টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ
২১ জানুয়ারি ২০২২
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। ভারতের খেলা শুরু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে।
বিজ্ঞাপন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করলো আইসিসি। বাংলাদেশ এবার ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে দুই নম্বর গ্রুপে থাকবে। এছাড়া থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও যোগ্যতাঅর্জনকারী দুইটি দল। ফলে বাংলদেশকে পরবর্তী পর্বে উঠতে গেলে ভারত, পকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলির বিরুদ্ধে জিততে হবে।
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসছে অস্ট্রেলিয়ায়। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের খেলা শুরু হবে ২২ অক্টোবর, সিডনিতে স্বাগতিক দল ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও গেলবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড ছাড়াও এক নম্বর গ্রুপে থাকছে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং যোগ্যতা অর্জনকারী দুইটি দল। একই দিন পার্থে দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মধ্যে৷
১৬ অক্টোবর থেকে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ হবে। এখানে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড এবং অন্য দলগুলি।
পরিসংখ্যানে দিকহারা, ব্যর্থ, বিপর্যস্ত বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আট ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ৷ অবশ্য দুটো জয়ই এসেছিল বাছাই পর্বে৷ ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবকিছুতেই হতাশ করেছে টাইগাররা৷
ছবি: Alex Davidson/Getty Images
নন-টেস্ট প্লেয়িং দেশের বিরুদ্ধে জয়
আট ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পায় টাইগাররা৷ দুটিই ছিল বাছাই পর্বের ম্যাচ৷ নন-টেস্ট প্লেয়িং দেশ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে জেতে বাংলাদেশ৷ তবে হেরেছে আরেক নন-টেস্ট প্লেয়িং দেশ স্কটল্যান্ডের কাছে৷ সুপার টুয়েলভে টেস্ট খেলুড়ে পাঁচ দেশের সঙ্গেই হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা৷
ছবি: Alex Davidson/Getty Images
সাত বিশ্বকাপে সাত জয়
বাংলাদেশ সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে৷ ৩৩টি ম্যাচ খেলে মাত্র সাতটিতে জিতেছে৷ এর মধ্যে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এক ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ৷ ২০০৭ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঐ জয় পেয়েছিল টাইগাররা৷
ছবি: Julian Herbert/Getty Images
সর্বোচ্চ রান
বাংলাদেশিদের মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন নাঈম৷ আট ম্যাচের মধ্যে সাতটি খেলে তার মোট সংগ্রহ ১৭৪ রান৷ এরপরে আছেন মাহমুদউল্লাহ (আট ম্যাচে ১৬৯), মুশফিকুর রহিম (আট ম্যাচে ১৪৪), লিটন দাস (আট ম্যাচে ১৩৩) ও সাকিব (ছয় ম্যাচে ১৩১ রান)৷
ছবি: Alex Davidson/Getty Images
কম স্ট্রাইক রেট
সর্বোচ্চ রান করা নাঈমের স্ট্রাইক রেট ছিল ১১০.৮২, যা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বিবেচনায় খুব একটা আশাপ্রদ নয়৷ একশর বেশি রান করা অন্যান্যদের স্ট্রাইক রেট ছিল মাহমুদউল্লাহ (১২০.৭১), মুশফিকুর রহিম (১১৩.৩৮), লিটন দাস (৯৪.৩২) ও সাকিব (১০৯.১৬)৷
ছবি: Hamad I. Mohammed/REUTERS
অর্ধশতক চারটি
আট ম্যাচে অর্ধশতক এসেছে চারটি৷ এর মধ্যে নাঈম ওমান (৫০ বলে ৬৪ রান) ও শ্রীলঙ্কার (৫২ বলে ৬২ রান) বিরুদ্ধে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন৷ এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মুশফিকুর রহিম ৩৭ বলে ৫৭ রান ও পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে মাহমুদউল্লাহ ২৮ বলে ৫০ রান করেন৷
ছবি: Alex Davidson/Getty Images
সর্বোচ্চ উইকেট
ছয় ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন সাকিব৷ ইকোনমি রেটেও শীর্ষে তিনি (৫.৫৯)৷ এরপর মেহেদী ও মুস্তাফিজ আটটি করে উইকেট নিয়েছেন৷ মেহেদী আট ম্যাচ খেললেও মুস্তাফিজ খেলেছেন সাতটি৷ মেহেদীর ইকোনমি রেট ৬.১২৷ তবে মুস্তাফিজ একটু খরুচে বল করেছেন (ইকোনমি রেট ৯.২৫)৷
ছবি: Getty Images/M. Melville
6 ছবি1 | 6
ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ হবে ২৩ অক্টোবর মেলবোর্নে। তারপর ২৭ তারিখ সিডনিতে একটি যোগ্যতাঅর্জনকারী দেশের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। ৩০ তারিখ তাদের খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পার্থে। ২ নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ হবে। ৬ নভেম্বর আরেকটি যোগ্যতা অর্জনকারী দেশের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত।
বাংলাদশের খেলা শুরু হবে ২৪ অক্টোবর, একটি যোগ্যতাঅর্জনকারী দেশের বিরুদ্ধে। হোবার্টে এই ম্যাচ হবে। ২৭ অক্টোবর সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ৩০ তারিখ ব্রিসবেনে তাদের খেলতে হবে আরেকটি যোগ্যতাঅর্জনকারী দলের বিরুদ্ধে। ৬ নভেম্বর অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হবে।
৯ ও ১০ নভেম্বর দুইটি সেমিফাইনাল ম্যাচ হবে সিডনি ও অ্যাডিলেডে এবং ফাইনাল হবে ১৩ তারিখ, মেলবোর্নে।