1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিপাইমুখ

২৯ আগস্ট ২০১২

নতুন দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের দুদিনের বৈঠক শেষে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের সংশয় নিরসনে প্রকল্পের তথ্যউপাত্তসহ বিস্তারিত রিপোর্ট বাংলাদেশের হাতে তুলে দিল ভারত৷

Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina, right, escorts Indian Prime Minister Manmohan Singh left, after receiving him at the airport in Dhaka, Bangladesh, Tuesday, Sept. 6, 2011. Singh began a visit to Bangladesh on Tuesday aimed at warming often prickly ties between the two South Asian neighbors. (AP Photo/ Pavel Rahman)
ছবি: AP

ভারতের মণিপুর-মিজোরাম সীমান্তে টিপাইমুখ বহুমুখী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের মনে একটা সংশয় দানা বাঁধছিল অনেকদিন ধরে৷ সেটা দূর করতে নতুন দিল্লিতে বসে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সাব-গ্রুপের বৈঠক৷ টিপাইমুখ প্রকল্পের তথ্য উপাত্তসহ ৬-খণ্ডের বিস্তারিত রিপোর্ট বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয় ভারত৷ স্থির হয়, উভয় দেশের বিশেষজ্ঞ দল প্রকল্প এলাকা যৌথভাবে সমীক্ষা করবে৷ যৌথ সমীক্ষার কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি৷

বাংলাদেশের আশঙ্কা, প্রস্তাবিত ঐ বাঁধ নির্মিত হলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ ভাটির দিকের নদী সুরমা ও কুশিয়ারি নদীতে জলের মাত্রা কমে যাবে৷ বাংলাদেশ জল কষ্টের সম্মুখীন হবে৷ পরিবেশগত দিক থেকেও বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ উল্লেখ্য, পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হবে বলে মণিপুর, আসাম ও অরুণাচল প্রদেশও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

ছবি: Bdnews24.com

এর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে ভারত বলেছে, শুখা মরশুমে ভাটির দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশমুখী নদীগুলি, বিশেষ করে সুরমা ও কুশিয়ারি নদীর জলের মাত্রা হ্রাস পাবেনা৷ আর বর্ষাকালে অতিরিক্ত জলপ্রবাহ আটকে বাংলাদেশে বন্যার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে৷ শুধু তাই নয়, টিপাইমুখ প্রকল্পে বাংলাদেশের অংশগ্রহণেরও প্রস্তাব দেয় ভারত৷ এতে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ নিতে পারবে, দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সুরাহা করতে৷

উল্লেখ্য, ভারত ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে, ঢাকার স্বার্থ বিপন্ন হয়, এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে না৷ গতকালের বৈঠকেও বলা হয়েছে দিল্লি-ঢাকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ব্যাহত হয়, মনমোহন সিং সরকার তা করবেনা৷

বরাক নদীর ওপর ১৬৩ মিটার উঁচু টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পে ৬টি ইউনিটের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫০০ মেগাওয়াট৷ বরাক উপত্যকাতে জলস্ফীতি ও আকস্মিক বন্যারোধে ১৭ লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখতে পারবে টিপাইমুখ বাঁধ৷

১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের যৌথ নদী কমিশনের মীর সাজ্জাদ হোসেন এবং ভারতের পক্ষে দেবেন্দ্র শর্মা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ