কয়েক বছর আগে টুইটারে যোগ দেয়ার পরামর্শ হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ আর চলতি বছর বিজেপির নির্বাচনি স্লোগান ‘আব কি বার মোদী সরকার’ ছিল ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় টুইট৷ ফলাফল এখন সবারই জানা৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো, বিশেষ করে টুইটার রাজনীতিবিদ এবং প্রচার মাধ্যমগুলোর কাছে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টুইটার ইনকর্পোরেটেড জানিয়েছে, ভারতে ব্যবহৃত কৌশলগুলো অন্যান্য দেশের নির্বাচনেও কাজে লাগাবে তারা৷
সামাজিক যোগাযোগের আরেক জনপ্রিয় সাইট ফেসবুকও এর আগে একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল৷
বলা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পেছনে সোশ্যাল মিডিয়ার গতিশীল এবং চমকপ্রদ ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে৷ চলতি বছর ভারতীয় টুইটারে নির্বাচন সংক্রান্ত টুইট হয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখের বেশি৷ এর মধ্যে ১ কোটি ১৮ লাখ টুইট হয়েছে সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে৷
একজন নরেন্দ্র মোদী
উগ্র সাম্প্রদায়িক আদর্শ এবং বিভাজনের রাজনীতির কারণে ভারতের বহু মানুষের কাছে তিনি খলনায়ক৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজেকে নতুন মোড়কে সামনে এনে সেই নরেন্দ্র মোদীই শোনাচ্ছেন ভারতকে বদলে দেয়ার মন্ত্র৷
ছবি: dapd
চা ওয়ালা
১৯৫০ সালে গুজরাটের নিম্নবিত্ত এক ঘাঞ্চি পরিবারে জন্ম নেয়া নরেন্দ্র মোদী কৈশরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন৷ ঘাঞ্চি সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী ১৭ বছর বয়সে যশোদাবেন নামের এক বালিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়, যদিও বেশিদিন সংসার করা হয়নি৷ ছাত্র হিসেবে সাদামাটা হলেও মোদী বিতর্কে ছিলেন ওস্তাদ৷ ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর প্রচারক হিসাবে রাজনীতির দরজায় পা রাখেন মোদী৷
ছবি: UNI
গুজরাটের গদিধারী
১৯৮৫ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়ার ১০ বছরের মাথায় দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পান ১৯৯৫ সালে গুজরাটের নির্বাচনে চমক দেখানো মোদী৷ ১৯৯৮ সালে নেন দলের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব৷ ২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দলের মনোনয়নে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আবির্ভূত হন নরেন্দ্র মোদী, যে দায়িত্ব তিনি এখনো পালন করে চলেছেন৷
ছবি: Reuters
দাঙ্গার কালিমা
মোদীকে নিয়ে আলোচনায় ২০০২ সালের দাঙ্গার প্রসঙ্গ আসে অবধারিতভাবে৷ স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গুজরাটে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন৷ মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি দাঙ্গায় উসকানি দেন৷ তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করেননি, আদালতও তাঁকে রেহাই দিয়েছে৷ তবে দাঙ্গার পক্ষে কার্যত সাফাই গেয়ে, হিন্দুত্ববাদের গান শুনিয়েই তিন দফা নির্বাচনে জয় পান মোদী৷
ছবি: AP
রূপান্তর
দাঙ্গার পর নিজের ভাবমূর্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেন নরেন্দ্র মোদী৷ একজন বিতর্কিত নেতার বদলে উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসাবে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিতে শুরু হয় ‘গুজরাট মডেল’-এর প্রচার৷ ২০০৭ সালের পর নিজেকে একজন সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে তুলে ধরতে নতুন প্রচার শুরু করেন এই বিজেপি নেতা, প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যান্ড মোদী’৷গুজরাটের উন্নয়নের চিত্র দেখিয়ে কলঙ্কিত ভাবমূর্তিকে তিনি পরিণত করেন ভারতের ত্রাতার চেহারায়৷
ছবি: UNI
ভারতের পথে পথে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে নরেন্দ্র মোদী পাড়ি দিয়েছেন তিন লাখ কিলোমিটার পথ৷ সারা ভারতে পাঁচ হাজার ৮২৭টি জনসভায় তিনি অংশ নিয়েছেন, নয় মাসে মুখোমুখি হয়েছেন পাঁচ কোটি মানুষের৷ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসাবে শুরু করলেও এবার তিনি হিন্দুত্ব নিয়ে প্রচার এড়িয়ে গেছেন সচেতনভাবে, যদিও বাংলাদেশের মানুষ, ভূখণ্ড এবং ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতাদের বক্তব্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷
ছবি: AP
নতুন ইতিহাস
ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটই যে এবার ভারতে সরকারগঠন করতে যাচ্ছে, বুথফেরত জরিপ থেকে তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ ৬৩ বছর বয়সি মোদীর নেতৃত্বে এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি৷ ৭ই এপ্রিল থেকে ১২ই মে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮১ কোটি ৪০ লাখ৷ তাঁদের মধ্যে রেকর্ড ৬৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শেষ হাসি
নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল – মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে, গুজরাটের আদলে তিনি ভারতকে বদলে দেবেন৷ অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, ‘কলঙ্কিত ভাবমূর্তি’ ঢাকতে এসব মোদীর ফাঁপা বুলি৷ তাঁর স্বৈরাচারী মেজাজ, শিক্ষা ও অর্থনীতির জ্ঞান নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, ভোটাররা টানা তৃতীয়বার কংগ্রেসকে চায়নি বলেই বিজেপি জয় পেয়েছে৷ যদিও শেষ হাসি দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর মুখেই৷
ছবি: dapd
7 ছবি1 | 7
কেবল মোদী বা বিজেপি নয়, সব রাজনৈতিক দলকে নিয়েই নির্বাচনের আগে ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছে টুইটার৷ অনলাইন ও অফলাইনে নিয়মিত টুইট করার সুবিধা দিতে বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানির সঙ্গেও যৌথভাবে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি৷
টুইটার বলছে, ভারতের নির্বাচনে যে টুলগুলো তারা ব্যবহার করতে দিয়েছে, সেগুলো ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও থাকবে৷ এর মধ্য দিয়ে টুইটারকে আরো বেশি মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়াই তাদের লক্ষ্য৷
ভারতে টুইটারের মার্কেট ডাইরেক্টর ঋষি জেটলি বলেন, ‘‘টুইটার কতটা ‘ভ্যালু অ্যাড’ করতে পারে তা দেখার জন্য নির্বাচন সবচেয়ে ভালো সময়৷ ভারতীয় নির্বাচনে আমরা যা শিখেছি, তা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই৷’’
ব্রাজিলের আইন প্রণেতাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার সম্ভাবনা আর গুরুত্ব তুলে ধরতে গত সপ্তাহেই ল্যাটিন অ্যামেরিকার এই দেশটিতে উড়াল দিয়েছেন টুইটারের ‘শীর্ষ রাজনৈতিক কৌশলবিদ’৷ ভারতের মতো ব্রাজিলেও এবার রাজনীতিবিদরা ভোটের লড়াইয়ে ব্যবহার করবেন ৬ সেকেন্ডের ভিডিও অ্যাপ ‘ভাইন’৷ চলতি বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভারতের মতোই ‘টুইট টু রিমেম্বার’ ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন ভোটাররা৷ এই ফিচারের মাধ্যমে একটি টুইট করলেই ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোনের ক্যালেন্ডারে ভোটের তারিখটি যুক্ত হয়ে যাবে৷
রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে টুইটার প্রথমবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়৷ এরপর আরব বসন্ত হিসাবে পরিচিতি পাওয়া গণজাগরণের দিনগুলোতে টুইটার ব্যবহার হয় আন্দোলন সংগঠিত করার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে৷
আলোচিত এক হ্যাশট্যাগের কথা
নাইজেরিয়ায় প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা নিয়ে সারা বিশ্বে এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে৷ কিন্তু শুরুতে বিষয়টা তেমন নজড় কাড়তে পারেনি৷ একটি হ্যাশট্যাগ এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে৷
ছবি: Screenshot Facebook
দুই শতাধিক ছাত্রী অপহরণ
জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম নাইজেরিয়ার একটি স্কুল থেকে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রীকে অপহরণ করে৷ ঘটনা ঘটে ১৪ এপ্রিল৷ তার একদিন পর সেটা নিয়ে রিপোর্ট করে এএফপি৷ কিন্তু তখনও বিষয়টা বিশ্বের নজর কাড়তে পারেনি৷ পরে টুইটারে শুরু হয় বহুল আলোচিত #bringbackourgirls বা ‘আমাদের মেয়েদের ফিরিয়ে আনো’ প্রচারণা৷
ছবি: picture alliance/abaca
প্রচারণার যেভাবে শুরু
এর অন্যতম উদ্যোক্তা হাদিজা বালা উসমান এএফপিকে বলেন, এত বড় একটা অপহরণের ঘটনা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারায় তিনি ও তাঁর ছয় বন্ধু সেটা প্রচারের উপায় খুঁজতে শুরু করেন৷ এভাবেই প্রচারণার শুরু৷
ছবি: Twitter
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সহায়তা
প্রচারণায় গতি আনতে উসমান’রা তাঁদের অনলাইন আলোচনায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ওবিয়াগেলি এজেকওয়েসিলিকে যুক্ত করেন৷ তিনি বিষয়টা শেয়ার করেন তাঁর প্রায় দেড় লক্ষ টুইটার অনুসারীর সঙ্গে৷ এভাবেই অপহরণের সংবাদটি সবার আলোচনার মাঝে চলে আসে৷
ছবি: Photo by Slaven Vlasic/Getty Images
মিশেল ওবামা
হ্যাশট্যাগ প্রচারণায় যে কাজ হয়েছে এই ছবি তার প্রমাণ৷ যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ছবিটি তুলে টুইটারে পোস্ট করেছেন৷ সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘নাইজেরিয়ার অপহৃত ছাত্রী ও তাদের পরিবারের জন্য রইলো শুভকামনা৷’’
ছবি: Twitter
হিলারি ক্লিন্টন
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ছাত্রী অপহরণের ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
ছবি: Screenshot Twitter
মালালা ইউসুফজাই
হ্যাশট্যাগ প্রচারণায় যোগ দিয়ে মালালা অপহৃত ছাত্রীদের নিজের ‘বোন’ বলে সম্বোধন করেছেন৷
ছবি: Screenshot Twitter
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে ফ্রান্সের একটি টেলিভিশনকে জোলি বলেন, ‘‘আমি খুবই বিরক্ত, ক্ষিপ্ত....এরকম একটা কাজ যে কেউ করতে পারে, তা সত্যিই আমার কল্পনার বাইরে৷’’
ছবি: Reuters
অ্যান হ্যাথাওয়ে
অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথাওয়ে ও তাঁর স্বামী অ্যাডাম শুলমানকে ‘আমাদের মেয়েদের ফিরিয়ে আনো’ প্রচারণার সমর্থনে আয়োজিত একটি ব়্যালিতে অংশগ্রহণ করেন৷
ছবি: Screenshot Facebook
8 ছবি1 | 8
‘ফলোয়ার’, অর্থাৎ অনুসরণকারীর সংখ্যার বিচারে রাজনীতিবিদদের মধ্যে টুইটারে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ তাঁর টুইট অনুসরণ করেন ৪ কোটি ৩২ লাখ ব্যবহারকারী৷ আর টুইটারে দ্রুত জনপ্রিয় হতে থাকা নরেন্দ্র মোদীর অনুসরণকারীর সংখ্যা ৪৩ লাখ ৯০ হাজার৷
গত ১৬ই মে ভারতীয় নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর মোবাইল ফোনে মায়ের সঙ্গে নিজের তোলা যে ছবি মোদী টুইট করেছিলেন, সেটি ভারতীয় টুইটারের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যকবার রিটুইট হয়েছে৷
ভারতের জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের বয়স বর্তমানে ৩৫ এর কম৷ নির্বাচনের আগে মোদি ভালভাবেই বুঝেছিলেন যে, ভোটে জয় পেতে হলে এই তরুণ জনগোষ্ঠীকেই তাঁর জয় করতে হবে৷ এই যুদ্ধে মোবাইল ফোনের ভয়েস কল থেকে শুরু করে হলোগ্রাম, ফেইসবুক, টুইটার- সবই তিনি ব্যবহার করেছেন৷ ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ২৩ কোটি ৯০ লাখ৷ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন ৯০ কোটির বেশি ভারতীয়৷ আর টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে এমন ভারতীয়র সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ৷ ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবার আগে যাঁরা টুইটারে যোগ দিয়েছিলেন, কংগ্রেস নেতা শশী থারুর তাঁদের অন্যতম৷ টুইটারে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ২০ লাখের বেশি৷ কয়েক বছর আগে তিনি যখন রাহুল গান্ধীকে টুইটারে যোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, রাহুল তা আমলে নেননি৷
নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর এর দায়দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন রাহুল৷ আর আগামীর জন্য কংগ্রেসকে প্রস্তুত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য আবারো শীর্ষ নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছে শশী থারুর৷
তিনি বলেছেন, ‘‘এভাবে বিজেপিকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার কোনো অর্থ হয় না৷ এটা এমন এক জায়গা, যেখানে আমরাও একই রকম ভালো ফল দেখাতে পারতাম৷’’