অ্যামেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ মিলিয়ন। টেলিভিশনের সামনে টিকা নিলেন জো বাইডেন। যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
করোনা ভ্যাকসিন নিলেন অ্যামেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার বাড়ির কাছেই একটি ক্লিনিকে টিকার প্রথম ডোজ নেন বাইডেন। পরবর্তী টিকা নেবেন কয়েক দিন পরে। গোটা প্রক্রিয়াটিই টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হয়। বাইডেন টিকা নিয়ে বলেছেন, দেশের নাগরিক যাতে ভ্যাকসিন নিতে ভয় না পান, তার জন্য উদাহরণ তৈরি করলেন তিনি।
সোমবার অ্যামেরিকায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ মিলিয়নে পৌঁছেছে। তারই মধ্যে যুক্তরাজ্যে নতুন করোনার স্ট্রেইন আসার পরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়েছে। অ্যামেরিকায় এমনিতেই করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইন আগের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতেই ভ্যাকসিন নেন বাইডেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য লাইভে টিকা নেবেন তিনি। মঙ্গলবার টিকা নেওয়ার সময় নার্স তাঁকে তিন গুণতে বলেছিলেন। বাইডেন নার্সকে বলেন, তিনি তৈরি। নার্স ইঞ্জেকশন দিতে পারেন।
এ বছর জার্মানিতে যেভাবে ক্রিসমাস উদযাপন
করোনা সংকট জার্মানিতে ক্রিসমাসের আমেজে কেমন প্রভাব ফেলেছে, দেখুন এই ছবিঘরে...
ছবি: picture alliance/D. Kalker
ড্রেসডেনের গির্জা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তৈরি ড্রেসডেন শহরের ফ্রাউয়েনকির্শে গির্জাটি এই অঞ্চলে সৌহার্দ্যের প্রতীক৷ সাধারণত, এই গির্জায় ক্রিসমাসের সময় ভিড় জমান কয়েক হাজার মানুষ৷ এ বছর তা হবে না৷ বদলে, গির্জার অনুষ্ঠান ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে সবার জন্য৷
ছবি: picture-alliance/ZB/T. Eisenhuth
বাখের গির্জা
বিখ্যাত সংগীতস্রষ্টা ইওহান সেবাস্টিয়ান বাখ লাইপসিশ শহরের টোমাসকির্শে গির্জার সাথে দীর্ঘ ২৭ বছর যুক্ত ছিলেন৷ তার হাতে গড়া সেন্ট টমাস বয়েজ কয়ার আজও প্রতি বছর ক্রিসমাসের সময় নানা ধরনের ক্যারল পরিবেশন করে৷ এই গির্জায় জমায়েতের অনুমতি থাকলেও অন্যান্যবারের মতো হাজার হাজার মানুষ সেখানে যোগ দিতে পারবেন না৷ আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করা হাতে গোনা কয়েকজনই পারবেন অংশ নিতে৷
ছবি: Bachfest Leipzig/J. Schlueter
মিউনিখের ফ্রাউয়েনকির্শে
ক্রিসমাসের ভোর তিনটের সময় প্রতি বছর এই গির্জায় টানা ২০ মিনিট ধরে ঘণ্টা বাজানো হয়৷ ক্রিসমাসের অনুষ্ঠান তারাও সরাসরি সম্প্রচার করবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে৷ সশরীরে অনুষ্ঠান উপভোগ করার অনুমতি রয়েছে মাত্র ১৩০জনের৷
ছবি: picture-alliance/Chromorange/A. Gravante
কোলন ক্যাথিড্রাল
বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ গির্জা কোলনের ক্যাথিড্রাল৷ ৫১৫ ফুট উঁচু এই ক্যাথিড্রালের ক্রিসমাসের বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নিতে সাধারণ মানুষকে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে৷ মানা হবে অন্যান্য করোনাবিধি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Berg
রাজার ক্যাথিড্রাল
আখেন শহরের ক্যাথিড্রালটি এক হাজার ২২৪ বছর পুরোনো৷ এই ক্যাথিড্রালে এক সময় জার্মান রাজাদের অভিষেকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো৷ জনপ্রিয় এই ক্যাথিড্রালেও এবার করোনার কারণে ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মাত্র ১২০জন৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigur Rahman
হামবুর্গের গির্জা
জার্মানির উত্তরাঞ্চলের ‘মিশেল’ গির্জায় ক্রিসমাসের সময় বেশ কয়েকদিন ধরে চলে টানা প্রার্থনা৷ এ বছর গোটা প্রার্থনাটাই হবে গির্জার ভেতরে ও বাইরে খোলা আকাশের নীচে অনেক বেশি জায়গা জুড়ে৷ কারণ, গুরুত্ব পাচ্ছে শারীরিক দূরত্ব ও করোনাবিধি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বার্লিনের গির্জা
বার্লিনের কাইজার মেমোরিয়াল গির্জা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ আজও এই গির্জার গুরুত্ব মানুষের কাছে বেশ অনেকটাই৷ করোনাবিধি মেনে এখানে অন্যান্য বারের তুলনায় কম দর্শক ভিড় জমাবেন, কারণ, কড়াকড়ি কমানো হয়নি এখনো৷
ছবি: picture-alliance/ ZB
সর্বোচ্চ চূড়া যে গির্জার
বিশ্বের সবক’টি গির্জার মধ্যে সবচেয়ে উঁচু চূড়ার খেতাব রয়েছে উলম শহরের ম্যুনস্টার গির্জার৷ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় এই স্থানে এবার ভীড় অনেকটাই কম হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানির সবচেয়ে বড় ‘প্রোটেস্টান্ট গির্জা’য় ক্রিসমাস পালন করতে হলে প্রয়োজন হবে আগাম অনুমতির৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Puchner
এগারোটি প্রার্থনার অনুষ্ঠান
হিলডেশহাইম ক্যাথিড্রালে নিয়ম মেনেই পালিত হবে ক্রিসমাস৷ দর্শকের ভীড় সামলাতে মোট ১১টি প্রার্থনা আযোজিত হবে৷ প্রতিবারই বজায় রাখা হবে দূরত্ব৷ একেকটি প্রার্থনা সভায় যোগ দিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮০জন৷
ছবি: Fotolia/panoramarx
নিয়ম মেনেই উৎসব
এরফুর্ট শহরের সবক’টি গির্জাতেই এবার ব্যাপক কড়াকড়ি৷ জার্মানির অন্যান্য গির্জার মতো এখানেও জারি আছে দূরত্ববিধি৷ গির্জার প্রবেশদ্বারের পাশেই রয়েছে হাতধোয়া ও জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা৷ এভাবেই সংকটের মধ্যেও সংযতভাবে উৎসব পালন করার পরিকল্পনায় জার্মানির গির্জাগুলি৷
ফাইজারের টিকা নিয়েছেন বাইডেন। জানিয়েছেন, সাধারণ মার্কিনিদের টিকা পেতে আরো একটু সময় লাগবে। গোটা দেশে বিতরণের প্রক্রিয়ায় একটু সময় লাগছে। তবে যে ভাবে টিকা সমস্ত রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে তার প্রশংসা করতে গিয়ে বর্তমান প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন। বস্তুত এই প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনকে কোনো কাজের জন্য ধন্যবাদ দিলেন তিনি। পাশাপাশি বাইডেন বলেছেন, টিকা না পাওয়া পর্যন্ত সকলে যেন মাস্ক ব্যবহার করেন। মাস্কের কোনো বিকল্প নেই।
পৃথিবীর বহু দেশে যুক্তরাজ্যে যাতায়াত বন্ধ করেছে। জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত সহ ইউরোপের একাধিক দেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যামেরিকা অবশ্য এখনো যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করেনি। তবে কোনো কোনো মার্কিন বিমান সংস্থা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দেখালে তবেই বিমানে চড়া যাবে।
যুক্তরাজ্য আবার ব্রাজিলের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বাতিল করেছে। ব্রাজিলে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্রিসমাসে সকলে যাতে বাড়িতে থাকেন, তার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করছে। মনে করা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই করোনার নতুন ধরন যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে।