1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টাইটানিক ট্র্যাজেডি

১৫ এপ্রিল ২০১২

বিখ্যাত জাহাজ ‘টাইটানিক’ ডোবার একশ বছর পূর্ণ হলো৷ এই উপলক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা আয়োজন৷ ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতের ঠিক আগে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লাগার তিন ঘন্টা পর ১৫ এপ্রিলের প্রথম প্রহরে ডুবে যায় টাইটানিক৷

ছবি: Musikautomaten-Museum Bruchsal

এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১,৫১৩ জনের৷ জাহাজটি ব্রিটেনের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিল৷

এই শত বছরে জাহাজডুবির আরও অনেক ঘটনাই ঘটেছে৷ কিন্তু টাইটানিকের মতো কোনোটাই এতটা আলোড়ন তুলতে পারেনি৷

এই এক জাহাজকে নিয়ে কত যে গান, কবিতা আর বই লেখা হয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই৷ হলিউডে হয়েছে ব্লকবাস্টার ছবিও৷

সাগরের তলে টাইটানিকের অংশছবি: dapd

যেবছর টাইটানিক ডোবে সে বছরই কয়েকটি বই প্রকাশ পায়৷ এরপর পঞ্চাশের দশকে টাইটানিককে নিয়ে বানানো হয় ‘এ নাইট টু রিমেম্বার' নামের একটি ছবি৷ সেসময় একটি বই'ও বের হয়েছিল৷

এরপর আবার টাইটানিক নিয়ে আলোচনা হয় আশির দশকে, যখন ১৯৮৫ সালে আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের খোঁজ পাওয়া যায়৷ আর ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় জেমস ক্যামেরনের ‘টাইটানিক' ছবিটি৷ শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ছবিটি এবার থ্রিডি'তে মুক্তি দেয়া হয়েছে৷

কিন্তু টাইটানিককে নিয়ে কেন এত মাতামাতি? এই বিষয়টা নিয়ে কয়েকটা বই লিখে ফেলেছেন অধ্যাপক জন উইলসন ফস্টার৷ তিনি বলছেন, কারণ অনেক৷ যেমন, যে সময় টাইটানিক ডোবে তখন সেটাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ৷ এছাড়া যাত্রী তালিকায় ছিল পৃথিবীর অনেক বড় বড় ধনীর নাম৷ ছিলেন পেইন্টার, লেখক, ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে শুরু করে অভিনেতারাও৷

উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট শহরের একটি কারখানায় টাইটানিকটি তৈরি হয়েছিল৷ ট্র্যাজেডির শত বছর উপলক্ষ্যে সেখানে একটি জাদুঘর খোলা হয়েছে৷ টাইটানিকের সঙ্গে বেলফাস্টের নাম জড়িয়ে থাকায় সেখানকার অধিবাসীদের কাছে দুর্ঘটনাটা কিছুটা কলঙ্কের বটে৷ নতুন উদ্বোধন করা এই জাদুঘরটি সেই কলঙ্ক থেকে তাদের মুক্তি দেবে বলে আশা বেলফাস্টবাসীর৷

বেলফাস্টের টাইটানিক জাদুঘরছবি: DW

এদিকে, টাইটানিকের যাত্রীদের ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্রের নিলামের ব্যবস্থা করা হয়েছে নিউ ইয়র্কে৷ প্রায় পাঁচ হাজার জিনিসের মধ্যে রয়েছে পারফিউম, শেভিং ক্রিম, অলঙ্কার ইত্যাদি৷ সব মিলিয়ে এগুলোর মূল্য হতে পারে প্রায় ১৯০ মিলিয়ন ডলার বা দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি৷

আর হবেই বা না কেন? ২০০৮ সালে এক ক্রেতা ৫৫ হাজার ডলার বা প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের একটি টিকিট কিনেছিলেন৷ ২০১০ সালে আশি হাজার ডলার বা প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি চিঠি কিনেছিলেন আরেক ক্রেতা৷ চিঠিটি টাইটানিকে বসে লেখা হয়েছিল৷

‘এ নাইট টু রিমেম্বার’ ছবির পোস্টারছবি: picture alliance/Mary Evans Picture Library

এবার টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে কিছু তথ্য৷ ২৬৯ মিটার লম্বা, ২৮ মিটার চওড়া আর ৫৩ মিটার উঁচু টাইটানিক তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১০ মিলিয়ন ডলার৷ বর্তমানের হিসেবে সেটা প্রায় ২১৩ মিলিয়ন ডলারের সমান৷ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জাহাজে কোনো অ্যালার্ম সিস্টেম রাখেন নি, কারণ টাইটানিক কখনো ডুববে না এমনটা ধরে নেয়া হয়েছিল৷

টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির টিকিটের মূল্য ছিল তখনকার দিনে ৪৪০০ ডলার৷ এখনকার দিনে যেটা প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকার সমান৷ টাইটানিকে ছিল না কোনো টেলিস্কোপ৷ ফলে যেসব নাবিক জাহাজ চলার পথে নজর রাখছিলেন তারা আইসবার্গকে অনেক পরে দেখতে পান৷ এছাড়া একই পথ দিয়ে যাওয়া আগের জাহাজগুলো থেকে আইসবার্গ থাকা প্রসঙ্গে টাইটানিকে খবর পাঠানো হলেও বাড়তি নজরদারির জন্য টাইটানিকের ক্যাপ্টেন কোনো ব্যবস্থা নেননি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক (ডিপিএ)

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ