টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীর দিকে আঙুল সুপ্রিম কোর্টের
১৭ নভেম্বর ২০১০গত দেড় বছরেও কেন তার কোন উত্তর আসেনি, তার জবাব চেয়েছেন ভারতের খোদ সুপ্রিম কোর্ট৷ অন্যদিকে স্বজনপোষণের অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে চেপে ধরেছে বিরোধী পক্ষ৷
আলমারি খুলতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক দুর্নীতির কঙ্কাল৷ অভিযোগের সত্যমিথ্যা প্রমাণে চলেছে জোর তৎপরতা৷ টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি ইস্যুতে এবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দিকেই আঙুল তুলেছেন খোদ সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ.রাজার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়ে জনতা পার্টির শীর্ষ নেতা সুব্রহ্মনিয়াম স্বামী ১৬ মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন, কিন্তু কোন উত্তর আসেনি৷ কেন আসেনি তার জবাব চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট৷ এই প্রসঙ্গে বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা এল.কে আডবানি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্যের জবাব দেয়া৷ আমার ৬০ বছরের সংসদীয় জীবনে কখন শুনিনি প্রধানমন্ত্রীর দিকে সুপ্রিম কোর্ট এই ধরণের মন্তব্য করেছে৷
সর্বোচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি আদায়ে বিরোধী পক্ষের মনোবল আরো বেড়ে গেছে৷ গোটা বিরোধী পক্ষ হুমকি দিয়েছে, আর সময় নষ্ট না করে সরকারের উচিত হবে ভালয় ভালয় জেপিসির দাবি মেনে নেওয়া৷ তা না হলে আগামীকালও সংসদের কাজকর্ম অচল করে দেয়া হবে৷
পাশাপাশি বিজেপি শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁর ইস্তফার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধী জেডি(এস)নেতা এইচ.কুমারস্বামী৷ অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বেআইনিভাবে তাঁর ছেলে ও মেয়েকে সরকারি জমি পাইয়ে দিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ বিজেপি মুখপাত্র বলেছেন, কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি কাজ করেননি৷ কেলেঙ্কারির বিষয়ে কংগ্রেস যেন বিজেপিকে জ্ঞান দিতে না আসে৷
অন্যদিকে মুম্বই-এর অভিজাত এলাকায় আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারিতে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বনকে জেরা করতে পারে তদন্ত সংস্থা সিবিআই৷ আবাসন সমিতি গঠিত হয় মূলত কার্গিল শহীদদের পরিবারের জন্য৷ তাতে অসামরিক ব্যক্তিদের সদস্য করার সুপারিশ করা চিঠিতে নাকি সই করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিজন৷ গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে জেডি-ইউ দলের নেতা শারদ যাদবের মন্তব্য, দেশে যেন দুর্নীতির বান ডেকেছে৷ এর যোগ্য প্রতিকার হওয়া দরকার৷ কেউ যেন পার না পায়৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক