1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইতিহাস গড়লেন বোল্ট

১০ আগস্ট ২০১২

অলিম্পিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা দু’বার ১০০ ও ২০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতলেন জ্যামাইকার কিংবদন্তী ইউসেইন বোল্ট৷ এই রেকর্ডের পর মাইক্রো ব্লগ টুইটারেও তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন৷ মিনিটে তাঁর নাম উচ্চারিত হলো দুই হাজার বার৷

ছবি: picture-alliance/dpa

বৃহস্পতিবার রাতে লন্ডন অলিম্পিকের সবগুলো স্পট লাইট ছিল এই জ্যামাইকান দৌড়বিদের ওপর৷ ট্র্যাকে নিজেকে অবিসংবাদিত কিং হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করলেন ইউসেইন বোল্ট৷ সামাজিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থা মাস রেলেভান্স জানিয়েছে, বোল্টের এই দুর্দান্ত সাফল্যের পর টুইটার ছিল বোল্টময়৷ মোট ৮০ হাজারেরও বেশিবার বোল্টের নাম টুইট হয়েছে টুইটারে, গড়ে নাকি প্রতি মিনিটে দুই হাজার করে বোল্টকে নিয়ে টুইট হয়েছে মাইক্রোব্লগে, যেটাও একটা রেকর্ড৷ কারণ অলিম্পিকের আর কোনো তারকাকে নিয়ে এত অল্প সময়ে এতবার টুইট করা হয়নি৷

অলিম্পিকের প্রথম দশদিন অবশ্য বোল্টকে নিয়ে টুইটের গতি এতবেশি ছিল না, মোট ৩,৩৮,০০০ বার টুইট হয়েছে বোল্টকে নিয়ে৷ সেই তুলনায় আরেক চ্যাম্পিয়ন অলিম্পিয়ান সাঁতারু মাইকেল ফেল্পসকে নিয়ে টুইটের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি, মোট ৫,৭৪,০০০ বার৷ তারও ওপরে ছিলেন মার্কিন বাস্কেটবল তারকা লেব্রোন জেম্স এবং ব্রিটিশ স্প্রিং ডাইভার টম ড্যালে৷

অলিম্পিকের প্রথম দশদিনে সবচেয়ে বেশি টু্ইট হয়েছে সাঁতার নিয়ে, তারপরে ছিল জিমন্যাস্টিকস, বাস্কেটবল, ফুটবল এবং ভলিবল৷ তবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে বোল্টের আগমন অ্যাথলেটিক্সকে অনেক সামনে ঠেলে দিয়েছে৷ তবে মোটের ওপর এবারের অলিম্পিক কিন্তু খুব একটি সাড়া জাগাতে পারেনি মাইক্রোব্লগের জগতে৷ টুইটারে অলিম্পিকের প্রথম দশদিনে মোট দুই কোটি ৮৪ লাখ বার টুইট হয়েছে এই আসর নিয়ে, প্রতি মিনিটে ১৯৭৫ বার৷ তবে অন্যান্য ইভেন্টের তুলনায় তা অনেক কম৷ যেমন গত বছর ব্রিটিশ রাজপুত্র উইলিয়াম আর কেটের বিয়ের সময় টুইট ছিল প্রতি মিনিটে ৬৩৬৯৷ আর মার্কিন টিভি শো অ্যামেরিকান আইডল'এর সময় সেটি ছিল প্রতি মিনিটে ২৩,৮৭৬ বার!

জামাইকার জয়ছবি: Getty Images

ট্র্যাকে মৃত বাবার ছাই

অলিম্পিকে কত রকমের ঘটনাই না ঘটে৷ এই যেমন মৃত অসি ট্রিপল জাম্পার জর্জ অ্যাভের মৃতদেহের ছাইভস্ম ট্র্যাকে ছড়িয়ে দিলেন তাঁর মেয়ে৷

সেই ১৯৪৮ সালে এই লন্ডনেই অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে রুপা জিতেছিলেন অসি ক্রীড়াবিদ জর্জ অ্যাভে৷ খুব ইচ্ছা ছিল শেষ বারের মতো আবারও লন্ডন অলিম্পিকটা নিজের চোখে দেখে যাওয়ার৷ কিন্তু তার ছয় বছর আগেই চিরবিদায় নেন তিনি৷ তবে তাঁর পরিবার এই শেষ ইচ্ছা পুরণের উদ্যোগ নেয়৷ তাঁর মেয়ে রবিন গ্লিনসহ পরিবারের সকলে এবার হাজির ছিলেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে৷ আর তাঁদের সঙ্গে ছিল মৃত বাবার দেহের ছাইভস্ম৷ গ্যালারিতেই ছিলেন তাঁরা, তবে এক পর্যায়ে একেবারে ট্র্যাকের কাছে চলে আসেন৷ এরপর সঙ্গে থাকা ছাই বাতাসে উড়িয়ে দেন ট্র্যাকে৷ আর সেই ছাই গিয়ে পড়ে ট্রিপল জাম্পের ট্র্যাকের ওপর৷ সকলেই অবাক হয়ে ভাবছিল, করছে কি সে! তবে মৃত বাবা জর্জ অ্যাভেকে এভাবে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে পেরে কিন্তু বেশ তৃপ্ত রবিন গ্লিন, তাঁর মা আর তাঁর পরিবার৷

আরআই / ডিজি (ডিপিএ,এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ