1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টু বি অর নট টু বি

১৮ জুন ২০১৯

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভাবনীয় জয়ের পর স্বপ্ন বুনছে টাইগার সমর্থকেরা৷ লড়তে হবে আরো চার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে৷ পারবে তো টাইগাররা? দলের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে আশীষ চক্রবর্ত্তীর বিশ্লেষণ৷

Ashish Chakraborty
ছবি: DW/T. Mehedi

বাংলাদেশকে এখন নতুন বাংলাদেশ হিসেবে দেখছি: আশীষ চক্রবর্ত্তী

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশ দলের শক্তি, দুর্বলতা, সম্ভাবনা আর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেছেন ডয়চে ভেলের ক্রীড়া বিশ্লেষক আশীষচক্রবর্ত্তী৷ তার সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছেন তানজীর মেহেদী৷

রোড টু সেমিফাইনাল

সেমিফাইনালে খেলতে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতার হিসেব-নিকেশ করাটা এখনও কঠিন৷ আমি মনে করি পরের চারটা ম্যাচ জেতার কথাই ভাবতে হবে, তাহলে কোনো ঝুঁকি থাকবে না৷  চার প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়তে হবে বাংলাদেশকে৷ এদের তিনদলের সঙ্গেই গত পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যানে পিছিয়ে বাংলাদেশ৷

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে বাংলাদেশ৷বাকি দুটি পরিত্যক্ত৷ আফগানিস্তানের সঙ্গে তিনটিতে হেরেছে, জিতেছে দুটিতে৷ ভারতের সঙ্গে আরো পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ৷ চারটি হারের বিপরীতে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে৷ শুধু পাকিস্তানের সঙ্গেই এগিয়ে আছি আমরা৷ চারটি জয়ের বিপরীতে হেরেছি একটি ম্যাচে৷

চার দলের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ৷ কারণ পয়েন্ট তালিকায় নীচের দিক থেকে দুই নম্বরে আছে তারা৷ তবে আফগানিস্তানের আসলে হারানোর আর কিছু নেই৷ তবে পাকিস্তানের সম্ভাবনা এখনও ফুরিয়ে যায়নি৷

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টাইগারদের বিজয় উদযাপন৷ছবি: Getty Images/AFP/I. Kington

পরিসংখ্যান খুব স্পষ্ট কিছু বলছে না৷ তবে মরণ-কামড় দেয়ার অস্থায় দুটো দলই আছে৷ কঠিন হলেও তাই চারটি ম্যাচে জয়ের প্রতিজ্ঞা, সংকল্প আর পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারলেই বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে পারবে৷ পরের চার ম্যাচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সঙ্গে ম্যাচ দুটি বেশি কঠিন হবে৷ কিন্তু বড় দলও হারতে পারে৷  এমন নজির তো আছেই৷ কদিন আগেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে, গতকাল বাংলাদেশের সঙ্গে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ একটি নির্দিষ্ট দিনে কোন দল কীরকম খেলছে, তার ওপর ফলাফল নির্ভর করে৷ তাই কৌশলগত দিক থেকে বাংলাদেশের চারটি ম্যাচই জেতার কথা ভাবা উচিত৷ একটি ম্যাচ কম জিতলেও হয়তো সম্ভাবনা থাকবে, কিন্তু সেটা খুব ক্ষীণ হবে৷

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে৷ কারণ, বাংলাদেশকে এখন নতুন বাংলাদেশ হিসেবে দেখছি৷ বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচের কথা বলতে চাই৷ টস জিতে আগে কেন বোলিং নেয়া হলো এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে৷ অনেকের মনে হয়েছে, বাংলাদেশ রান তাড়া করতে পারবে না৷ অনেকেই ভুলে গেছেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করেই বাংলাদেশ হেরেছে৷ উইকেটের চরিত্র কেমন, মাঠ কত বড় বা ছোট, সেখানে পেসাররা সুবিধা পাবেন, নাকি স্পিনাররা, নাকি ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট– সবকিছু মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷

পয়েন্ট তালিকার উপরের দিকে যেতে চাইলে রানরেট বাড়ানোর হিসেবটাও করতে হয়৷  একটা দলের ব্যাটিং মূল শক্তি হলে, রান তাড়া করাটা শ্রেয়৷ গতকাল বাংলাদেশ সে কাজটিই করেছে৷ ৩২২ রান তাড়া করে জিতেছে৷ এটা কিন্তু সহজ কথা নয়৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ফর্মে থাকার দিনে দেখেছি, পাকিস্তান কিভাবে ধরাশায়ী হয়েছে৷ মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গেছে তারা৷

সাউথ আফ্রিকারকে হারিয়ে শুরু করা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ যে আত্মবিশ্বাসটা পেয়েছে, সেখান থেকে ইতিবাচক মানসিকতা এবং সম্ভাবনা নিয়ে খেলার সুযোগ আছে৷ তাই বলতে পারি, পরের চারটি ম্যাচে জয় পাওয়ার মানসিকতা নিয়েই খেলা উচিত৷

একজন মাশরাফী এবং বোলিং পরিবর্তন

দীর্ঘদিন ধরে মাশরাফীর ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে৷ অনেকবার অস্ত্রোপচার করিয়েছেন হাঁটুতে৷ তাই তার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্নটা প্রায় চিরকালীন৷ কিন্তু মাশরাফী খেলেন মন দিয়ে, প্রাণ দিয়ে৷ তাঁর দেহ তাঁকে অতোটা সায় দেয় না৷ ভুগতে ভুগতেই বোলিং করছেন, খেলছেন৷ বিশ্বকাপের শুরু থেকে বোলিংটা ভালো হচ্ছিল না৷ কিন্তু গত ম্যাচে আবারো ফিরেছেন তিনি, ভালো বোলিং করেছেন৷

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বোলিং অ্যাকশনে টাইগার অধিনায়কছবি: Getty Images/AFP/S. Khan

ঝুঁকির কথা হলো, টানা সাত ওভার বল করার কষ্টটা তিনি করেছেন, দেহের ওপর চাপ নিয়েছেন৷  এমনটা এ যুগে কেউ করে না৷ ২০-২১ বছরের বোলারাও টানা সাত ওভার বোলিং করেন না৷ অধিনায়করাও করান না৷ কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে হয়তো একটা দৃষ্টান্ত রাখতে চেয়েছেন৷ সতীর্থদের বার্তা দিয়েছেন, ‘‘কষ্ট হলেও আমি এভাবে প্রতিপক্ষের রান আটকে রাখছি, তোমরাও আমাকে অনুসরণ করো৷’’ কিন্তু এর একটা ঝুঁকিও আছে৷মাশরাফীর ফিটনেস-সমস্যা যদি আরো বেড়ে যায়, তাহলে দলকে বিপদে পড়তে হবে, কারণ, সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ চারটি ম্যাচ৷ সেই বিপদ মাশরাফি এড়িয়ে চললে ভালো হয়৷

শেষের দিকে এসে মুস্তাফিজ সবসময় ভালো করতে পারে্ন না৷ তবে এ মুহূর্তে নিঃসন্দেহে দেশের সবচেয়ে ভালো পেসার তিনি৷ গত ম্যাচে সাফল্যও পেয়েছেন৷ তার একটি ওভার বাকি থাকাটা সহজে মেনে নেয়ার মতো নয়৷ কিন্তু কখনো কখনো এমন হয়৷ কখনো কখনো হিসেবও ভুল হতে পারে৷ আবার কখনো গতির বদলে উইকেট টু উইকেট বল করাটা গুরুত্বপূর্ণ৷ তখন দলনায়ক যাকে আক্রমণে আনা দরকার তার হাতে বল তুলে দেন৷ তবে মুস্তাফিজের ওভার শেষ করাটা দরকার ছিল৷

ব্যাটিং অর্ডারে অদল-বদল

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লিটনের পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধ করেছে৷ কথা উঠছে, ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে তাকে আগে খেলানো যায় কিনা, কিংবা মুশফিককে নীচে নামানোর সুযোগ আছে কিনা৷ আমি মনে করি এটা ঠিক হবে না৷ এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না৷

টেকনিক্যালি  মুশফিক দলের সেরা ব্যাটসম্যান ৷ এখনও এমন কিছুই হয়নি যে, তার অবস্থান ব্যাটিং অর্ডারে বদলাতে লাগবে৷ এটা ঠিক, লিটন ওপেনার৷ তাকে যেখানে খেলানো হচ্ছে, সেখানে প্রথম দিন উতরে গেছেন৷ সামনে আরো কঠিন প্রতিপক্ষ আছে৷ সেখানেও নিজেকে মেলে ধরতে হবে৷ এ কথা সত্য, গত ম্যাচে মুশফিকের আউটটা সুন্দর ছিল না৷ তার অর্থ এই নয় যে, তাকে পিছিয়ে দিয়ে লিটনকে আগে নামাতে হবে৷

বিশ্বকাপে দলে ফিরে প্রথম ম্যাচেই অপরাজিত ৯৬ রান তোলেন লিটন দাসছবি: Getty Images/AFP/S. Khan

বাংলাদেশ দলে তিনজন ওপেনার আছে৷ তারপরও ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, কারণ, তামিম-সৌম্যর বোঝাপড়াটা বেশ ভালো হচ্ছে৷ তামিম কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললে সৌম্য আগ্রাসী ভূমিকায় যাচ্ছে৷  এটাই হওয়া উচিত৷ ফলে সেখানে বদল আনলে দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে নতুন করে বোঝাপড়া গড়ে ওঠাও সময় সাপেক্ষ৷ সেই ঝুঁকি নেয়ার কোনো অর্থ নেই৷ এ কথা সত্যি, পরিবর্তন এলে, ওপেনিংয়ে ডানহাতি-বামহাতির একটা সমন্বয় হতো৷ কিন্তু দুজন বাঁহাতি ভালোই করছেন৷ অনেক দলের ওপেনারের চেয়ে তামিম-সৌম্য জুটি এখন ভালো খেলছেন৷

লম্বা ব্যাটিং, নাকি ক্ষুরধার বোলিং

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস বলে, টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে, পরের ব্যাটসম্যানদের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার নজির খুব কম৷ সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান কমিয়ে বোলার রাখার যে কথা কেউ কেউ বলছেন, তা মেনে নিলে সেই আশঙ্কা আরো বাড়বে৷ বোলার বাড়ালে ব্যাটিং দুর্বল হবে৷ টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও পরের ব্যাটসম্যানরা যাতে দলকে বড় পুঁজি এনে দিতে পারে সেজন্য দলে বেশি ব্যাটসম্যান বা ব্যাটিং অলরাউন্ডার থাকাটা জরুরি৷

বাংলাদেশ মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডারই নিয়েছে৷ এমন কয়েকজন খেলোয়াড় আছেন যাদের ব্যাটিংটা বোলিংয়ের চেয়ে ভালো৷ মেহেদী মিরাজের কথা ভাবুন, ইদানীং ব্যাটিংয়ে তেমন ভালো না করলেও বোলিং করছেন নিয়মিত৷ তাকে এখন মূলত বোলার হিসেবেই দেখা হচ্ছে৷

বাংলাদেশের মূল শক্তির জায় ব্যাটিং৷ তবে ভারসাম্য থাকা উচিত৷ কিন্তু ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টিতে সেই ভারসাম্যটা রাখা হয় না৷ ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ থেকেই অলরাউন্ডারদের দলভূক্তি বেড়েছে৷ রজার বিনি, মহিন্দর অমরনাথ, মদনলাল কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ঢুকেছেন৷ পার্টটাইম বোলিংও করতেন৷ কিন্তু সেবার ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে এই তিন মিনি অলরাউন্ডারের যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে৷ দলে অলরাউন্ডারের সংখ্যা বাড়ানোটা আধুনিক ক্রিকেটের দাবি হয়ে গেছে৷ টেস্ট বাদ দিলে, বেশিরভাগ দলই ওয়ান ডে ও টি টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডারদের প্রাধান্য দিচ্ছেন৷ বাংলাদেশ সেই ধারাটি অনুসরণ করছে৷

বৈচিত্র্যহীন স্পিন

টাইগারদের স্পিন অ্যাটাকে বৈচিত্র্য খুবই কম৷ প্রতিপক্ষের সঙ্গে তুলনা করলে, দেখা যায়, আফগান স্পিন কিংবা ভারতের স্পিন আক্রমণ যতোটা শক্তিশালী, আমাদের স্পিনাররা ততোটা বিপজ্জনক নয়৷ সাকিব আর মিরাজ-দুজন স্পিনার নিয়মিত খেলছেন বাংলাদেশের হয়ে৷ আমাদের শক্তির জায়গটা হলো, তারা ব্যাটিংটা ভালো পারেন৷ সাকিবের তো তুলনায় হয় না৷ সবক্ষেত্রেই এগিয়ে আছেন তিনি৷ আমাদের স্পিনকে একেবারে দুর্বল বলবো না৷ প্রয়োজন মেটাতে পারছে৷ ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখতে পারছেন৷ আবার মোসাদ্দেকও আছেন৷ তারও শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ থাকছে৷

দলে পরিবর্তন

কার বিপক্ষে খেলছেন সেটার ভিত্তিতেই বোলিং শক্তিশালি করা দরকার নাকি ব্যাটিং লাইন লাপ লম্বা করা দরকার-এসব বিবেচনায় নিয়েই দলে পরিবর্তন আনতে হয়৷ গত ম্যাচে লিটনের পারফরম্যান্সই বলে দেয়, তাকে বাদ দেয়ার কোনো প্রশ্ন আসে না, আসা উচিতও নয়৷৷

এমন এক পরিস্থিতিতে লিটন ব্যাট হাতে নেমেছেন, তখন তিনি উইকেটটা বিলিয়ে দেয়নি৷ যেটা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের গড় সমস্যা৷ দলের অবস্থা অনুযায়ী এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা দেখিয়েছে লিটন৷ সেখান থেকে তার বাদ পড়ার প্রশ্ন আসে না৷ বোলিংয়ে পরিবর্তন আসতে পারে৷ পেস আক্রমণে আরেকটু শক্তিশালী করতে রুবেলকে ফেরানোর দরকারও হতে পারে৷৷

বাংলাদেশকে এখন নতুন বাংলাদেশ হিসেবে দেখছি: আশীষ চক্রবর্ত্তী

This browser does not support the audio element.

দূর থেকে অনেক  কথা বলা যায়৷ কিন্তু ইংলিশ কন্ডিশন, আবহাওয়া, প্রতিপক্ষের শক্তি বা দুর্বলতা বিবেচনায় নিয়ে পরিবর্তনের বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে৷ কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় মনে হয়, উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখাটা দলের জন্য ভালো৷

ফিল্ডিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব

ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে৷ কিন্তু ধারাবাহিকতার কোনো বিকল্প নেই৷ আজ ভালো ফিল্ডিং করে, কাল ভালো না করা মানে কিন্তু, দল হিসেবে গড়ে উঠতে না পারা৷ ফিল্ডিংয়ে দুর্বলতা মানতেই হবে৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উন্নতি দেখা গেছে৷ সেটা ধরে রাখা জরুরি৷

রুবেলের ফেরা

বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, এবার রানের বন্যা বইয়ে যাবে৷ অনেকগুলো ম্যাচে রান তিনশো ছাড়িয়ে গেছে৷ কিন্তু লো স্কোরিং ম্যাচও আমরা দেখেছি৷ এসব আসলে নির্ভর করে উইকেটের অবস্থা, বৃষ্টি পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ের ওপর৷ তাই আগাম বলা যাবে না, ইংলিশ পিচ শুধুই পেস বোলিং সহায়ক৷ শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের দলগুলোর দিকে তাকালে তা বোঝা যায়৷

মাঠে রুবেলের এমন অ্যাকশন আবারও দেখতে চান ক্রিকেটভক্তরা৷ছবি: Getty Images/AFP/P. Parks

পাকিস্তানের পেস আক্রমণ খুবই দারুণ৷ পরিকল্পনা অভাবে, ভারতের ব্যাটসম্যানদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে৷ ভারতের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন পরিকল্পনামফিক৷ বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে সহজ জয় পেয়েছ৷ তাই পিচ অনুযায়ী বোলিং আর ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনার ছক কষতে হবে৷

রুবেল আমাদের স্ট্রাইক বোলার৷ তার দলে থাকাটা প্রয়োজন৷ কিন্তু কিছু বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া উচিত৷ ভারত কিন্তু শেষ ম্যাচে সামিকে খেলায়নি৷ ভূবনেশ্বর কুমার এসেছিল তার জায়গায়৷ ৩ দশমিক ৪ ওভার বল করেই, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে৷ ফলে একটা দলে ব্যাকআপ বোলারও থাকতে হয়৷ স্ট্রাইক বোলাদের মধ্যে কখনো কখনো কারো খারাপ সময় যায়, কখনো কাউকে অগ্রাধিকার দিতে হয়, সেজন্যই হয়তো একজন রুবেল বাইরে থাকছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ