ট্রলারে করে মালয়েশিয়া
২৪ নভেম্বর ২০১২![Members of Bangladesh Navy are seen with people rescued from a sunken boat in Bay of Bengal in Teknaf November 7, 2012. A boat carrying about 110 Bangladeshis and Rohingya Muslims from neighbouring Myanmar sank in the Bay of Bengal on Wednesday as they were heading to Malaysia and about half of them were missing, a Bangladeshi border force officer said. REUTERS/Stringer (BANGLADESH - Tags: TRANSPORT DISASTER SOCIETY IMMIGRATION)](https://static.dw.com/image/16361608_800.webp)
আকাশ পথে মালয়েশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে যেতে টাকা লাগে প্রায় আড়াই লাখ৷ সেখানে ট্রলারে করে মালয়েশিয়া যাবার একটি টিকিটের মূল্য সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা৷ পরবর্তীতে মালয়েশিয়ায় গিয়ে চাকরি পাবার পর কিস্তিতে দিতে হয় আরও এক লাখ থেকে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা৷ অর্থাৎ সব মিলিয়ে খরচ প্রায় দেড় লাখ, যা আকাশ পথের চেয়ে প্রায় এক লাখ কম৷ তাই অনেক বাংলাদেশি বেকার যুবক এই পথটা বেছে নিচ্ছেন স্বপ্নের মালয়েশিয়ায় যাবার জন্য৷ যদিও পথটা বেশ বিপদ সংকুল৷ অক্টোবরের ২৭ থেকে এ মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত দুটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে৷ যাতে মারা গেছেন অনেকে৷
সাগর পাড়ি দিয়ে এভাবে মালয়েশিয়া যাবার বুদ্ধিটা বের করেছে রোহিঙ্গারা৷ সেটা নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা৷ সে সময় টেকনাফ থেকে ট্রলারে করে থাইল্যান্ড পৌঁছে, সেখান থেকে সড়কপথে মালয়েশিয়া যেত রোহিঙ্গারা৷ কিন্তু ২০১০ সালে থাইল্যান্ড সরকার কড়াকড়ি আরোপ করায় এখন টেকনাফ থেকে সরাসরি মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ ডিডাব্লিউকে এ তথ্য জানান কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা সলিমুল্লাহ৷
তিনি বলেন, এভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা সেখানে একটি আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র গড়ে তোলে৷ এর মাধ্যমে তারা টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায়৷ এখন শুধু আর রোহিঙ্গারা নন, বাংলাদেশিরাও যাচ্ছেন এভাবে৷
কক্সবাজারের সাংবাদিক আব্দুল্লাহ নয়ন ডিডাব্লিউকে বলেন, পাচারকারী চক্র কম টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবার লোভ দেখিয়ে সারা বাংলাদেশ থেকে লোক জোগাড় করছে৷ ফলে আগে শুধু কক্সবাজারের মানুষরা ট্রলারে করে মালয়েশিয়া গেলেও এখন চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা সহ অন্যান্য জেলার যুবকেরাও আগ্রহী হচ্ছেন৷
সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে সাগর শান্ত থাকায় এ সময়টায় ট্রলার চালিয়ে থাকে পাচারকারী চক্র৷