সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জামার্নি ও স্পেনকে হারিয়ে ই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দল হিসেবে নক আউট পর্বে পা রাখে জাপান৷ ২০০২ সাল থেকে শুরু করে এর আগে তিন বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে পৌঁছালেও কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারেনি তারা৷ স্বপ্ন পূরণ হলো না এবারও৷ টাইব্রেকারে তাদেরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে চলে গেল গতবারের রানার্স আপরা৷
ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখে জাপান৷ গোলের বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা তৈরি করলেও প্রথম দিকে কোনটিই লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি৷ ২৫ মিনিট থেকে ২৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াও দুইবার জাপানি রক্ষণভাগ ভাঙতে সক্ষম হয়ে বল জালে গড়াতে ব্যর্থ হয়৷ শেষ পর্যন্ত ৪২ মিনিটে ডাইজেন মায়েদার গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ব্লু সামুরাইরা৷
চলতি বিশ্বকাপে প্রথবারের মতো প্রতিপক্ষের আগে গোল দেয়া জাপান ফিরে এসে কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলতে শুরু করে৷ এই সুযোগে ক্রোয়েশিয়া আক্রমণের ধার বাড়ায়৷ ৫৪ মিনিটে ইভান পেরিশিচের গোলে সমতায় ফেরে তারা৷
গোল পুনরুদ্ধারে মরিয়া লড়াই শুরু করে জাপান৷ ওয়াতারু এন্ডোর দূর পাল্লার জোরালো শট ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ঠেকিয়ে না দিলে ৫৬ মিনিটেই আবারো এগিয়ে যেতে পারত তারা৷ ৬২ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে লুকা মদ্রিচের নেয়া জোরালো শট ব্যর্থ করে দেন জাপানি গোলকিপারও৷
নির্ধারিত সময়ে আর গোল পায়নি দুই দলেরই কেউই৷ ম্যাচ গড়ায় বাড়তি ৩০ মিনিটে৷ এই সময়ে দুই দল সতর্কভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করে৷ ১০৪ মিনিটে জাপান জোরালো একটি আক্রমণ চালালেও সফলতা পায়নি৷
১২০ মিনিটের খেলাতেও ফলাফল না আসায় টাইব্রেকারে যায় দুই দুল৷ মিনআমিনো, মিতোমা আর ইয়োশিদার শট ঠেকিয়ে জাপানিজদের হৃদয় ভাঙেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ৷
হাজার মাইল দূরের দেশে চলমান বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশিদের উন্মাদনার শেষ নেই৷ এই উন্মাদনার কিছু নমুনা দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
বর্ণিল সাজ
ঢাকার বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে চলছে বিশ্বকাপের ম্যাচ প্রদর্শন৷ সেখানে হাজির হচ্ছেন শহরের নানা প্রান্তের খেলাপ্রেমী মানুষ৷ সরাসরি তারা মাঠে খেলা দেখছেন না, তাতে কী! পোশাকে, চুলে প্রিয় দলের সাজ নিয়ে জড়ো হচ্ছেন ঠিকই৷ বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
বাঁধনহারা উল্লাস
প্রিয় দল গোল করেছে৷ সেই উল্লাসে মেতে উঠেছেন সমর্থকরা৷ তাদের গায়ে সমর্থিত দলের জার্সি থাকবে না তা কি হয়!
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
মোটর শোভাযাত্রা
প্রিয় দলের জয়ের পর মোটর সাইকেল নিয়ে ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন অনেকে ৷ শুধু পোশাক নয়, মোটর সাইকেলও রেঙেছে সেই দলের জার্সির রঙে৷ সঙ্গে সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে ছড়িয়ে পড়া ভুভুজেলাও থাকছে৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
নাগিন নৃত্য
চার বছর আগে নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নাগিন নাচে মেতে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা৷ এরপর জয় উদযাপনে বাংলাদেশিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ভঙ্গি৷ ব্রাজিলের জয়ে সাম্বার বদলে এই বাংলাদেশি সমর্থকরাও বেছে নিলেন নাগিন নৃত্যকে৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
মাথায় হাত!
এমন একটি দলের বিপক্ষে হারতে যাচ্ছে তাদের দল, ঘুনাক্ষরেও ভাবননি সমর্থকরা৷ গোল খাওয়ার পর একসঙ্গে তাই সব সমর্থকের মাথায় হাত পড়েছে৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
সবার নজর
উন্মুক্ত স্থানে বড় পর্দায় খেলা চলাকালে আশেপাশের সবকিছু যেন থমকে যায়৷ এই ছবিতেই দেখুন না! রিকশাচালক, যাত্রী, পথচারী, খেলা দেখতে আসা মানুষ সবার চোখই আটকে আছে একটি জায়গাতে৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
খেলা হবে!
‘খেলা হবে’, বাংলাদেশের রাজনীতির জনপ্রিয় এক স্লোগান, যা ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও৷ রাজনীতির মাঠের সেই স্লোগান এবার ব্যবহার হচ্ছে সত্যিকারের খেলায়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় পর্দায় এই স্লোগানেই চলছে খেলা দেখা৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান নীচের দিকে৷ তাতে কী! বিশ্বকাপ উন্মাদনায় বাংলাদেশের দর্শকরা কোনো অংশে কম নন৷ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, ছবি, এমনকি ফিফার টুইটও সেই কথাই জানান দিচ্ছে৷ একসঙ্গে হাজারো বাংলাদেশির খেলা দেখার এমন ছবি ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়াতে৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
কাতারেও
শুধু নিজের দেশে বসেই খেলা দেখে প্রিয় দলের সমর্থন জানাচ্ছেন বাংলাদেশিরা এমন নয়৷ বিশ্বকাপ দেখতে অনেকেই চলে গেছেন মরুর দেশ কাতারে৷ আবার সেখানে বসবাসরত প্রবাসীরাও এই ফুটবল উৎসবে যোগ দেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না৷ এই ছবিটি দোহায় বিশ্বকাপ উদ্বোধনের আগে৷