১৩ জানুয়ারি মিসরে বসছে পুরুষদের হ্যান্ডবল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ৷ ২০১৯ সালের জার্মানি ও ডেনমার্কের আসরের মতো ততটা দর্শক পাবে না মিসর সেটি অবধারিত বলা চলে৷ তবে আয়োজকদের আশা গ্যালারির ত্রিশভাগ অন্তত পূর্ণ হবে৷

চলতি বছর টেনিসের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন হবে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ করোনার কারণে এবার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন সপ্তাহ পরে হচ্ছে এ আসর৷ বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরু হওয়ার কথা ২৩ মে থেকে৷ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, উইম্বলডন ২৮ জুন আর ইউএস ওপেনের পর্দা উঠবে ৩০ আগস্টে৷

সুপার বৌলের ৫৫ তম আসরটি বসবে ৭ ফেব্রুয়ারি৷ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়া আসরের এবারের আয়োজনটি হচ্ছে ফ্লোরিডাতে৷

ফেব্রুয়ারি থেকে বেশ কয়েকটি শীতকালীন ক্রীড়া আসর শুরু হবে৷ ১-১৪ ফেব্রুয়ারি জার্মানির আল্টেনবার্গে চলবে স্কেলেটন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ৷ নর্ডিক স্কি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পয়নশিপটি হবে ওবার্স্টডর্ফে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত৷

চলতি বছর সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ব্যাপী ফর্মুলা ওয়ান এর আয়োজন হবে৷ মোট ২৩ রেসের এই আসরে প্রথমবারের মতো ভেন্যু হিসেবে যুক্ত হয়েছে সৌদি আরব৷ শুরুটা হবে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে৷

মে-জুন মাসে বেলারুশ-লাটভিয়াতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আইআইএইচএফ আইস চ্যাম্পিয়নশিপ৷ কিন্তু বেলারুশে সরকারবিরোধীদের উপর পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে সহআয়োজক হতে রাজি নয় লাটভিয়া৷ তবে এরইমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া৷

গত গ্রীষ্মে শুরুর কথা থাকলেও ইউরো ২০২০ শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে হয়নি৷ বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী জুন ১১ থেকে জুলাই ১২ পর্যন্ত ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে৷ চারটি ম্যাচ হবে মিউনিখে, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হওয়ার কথা লন্ডনে৷

জাপানের ভাগ্যটা খারাপই বলা চলে৷ চার বছর পরপর হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক৷ তার সমস্ত প্রস্তুতি সারলেও বাধা দিলো করোনা৷ ২০২০ অলিম্পিক পিছিয়ে শুরু হওয়ার কথা ২০২১-এর ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্টে৷ প্যারা অলিম্পিক হবে ২৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর৷

১৮ সেপ্টেম্বর উঠবে নারীদের রাগবি বিশ্বকাপের পর্দা৷ এবার আয়োজক নিউজিল্যান্ড৷ সেখানে প্রথমবারের মতো যোগ দিচ্ছে মরক্কো৷

চলতি বছর ক্রিকেটে আছে বেশ কয়েকটি বড় আসর৷ তার মধ্যে অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে আয়োজিত হবে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ৷ ২০১৯-২১ এর আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে ১০ জুন লন্ডনে৷ জুন থেকে শুরু হবে মেয়েদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব৷

দীর্ঘ বিরতির পর নতুন বছরের প্রথম মাস থেকেই ব্যস্ত সূচী শুরু হচ্ছে টাইগারদের জন্য৷ ২০ জানুয়ারি শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হোম সিরিজ৷ আছে তিন ওয়ানডে, দুই টেস্ট৷ মার্চে বাংলাদেশ যাবে নিউজিল্যান্ডে৷ খেলবে তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি৷ জুনে জিম্বাবোয়ে সফর৷ জুলাইতে এশিয়া কাপের পরে ইংল্যান্ডের সঙ্গে আছে হোম সিরিজ৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও৷

২০১৯ সালের ১১ মে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার৷

১৯৯৬ সালের ২ এপ্রিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৮ বলে তিন অংকে পৌঁছেছিলেন তিনি৷ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত সিঙ্গার কাপের ঐ ম্যাচে পাকিস্তানকে (৩১৫ রানে অলআউট) ৩৪ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা (৯ উইকেটে ৩৪৯)৷

২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৬ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন বাটলার৷

২০১৪ সালের প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করেন নিউজিল্যান্ডের রাইডার৷ এই ম্যাচ আরেকটি দ্রুততম শতক দেখেছিল৷ সেই তথ্য থাকছে পরের দিকে৷

২০০৫ সালের ১৫ এপ্রিল ভারতের বিরুদ্ধে ৪৫ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন আফ্রিদি৷ ভারত সফরে যাওয়া পাকিস্তান ম্যাচটি জিতেছিল পাঁচ উইকেটে৷ ভারতের করা ২৪৯ রান ৪৭ বল হাতে থাকতেই পেরিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান৷

১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪৫ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন লারা৷ মোট করেছিলেন ১১৭ রান৷ তার দল করেছিল ৩১৪ রান৷ জবাবে বাংলাদেশ ২০৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল৷ টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছিলেন অধিনায়ক বুলবুল৷

২০০৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার৷ ম্যাচটিতে তিনি ১৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন৷

১৯৯৬ সালের ৪ অক্টোবর নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি৷ এরপর অবশ্য আর মাত্র দুই রান যোগ করেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি৷ পাকিস্তান করেছিল ৩৭১ রান৷ জবাবে শ্রীলঙ্কা ২৮৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল৷

২০১৪ সালের প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩৬ বলে শতক হাঁকান নিউজিল্যান্ডের অ্যান্ডারসন৷ সেদিন তিনি ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন৷

২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাউথ আফ্রিকার ভিলিয়ার্স৷ হাফ সেঞ্চুরি করেন ১৬ বলে৷ এখন পর্যন্ত এই দুটো রেকর্ডই অক্ষুন্ন আছে৷ দ্রুততম শতক করার পথে তিনি নিউজিল্যান্ডের অ্যান্ডারসনের রেকর্ড ভাঙেন৷ আর দ্রুততম অর্ধশতক করতে ১৯৯৬ সালে জয়সুরিয়ার করা রেকর্ড ভাঙতে হয়েছে৷ জয়সুরিয়ার লেগেছিল ১৭ বল৷ রেকর্ড গড়ার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রান করেন ভিলিয়ার্স৷