1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে চিদাম্বরমের বিতর্কিত ভূমিকা

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১

টু-জি স্পেকট্রাম দুর্নীতি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরমের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে তদন্তের জন্য জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রামনিয়াম স্বামী সুপ্রীম কোর্টে আর্জি জানালে, সিবিআই-এর তরফে তা খারিজ করা হয়৷

খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ার নড়বড়ে হয়ে উঠেছেছবি: UNI

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে এবার যুক্ত হলো নতুন মুখ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা সাবেক অর্থমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম৷ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৮ সালে তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন টু-জি স্পেকট্রাম নীলাম না করে সস্তা দামে বন্টন করা হয়৷ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম তাতে আপত্তি করেননি৷ করলে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা সরকারের লোকসান হতো না৷

এখন প্রশ্ন - চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এতোদিন পর উঠলো কেন? আসলে এই অভিযোগ ওঠে অর্থমন্ত্রণালয়ের একটি বিতর্কিত চিঠি প্রকাশিত হবার পর৷ আর চিঠিটি লেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে৷ তাতে বলা হয়, ২০০৮ সালে টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনের দাম ২০০১ সালের দামে দিতে চিদাম্বরম আপত্তি করেননি৷ তিনি ইচ্ছা করলে স্পেকট্রাম বন্টন নিয়ে অনিয়ম রুখতে পারতেন৷ তথ্য জানার অধিকার আইনে সেই চিঠি হাতে আসে জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রামনিয়াম স্বামীর৷ তিনি সেটি সুপ্রীম কোর্টে পেশ করে চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান৷

পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন চিদাম্বরমছবি: UNI

এই নিয়ে শুরু হয় প্রণব মুখোপাধ্যায় বনাম চিদাম্বরম দ্বৈরথ৷ কংগ্রেস জোট সরকারে দেখা দেয় বিভাজন৷ বিরোধী বিজেপি ও অন্য বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর ওপর চিদাম্বরমের ইস্তফার দাবিতে চাপ সৃষ্টি কোরে চলেছে৷ শরিক দল ডিএমকে'ও চিদাম্বরমের ইস্তফার পক্ষে৷ কারণ ডিএমক'এর দুই মন্ত্রী এ.রাজা এবং দয়ানিধি মারানকে ইস্তফা দিতে হয় একই কারণে৷ তাহলে একযাত্রায় পৃথক ফল কেন? এই অবস্থায় চিদাম্বরমের রাজনৈতিক ভাগ্য অনিশ্চিত৷ সবাই তাই তাকিয়ে আছে সুপ্রীম কোর্টের রায়ের দিকে৷ যার শুনানি চলছে৷ শীর্ষ আদালতের রায যদি সরকারের বিরুদ্ধে যায় এবং চিদাম্বরম ইস্তফা দেন, তাহলে বলা বাহুল্য নানা কেলেঙ্কারিতে জেরবার মনমোহন সিং সরকারের সঙ্কট গভীরতর হবে৷

পাশাপাশি সরকার ও কংগ্রেসের মধ্যে সঙ্কট এড়ানোর কৌশল নির্ধারণে কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে৷ গতকাল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং চিদাম্বরম৷ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং আজ ফিরেছেন আমেরিকা থেকে৷ তাঁর উপস্থিতিতেই স্থির হবে দল ও সরকারের কর্মকৌশল৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ