1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুইটার কূটনীতিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২০ ডিসেম্বর ২০১৪

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এখন টুইটার বা ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য ও ছবি প্রকাশ করছেন৷ এক্ষেত্রে পুরোপুরি পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ৷

Screenshot Twitter Modi EINSCHRÄNKUNG
ছবি: Twitter

ভারত সফররত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে টুইট করেছেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু বাংলাদেশের দিক থেকে কোনো টুইট বা সামাজিক বার্তা নেই৷ কেন নেই? আমরা কী তাহলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বশেষ বিষয়গুলোকে ব্যবহার করিনা রাষ্ট্র এবং কূটনীতিতে!

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে তাঁর নৈশভোজের খবরটি নিজেই জানিয়েছেন টুইটারে৷ শুধু খবর নয় সঙ্গে ছবিও জুড়ে দিয়েছেন৷ একটি বা দু'টি নয়, তিনটি৷ আর সেই ছবিতে দুই রাষ্ট্রপতি ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আছেন আরো অনেকে৷ তাঁর টুইটার বার্তাটি রিটুইট হচ্ছে ব্যাপকভাবে৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পিছিয়ে নেই৷ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকের খবর তিনিও দিয়েছেন টুইটারে৷ মেদী তাঁর টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘‘আমাদের আলোচনা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পথ আরো প্রশস্ত করেছে৷'' শুধু বৈঠকের খবর নয় ছবিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি৷ নরেন্দ্র মোদীর টুইটার বার্তাটি শনিবার পর্যন্ত ফেবারিটের তালিকায় যোগ হয়েছে দুই হাজারবারের বেশি৷

এতো গেল প্রতিবেশি দেশের কথা৷ এবার দৃষ্টি আরো একটু বিস্তৃত করি৷ গত জুলাইয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার রদবদলের খবর প্রথম জানা যায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন-এর টুইটার বার্তায়৷ তিনি টুইটার বার্তায় ১০ জন নারীকে মন্ত্রিসভার প্রথম সারিতে আনার চমক দেন৷ খবর দেন ছয় মন্ত্রীর অব্যাহতির৷

পিছিয়ে নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ২০১২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বারাক ওবামা টুইটারের মাধ্যমেই তাঁর সমর্থকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান৷ টুইটারে তিনি বলেন, ‘‘আমি আপনাদের বলতে চাই, ভাগ্যক্রমে আমরা জয়লাভ করিনি, নির্বাচনে আমাদের বিজয় কোনো দুর্ঘটনা নয়৷ আপনারাই এর কৃতিত্বের দাবিদার৷''

আর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই মাসেরও বেশি সময় পর কিউবা থেকে দেশে ফিরে টুইটারের মাধ্যমেই দেশবাসীকে দেশে ফেরার খবর জানান ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ৷

এই উদাহরণ আরো বাড়ানো যাবে৷ দেয়া যাবে টুইটার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্র প্রধান , সরকার প্রধান বা সরকারের নীতি নির্ধারকরা৷ তাঁরা কিভাবে প্রচলিত সংবাদ মাধ্যমের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দেশের মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছেন৷ আর নিজেই পরিণত হচ্ছেন একজন নাগরিক সাংবাদিকে৷

তবে এর ব্যতিক্রম বাংলাদেশ৷ এখানকার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কতজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার, ফেসবুক ব্যবহার করেন তা জানা না গেলেও তারা যে সক্রিয় নন তা বোঝা যায়৷ আমাদের রাষ্ট্র ও সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর যে এখন পর্যন্ত দেননি সেটা সবার জানা৷

ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপনছবি: Harun Ur Rashid Swapan

রাষ্ট্র ও সরকারের অনেক বিষয় সাধারণ মানুষের আগ্রহে থাকে৷ জানতে চান তারা৷ আর সেটা জানতে চান নির্ভরযোগ্যভাবে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যদি সেটা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মাইক্রো ব্লগের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন তাহলে স্বচ্ছতা অনেকটা বেড়ে যায়৷

শুধু তাই নয়, এটা হতে পারে সফল কূটনীতির বড় একটি হাতিয়ার৷ প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং মোদী যা করেছেন তা বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ তাঁর তাদের আন্তরিকতা প্রকাশ করতে পেরেছেন৷ আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে টুইট করে তাঁকে বিশেষ সম্মান দেখিয়েছেন তাঁরা৷ একইভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির টুইটার বার্তা পাওয়া গেলে বিষয়টি কতোটা মধুর হত - এরকবার ভাবুনতো৷

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার হল জিজিটাল বাংলাদেশ৷ এখানে ইন্টানেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারও বাড়ছে৷ তাঁরা দেশের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ফলোয়ার হতে চান টুইটারে বা ফেসবুকে৷ তারা মন্তব্য করতে চান, চান রিটুইট করতে৷ সেই সুযোগটি কী দেবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ