আবার বিতর্কের কেন্দ্রে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়ে।
বিজ্ঞাপন
বিচারক থেকে বিচারপতিরা সচরাচর সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেন না, অন্তত কর্মরত অবস্থায় তো নয়ই। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের চারজন বিচারপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারাও সাক্ষাৎকার দেননি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবিপি আনন্দ চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে দুর্নীতির মামলা ও তার রায় নিয়ে তিনি খোলাখুলি কথা বলেছেন। আর তার পরেই শুরু হয়েছে আলোড়ন।
মতপ্রকাশের অধিকার মৌলিক অধিকার হলেও একজন বিচারপতির এভাবে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়াটা বেনজির ঘটনা। ফলে এনিয়ে প্রবল আলোড়ন হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে বিচারপতি গঙ্গেপাধ্যায়ের পক্ষে ও বিপক্ষে মত জানাচ্ছেন প্রচুর মানুষ। আইনজীবীরা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন। এমনিতেই একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে এবং মামলা চলাকালীন নানা ধরনের পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিচারপতি গঙ্গেোপাধ্যায় বিতর্কে ছিলেন। কিন্তু এবার সাক্ষাৎকার দেয়ার পর যে আলোড়ন শুরু হয়েছে, সেটাও নজিরবিহীন।
পার্থ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিক্ষোভকারীদের দাবি, চাকরি চাই
প্রায় পাঁচশ দিন ধরে তারা প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর খুশি হয়েও তাদের দাবি, এবার চাকরি দিতে হবে।
ছবি: Subrata Goswami /DW
গান্ধী মূর্তির নীচে
রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে এই শামিয়ানার নীচে আন্দোলনরত কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী নারী পুরুষ আজও একটাই আশায় এখানে প্রতিদিন অবস্থান করেন, “একদিন সুবিচার অবশ্যই পাওয়া যাবে। তারা চাকরি পাবেন।
ছবি: Subrata Goswami /DW
পার্থর বিরুদ্ধে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের এই আন্দোলন, সেই দফতরেরই সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গত শুক্রবার ইডির আধিকারিকরা ২৭ ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করেন। এতে খুশি বিক্ষোভকারীরা। এসএসসি-কেলেঙ্কারি যখন হয়, তখন পার্থ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তখন থেকেই পার্থর বিরুদ্ধে সোচ্চার বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু তারা এখন অবিলম্বে চাকরি চান।
ছবি: Subrata Goswami /DW
ববিতার দাবি
২০২১ সালে ব্যক্তিগত ভাবে মামলা করেন ববিতা সরকার। পরবর্তীকালে তিনি জয়ী হন এবং সরকার তাকে চাকরি দিতে বাধ্য হয়। ববিতার মামলার জেরেই ব্যাপারটা ইডি ও সিবিআই পর্যন্ত গড়ায়। পার্থর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে ববিতা বলেছেন, ''এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আমরা কী কারণে বঞ্চিত হয়েছি। তবে এটা সফল্য কি না জানি না, এটুকু বলতে পারি, কেউই আইনের ঊর্ধে নয়।''
ছবি: Subrata Goswami /DW
ক্যানসার আক্রান্ত সোমার কথা
এসএসসি দুর্নীতির পাশাপাশি ক্যানসারের মত মারণরোগের বিরুদ্ধেও লড়াই চালাতে হয়েছে সোমাকে। সোমার অবশ্য চাকরি হয়েছে, তবু আন্দোলনের মঞ্চকে ভুলে যাননি সোমা। সোমা আজও সুযোগ পেলে অবস্থান মঞ্চে আসেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ''জানতাম দুর্নীতি হয়েছে, তবে তার শিকড় যে এত দূর বিস্তৃত তা জানতাম না। তবে যদি উনি দোষী সাব্যস্ত হন, কঠিন শাস্তি চাইব।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
চাকরি চান মইদুল
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের প্রেসিডেণ্ট মইদুল ইসলাম। আন্দোলন চলাকালীন আট দিনের সন্তানের মৃত্যুও দেখতে হয়েছে তাকে। তিনি জানালেন, তারা এই গ্রেপ্তারিতে দুঃখিত নন আবার খুশিও নন। কারণ তারা যে তিমিরে ছিলেন সেই তিমিরেই আছেন। তারা চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলে খুশি হবেন।
ছবি: Subrata Goswami /DW
রাসমণির বক্তব্য
পূর্ব মেদিনীপুরের রাসমণি মাইতির গলায় কান্নার সুর। ''প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক কটাক্ষ সবকিছু উপেক্ষা করে দিনের পর দিন এই আন্দোলনে অবস্থান করছি। এমন একটা রাজ্যে বাস করি যে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে ইডির হেফাজতে, এর থেকে লজ্জার কী হতে পারে?''
ছবি: Subrata Goswami /DW
রুকসানার কাছে আশার আলো
পার্থ চট্টোপধ্যায়ের গ্রেপ্তারিতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন মালদার রুকসানা খাতুন। বললেন, ''সব দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসুক তবে এর সঙ্গে আমাদের নিয়োগটাও প্রয়োজন।''
ছবি: Subrata Goswami /DW
কেলেঙ্কারির অংশ, বলছেন মনোজ
মনোজ ঘোষ বললেন, ''সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এই গ্রেপ্তারিটাও কেলেঙ্কারির একটা অংশ, এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।''
ছবি: Subrata Goswami /DW
যারা ঘুষ দিয়েছেন তাদের শাস্তি চান সুদীপ
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মণ্ডল বললেন, ''যারা ঘুষ খেয়েছে তারা যেমন অপরাধী, যারা দিয়েছেন তারাও দোষী। তাদের বিচারও আদালতের মাধ্যমেই হোক।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
এবার চাকরি চান তনয়া
নদিয়ার তনয়া বিশ্বাস বললেন, ''দুর্নীতির আর কত প্রমাণ প্রয়োজন? যেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং স্বীকার করে নিয়েছেন যে দুর্নীতি হয়েছে। ২০১৯ সালে উনি নিজে এসে আমাদের বলে গিয়েছিলেন যে প্রয়োজন হলে আইন বদল করেও আমাদের নিয়োগ করা হবে, কোথায় গেল সেই সব কথা? কাজেই এই গ্রেপ্তারি নিয়ে আমাদের আলাদা কোনও উচ্ছ্বাস নেই। যতক্ষণ না আমাদের চাকরি হচ্ছে আমাদের মুখে হাসি ফিরবে না।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
নিয়োগপত্র চান সুদীপ
মুর্শিদাবাদের সুদীপ সাহার বক্তব্য তার হাতের পোস্টারেই লেখা রয়েছে। জানালেন, ''গ্রেপ্তার, বিচার, জিজ্ঞাসাবাদ সব চলুক, কিন্তু আগে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্রটা দিক''
ছবি: Subrata Goswami/DW
11 ছবি1 | 11
তবে এই সাক্ষাৎকার যাতে দেখানো না হয়, সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়ে জানায়, বিচারপতি গঙ্গেপাধ্যায় নিশ্চয়ই এমন কিছু বলবেন না, যাতে বিচারব্যবস্থায় আঘাত লাগে।
কী বলেছেন বিচারপতি?
সাক্ষাৎকারে বিচারপতি গঙ্গেপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যে স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুড়ি-মুড়কির মতো দুর্নীতি হয়েছে, তাই তিনি মুড়ি-মুড়কির মতো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী ভবিষ্যতে অভাবিত ব্যবস্থা নিতে হতে পারে বলেও জানিয়েছেন।
বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ''এত দুর্নীতি আমি কল্পনাও করতে পারিনি। শুনানির সময় যখন স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরষ্পরবিরোধী কথা বললো, তখনই আমি বুঝে যাই, দুর্নীতি আছে।''
তিনি এটাও জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে সিবিআইয়ের তদন্তে ঢিলেমি দেখে তিনি বিরক্ত হয়েছেন। তবে তার আশা, শেষপর্যন্ত দোষীরা শাস্তি পাবে। তার দাবি, ''জালিয়াতি করে চাকরি যারা পেয়েছেন, তাদের চাকরি যাবে। ধরতে পারলে তাদের চাকরি যাবেই। তারা যেন নিশ্চিন্তে না থাকেন।''
পার্থের বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে আরো টাকা উদ্ধার
বুধবার দিনভর অর্পিতার আরেকটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার আরো টাকা এবং সোনা।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
এসএসসি দুর্নীতি এবং অর্পিতা
গত শনিবার স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দুর্নীতির অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেপ্তার হয়েছেন তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার দক্ষিণ কলকাতার বাড়ি থেকে ২০ কোটিরও বেশি টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। বুধবার তার আরেকটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বেলঘরিয়ার বাড়ি
উত্তর কলকাতা শহরতলির বেলঘরিয়ায় এই আবাসনে অর্পিতার আরো দুইটি ফ্ল্যাট আছে। বুধবার তারই একটিতে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা এবং গয়না।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কী কী উদ্ধার
দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ইডি শুধুমাত্র এই ফ্ল্যাটটি থেকে ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। তার সঙ্গে ছিল চার কোটি ৩১ লাখ টাকা বাজার মূল্যের সোনার গয়না।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
১৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি
বাড়িটিতে বুধবার ১৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি। পরে ফ্ল্যাটটিতে নোটিস লাগিয়ে সিল করে দেওয়া হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
টাকা গোনার যন্ত্র
টাকা গোনার জন্য ব্যাংক থেকে চারটি বিশেষ যন্ত্র নিয়ে আসা হয় রাতের দিকে। সেই যন্ত্রের সাহায্যেই সারা রাত ধরে টাকা গোনা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
টাকা নেওয়ার ট্রাঙ্ক
টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রাকে ২০টি ট্রাঙ্ক নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে সেই ট্রাঙ্কে টাকা বোঝাই করে ট্রাকে তোলা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান
বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান চেয়ে পাঠায় ইডি। তারা এসে ফ্ল্যাটটি ঘিরে ফেলে। সকাল পর্যন্ত তারা এলাকায় পাহারায় ছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ইডির অফিসাররা
বিকেলের পর ইডির উচ্চপদস্থ অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তাদের উপস্থিতিতেই টাকা গোনার কাজ হয়েছে। আবাসনের এক আবাসিককেও সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অন্য ফ্ল্যাটটি
ওই একই আবাসনে আরো একটি ফ্ল্যাট আছে অর্পিতার। সেখানে এখনো তল্লাশি চালানো হয়নি। ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়ে গেছে ইডি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অর্পিতার মা
গোটা ঘটনায় হতভম্ব অর্পিতার মা। বলেছেন, মেয়ে কী করছে, তার কোনো খবর তার কাছে ছিল না। তিনি ভাবতেও পারচেন না এমন সব ঘটনা ঘটেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মানিককে জেরা
বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ১৪ ঘণ্টা টানা জেরা করছে ইডি। শুক্রবার তাকে ফের যেতে বলা হয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কুণাল ঘোষের বক্তব্য
বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, যদি তার কথা দলের পছন্দ না হয়, তাহলে তাকে দল থেকে বিতাড়িত করা হোক। কিন্তু তিনি এই দুর্নীতি মেনে নেবেন না।
ছবি: Privat
12 ছবি1 | 12
তিনি কি অবসরের পর রাজনীতিতে নামবেন? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের জবাব, তিনি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। সবসময় দলীয় রাজনীতি করতে হবে তারও মানে নেই। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে রাজনীতির কথা বলা মানেও তো রাজনীতি করা।
বিচারপতি কি সাক্ষাৎকার দিতে পারেন?
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বেঙ্গালুরু প্রিন্সিপালে বলা আছে বিচারপতিরা কী করতে পারেন, কত দূর যেতে পারেন। আমার বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ আস্থা আছে। আর বিচারপতিদেরও বাক্স্বাধীনতা আছে।''
কিন্তু এনিয়ে আইনজীবী মহল ও নেটিজেনরা দ্বিধাবিভক্ত। কলকাতা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণাভ ঘোষ মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও গাইডলাইন অনুসারে একজন বিচারপতি এভাবে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। আবার সিপিএম নেতা ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, বিচারপতি সাক্ষাৎকার দিতে পারেন কি না, তা যুক্তিসাপেক্ষ।
হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কল্লোল মন্ডল বলেছেন, তিনি কাউকে আঘাত না দিয়ে কথা বললে তো কোনো অসুবিধা নেই। আঘাত দিলে তা নিন্দনীয়। রাজ্য়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল মনে করেন, এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সম্মানের প্রশ্ন জড়িত।
প্রবীণ সাংবাদিক দীপ্তেন্দ্র রায়চৌধুরির মতে, ''ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিচারপতিদের সাধাক্ষকার না দেয়াই ভালো। কিন্তু বিচারপতিরা সেমিনারে বলেন, নানা ধরনের সম্মেলনে যোগ দেন। ভাষণও দেন। ফলে এ নিয়ে গেল গেল রব তোলার কিছু হয়নি। এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।''
নেট মাধ্যমেও এই বিভাজন স্পষ্ট। কেউ বলছেন, এভাবে সাক্ষাৎকার দেয়া ঠিক হয়নি। আবার কেউ বলছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কোনো ভুল করেননি।