1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘টিকি-টাকা’ ফুটবল

১১ জুন ২০১৪

একে শুক্রবার, তার ওপর ১৩ তারিখ৷ গ্রুপ ‘বি’-র প্রথম খেলাতেই ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ঘটবে – অথবা ঘটবে না৷ ডাচ তরফে ‘ফাইভ-ম্যান ডিফেন্স’; আর স্পেনের কোচ বলছেন, ‘‘আমরা অন্যরকমও খেলতে জানি’’৷

Fußball WM Finale Spanien Niederlande Weltmeisterschaft Siegerehrung
ফাইল ফটোছবি: dapd

চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েটো-র সকার সিটিতে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ হয়েছিল: অবশ্য ম্যাচ না বলে প্রকাশ্য মারামারিও বলা চলতে পারে৷ ঐ একটি ম্যাচে ১৩টি হলদে কার্ড আর একটি লাল কার্ড৷ ঠিক সেই জুটিকেই যে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে পরস্পরের মুখোমুখি হতে হবে, এটা কে ভাবতে পেরেছিল! তাই গ্রুপ ‘বি'-র ড্র-এর পর স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কের ক্ষেদোক্তি: ‘‘আমি নিশ্চিত যে ওরা আমাদের মুখোমুখি হতে চায়নি, যেমন আমরাও ওদের মুখোমুখি হতে চাইনি৷''

না চাইলে কি হবে, আগামী শুক্রবারে ঠিক তাই ঘটতে চলেছে৷ তবে স্পেন এবার জেনেশুনেই দক্ষিণ আফ্রিকার বদলে দক্ষিণ অ্যামেরিকায় আসছে: সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগে স্পেনের একাধিপত্য সত্ত্বেও কোচ দেল বস্কে জানেন – এবং বলেছেন যে, ‘ডেপ্থ' ছাড়া ‘পজেশনের' কোনো মানে হয় না, অর্থাৎ আক্রমণ করতে না পারলে শুধু বল নিজের কাছে রেখে কোনো লাভ নেই৷ প্রেসার দিয়ে বল ছিনিয়ে নিয়ে টিমকে গোষ্ঠী হিসেবে আক্রমণ চালাতে হবে৷

সোমবার ছিল ব্রাজিলে স্পেন দলের প্রথম পূর্ণ দিন৷ সেদিনই অ্যাটলেটিকো প্যারানেন্সের মাঠে একটি জোরালো ‘ট্রেনিং সেশন' চালিয়েছেন দেল বস্কে৷ টাইট স্পট থেকে ছোট ছোট পাসের মাধ্যমে কিভাবে বেরিয়ে আসা যায় – এই ছিল ট্রেনিং৷ সে ট্রেনিং আবার দেখেছেন শ'দুয়েক অ্যাক্রেডিটেড সাংবাদিক৷ কেন এই ট্রেনিং? ঐ পক্ষের কোচ লুইস ফ্যান খাল যে টোটাল ফুটবল মাথায় রেখে ৫-৩-২, অর্থাৎ রীতিমতো ‘ডিফেন্সিভ' খেলাবেন, সে খবর আসার পরেই বোধহয়৷

তা-তে ফ্যান খাল-এর কোনো আপত্তি নেই৷ বায়ার্ন মিউনিখের কোচ পদ থেকে তিনি যখন বিদায় নেন, তখন কি কেউ ভাবতে পেরেছিল, সেই ফ্যান খাল একদিন নেদারল্যান্ডস দলের দায়িত্ব নেবেন – এবং সে কাজ শেষ হওয়ার পর পরই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এর কোচ হবেন? সব মিলিয়ে ইউরোপীয় ফুটবলে একজন প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব৷ কাজেই সেই ‘ফ্যান খাল সিস্টেমে' এবার কতদূর কাজ হয়, ফুটবল দুনিয়া তা জানতে চাইবে বৈকি৷

গ্রুপ ‘বি’-র প্রথম খেলাতেই ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ঘটবে – অথবা ঘটবে নাছবি: AP

গত সপ্তাহে ঘানার বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডস ১-০ গোল জেতার পর ফ্যান খাল বলেছিলেন: ‘‘সমালোচকরা তো থাকবেই, তবে আমি সত্যিই এই প্রণালীতে বিশ্বাস করি, এবং বিশ্বাস করি, আমার প্লেয়াররা তা কাজে লাগাতে পারবে৷'' তবে ফ্যান খালের গোলন্দাজদের এই গ্রুপ ‘বি'-তে কোচ হর্গে সামপোলি-র সুচতুর চিলিয়ানদের মোহড়া নিতে হবে৷ আবার তাঁদের সামলানো গেলেও, বাকি থাকবে মরিয়া অস্ট্রেলিয়ানরা – যাঁদের ফিফা ব়্যাংকিং হলো ৫৯, অথবা বিশ্বকাপে হাজির ৩২টি দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন৷

দেল বস্কেকে মনে রাখতে হবে, বিগত ৫০ বছরে কোনো দেশ পর পর দু'টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি৷ এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইটালি ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাতে গিয়েছিল মাথা উঁচু করে, কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই হেরে বিদায় নিতে বাধ্য হয়৷ তবে কি জানেন: ‘আপসেট'-ই যদি না হলো, তাহলে আবার ফুটবল কিসের? আর বিশ্বকাপ মানেই তো বড় ‘আপসেট'৷ স্থানীয় সাট্টাওয়ালাদের জিগ্যেস করে দেখতে পারেন!

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ