1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টানা হরতাল, অবরোধ আসছে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ নভেম্বর ২০১৩

আসছে সপ্তাহে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে৷ যেদিন তফশিল ঘোষিত হবে সেদিন থেকেই বিএনপি হরতাল, অবরোধের মতো টানা আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবে৷ লক্ষ্য – সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়৷

দেশ আবারও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa

তবে আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে৷ আর নির্বাচন প্রতিহত করার কোনো চেষ্টা আইন বিরোধী হিসেবে গণ্য হবে৷

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে তাঁরা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করবেন৷ জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের ৭ অথবা ৯ তারিখে নির্বাচন করতে চায় কমিশন

এই নির্বাচন শুধু বর্জন নয়, প্রতিহত করতে চায় বিএনপি'র নেতৃত্বাধীন বিরোধী ১৮ দলীয় জোট৷ এজন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ জোটের নেতারা মনে করেন, আগে হরতাল ডেকে যেভাবে নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে থাকতেন সেই পরিস্থিতি আর নেই৷ আন্দোলন সফল করতে হলে এখন নেতা-কর্মীদের মাঠে নামতে হবে৷ এজন্য আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে৷ ঢাকায় আন্দোলনের মূল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ৮ জন নেতাকে৷ তেমনি বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দায়িত্ব ভাগ করা হয়েছে৷ বিএনপি'র নীতি নির্ধারকরা মনে করেন ঢাকার বাইরে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি সফল করা তুলনামূলক সহজ হবে৷ তবে ঢাকায় তাদের কিছুটা বেগ পেতে হবে৷ এজন্য তাঁরা ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চান৷ বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন বর্তমান সরকার কাঠামোর অধীনে বিএনপি কোনোভাবেই নির্বাচনে যাবে না৷ আর তথাকথিত বহুদলীয় সরকারে যোগ দেয়ার প্রশ্নই আসে না৷ বিএনপি এই একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করবে৷ সেজন্য যত ধরণের কর্মসূচি দেয়ার প্রয়োজন তা দেয়া হবে৷ আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে অপসারণ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হবে৷

সোমবারের মধ্যে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণাছবি: DW

বিএনপি'র আরেক সিনিয়র নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেন সরকারের আচরণের ওপরই আন্দোলনের ধরণ নির্ভর করবে৷ হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও এসব কর্মসূচি থাকবে সাধারণভাবেই৷ জানা গেছে তফশিল ঘোষণার দিন থেকে টানা হরতাল, অররোধের ব্যাপারে ১৮ দলের নেতারা একমত হয়েই আছেন৷ তবে রবিবার কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে৷ তাঁরা শুক্র ও শনিবার বাদ দিয়ে সপ্তাহের ৫ দিনই হরতাল অথবা অবরোধ দিতে চান৷

ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় বিরোধী জোটছবি: picture-alliance/dpa

এদিকে তফশিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিএনপি চাইলে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় অংশ নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন সরকারের মন্ত্রীরা৷ কিন্তু খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সংলাপের অনুরোধ জানানোর পরও সংলাপের কোনো লক্ষণ নেই৷ তবে আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন আলোচনার সময় এখানো আছে৷ কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টাকে সহজভাবে নেবে না সরকার৷ সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন নির্বাচন প্রতিহত করা রাষ্ট্র ও আইন বিরোধী৷ তিনি বলেন নির্বাচন প্রতিহত করতে চাইলে সহিংসতা বাড়বে৷ কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করতে পারবে না বিরোধী দল৷ নির্বাচন যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে৷ তিনি মনে করেন বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি'র অনেক নেতা ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন৷

বহুদলীয় মন্ত্রিসভার সদস্য ওবায়দুল কাদের মনে করেন, সারাদেশের বিএনপি নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন৷ তাঁর বিশ্বাস বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে না এসে পারবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ