্দা৷ তবে লকডাউনের কারণে কর্মী চাহিদাও কমে যায়৷ কমে যায় আয়৷ এদের বেশিরভাগকেই ঘরে ফিরে যেতে হয়৷

‘‘এমনটা কতদিন চলবে তা কেউ জানে না৷ তাদের ক্ষেত্রেও তাই৷ তারা এতটাই বিচলিত যে, পরে কাজে নাও ফিরতে পারেন৷ ক্যাম্পে যারা আছেন তাদের জন্য তো বিষয়টি আরো খারাপ৷ যদি কোম্পানি ঠিকমত চলতে না পারে, তাহলে হয়তো বন্ধই হয়ে যাবে৷ নিজেদের সবার তো বটেই, কতগুলো পরিবারের খাবারের যোগান দেই আমরা,'' বলেন ভুসি এমপান্ডজা৷ 

ভুসি তার উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে প্রতিদিন অনলাইনে যোগাযোগ রাখেন৷ তারা জরুরি তহবিল তৈরির চেষ্টা করেছেন৷ সরকার থেকে তাদের কর্মচারীরা কিছু কিছু বেকারভাতাও পেয়েছেন, যাতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারেন৷

ভুসি এমপান্ডজা ও রেঞ্জার লুকি মাকুকুলা গ্রামে হাইজিন পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন৷

ফ্রাংকেনফেল্ড/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ