1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৮ সালে৷ প্রথমে এর নাম ছিল পলিটেকনিক স্কুল৷ ১৮৭৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পাল্টে রাখা হয় টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখ৷

(v.o.l. nach u.r.) RWTH Aachen, Freie Universität Berlin, Universität Freiburg, Uni Göttingen, Uni Heidelberg, Karlsruher Institut für Technologie (ehemals Uni Karlsruhe), Uni Konstanz, Ludwig-Maximilians-Uni München, Technische Universität München.(Montage: DW)
ছবি: dapd/picture-alliance/dpa/DW

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখে পড়াশোনা করছে প্রায় ২৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ এর মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ হল বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী৷ সবমিলে প্রায় ১৪২ টি বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখ৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বারোটি অনুষদ৷ সেগুলো হচ্ছে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশল, স্থাপত্য, মেকালিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটিং, সাধারণ বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিদ্যা, খেলাধুলা এবং স্বাস্থ্যবিজ্ঞান৷ এসব বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি করার সুযোগ দিচ্ছে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখ৷

পুষ্পলতা পাল্লে ভারতের ছাত্রী৷ তিনি হায়দ্রাবাদে পড়াশোনা করেছেন৷ বর্তমানে তিনি টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখে নিওরো ইমিউনলজি বিষয় নিয়ে পিএইচডি করছেন৷ অর্থাৎ মাল্টিপল স্কিরসিস নামক জটিল ব্যাধির নিরাময় তিনি খুঁজছেন তার গবেষণার মধ্য দিয়ে৷

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখছবি: picture-alliance/ dpa

পন্ডিচেরি সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স শেষ করার পরপরই জার্মানিতে পিএইচডি করার চেষ্টা করেন তিনি৷ আবেদন পত্র পাঠানোর বেশ কিছুদিন পর পুষ্পলতাকে জার্মানি থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ফোন করা হয়৷ তখন ইন্টারভিউয়েই জানানো হয় ডিএএডি-র বৃত্তির জন্য আবেদন করতে৷ এরপর প্রায় ছয় থেকে আট মাস ধরে চলে শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদান প্রদান৷ এরপর ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে তাকে জানানো হয় যে জার্মানিতে ডক্টরেট করার জন্য তাকে বৃত্তি দিয়েছে জার্মান সরকার৷

নিজেকে কীভাবে পিএইচডি-র কোর্সের জন্য তৈরি করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,‘‘আমি যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছি সবসময়ই সে বিষয় নিয়ে ডক্টরেট করার কথা ভাবতাম৷ মাস্টার্স চলাকালেই আমি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম৷ বিষয়, গবেষণার প্রস্তাবনা – এসব তখনই গোছানো হয়৷ আমি কোথায় পিএইচডি করতে চাই সেই বিষয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ল্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি৷ এরপরই আমি আবেদন করি৷ জার্মানি বেছে নিয়েছি তার কারণ জার্মানিতে এ বিষয়ে গবেষণা চলছে অনেকদিন ধরে৷ নিওরো সায়েন্সে গবেষণায় জার্মানি শীর্ষে অবস্থান করছে৷ জার্মানি আমার প্রথম পছন্দ ছিল৷''

জার্মানি কেমন? জার্মানিতে থাকার অভিজ্ঞতা কেমন? এ প্রশ্নের উত্তরে পুষ্পলতা জানান,‘‘মে মাসে আমার জার্মানিতে দুই বছর পূর্ণ হবে৷ অভিজ্ঞতা এ পর্যন্ত খুবই ইতিবাচক৷ এখানে গবেষণাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব নেই৷ না থাকলেও তা সঙ্গে সঙ্গেই যোগাড় করা হয়৷ আর সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় অনায়াসেই৷''

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখছবি: TU München / Albert Scharger

তবে পুষ্পলতা জানান, জার্মান ভাষা জানা থাকলে জার্মানিতে থাকা খুব সহজ৷ সবাই এখানে ইংরেজি বলে না৷ যদিও পুষ্পলতা প্রথম কয়েক মাস জার্মান ভাষা শিখেছেন কিন্তু তার পরেও তা যথেষ্ট নয়৷ টুকটাক কথা বলার জন্য যতটুকু প্রয়োজন তা পুষ্পলতা শিখেছেন৷ বিশেষ করে গবেষণাগারে কাজের সময় জার্মান ভাষার প্রয়োজন৷ কারণ সেখানে অনেক কিছুই বোঝানো হয় জার্মান ভাষায়৷

ভবিষ্যতে কী করতে চান? কোথায় কাজ করতে চান? ভারতে ফিরে যেতে চান নাকি জার্মানিতে থেকে যেতে চান? এ প্রশ্নের উত্তরে পুষ্পলতা পাল্লে বললেন,‘‘আমার বিষয়ে আমি আরো অভিজ্ঞ হতে চাই৷ এই মুহূর্তে আমি শুধু পিএইচডির কথা ভাবছি৷ কীভাবে আরো ভালভাবে গবেষণা চালানো যায়৷ ছোটা-খাটো প্রশ্নের মুখোমুখি সবসময়ই হচ্ছি৷ তবে আমি অবশ্যই এ বিষয়ে পোস্ট ডক্টরেট করতে চাই ৷ আমি নিজেকে পড়াশোনা এবং গবেষণায় পুরোপুরি সম্পৃক্ত করতে চাই ৷ ভবিষ্যতে কোন এক সময় আমি ভারতে ফিরে যাবো সেখানে কাজ করবো, গবেষণা করবো৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ