টেক্সাসের সেনেট আইন করে গর্ভপাত বন্ধ করে দিয়েছিল। আদালত সেই আইনের উপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছে।
বিজ্ঞাপন
গত সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত গর্ভপাত-বিরোধী আইন চালু হয়েছিল টেক্সাসে। যা নিয়ে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন আন্দোলনে নেমেছিল। বৃহস্পতিবার টেক্সাসের ডিস্ট্রিক্ট আদালত জানিয়ে দিল, আপাতত ওই আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। ফলে ফের গর্ভপাত করাতে পারবেন নারীরা।
গর্ভপাত সংক্রান্ত আইনে বদল বাইডেন প্রশাসনের
অব্যাহত প্রতিবাদের মুখে গর্ভপাত সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন এনেছে বাইডেন প্রশাসন৷ এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন গর্ভপাত ইস্যুতে পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকগুলোর উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল৷
ছবি: Jeenah Moon/REUTERS
ওবামা প্রশাসনের আইনে ফিরে গেলেন বাইডেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা দপ্তর সোমবার জানিয়েছে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি অতীতের ওবামা প্রশাসনের নীতি অনুযায়ীই চলবে৷ অর্থাৎ গর্ভপাতে আগ্রহী নারীদেরকে এই কাজের জন্য উপযুক্ত সেবাদাতার কাছে পাঠাতে পারবেন চিকিৎসকেরা৷
ছবি: Caitlin Ochs/REUTERS
ট্রাম্পের নীতিমালায় পরিবর্তন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর গর্ভপাত সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন এনেছিলেন৷ পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকগুলো তখন গর্ভপাতে আগ্রহীদের এই কাজের জন্য কোনো সেবাদাতার কাছে পাঠাতে পারতো না৷
ছবি: Evelyn Hockstein/REUTERS
১,৩০০ কেন্দ্র পুনরায় চালু হতে পারে
বাইডেন প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে যেসব স্থানীয় গর্ভপাত কেন্দ্র ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতিবাদে সরকারের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেগুলো আবার ফিরে আসবে বলে আশা করছে মার্কিন ক্লিনিকগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলো৷
ছবি: Lindsey Wasson/REUTERS
সমালোচনার মুখে বাইডেন প্রশাসনও
তবে গর্ভপাত সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন আনলেও এই সংক্রান্ত একটি বিষয়ের সমালোচনা করেছে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সবচেয়ে বড় প্রকল্প ‘প্লানডপেরেন্টহুড’৷ টুইটারে তারা জানিয়েছে যে নতুন আইনে একটি বিধান আছে যেটি ব্যবহার করে গর্ভপাতবিরোধী চিকিৎসকেরা এখনো গর্ভপাতের সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন৷ সরকার অবশ্য জানিয়েছে, প্রচলিত কেন্দ্রীয় আইনের আলোকেই এমন সুযোগ রাখা হয়েছে৷
ছবি: Lindsey Wasson/REUTERS
আড়াইশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্প
‘টাইটেল এক্স’ নামে মার্কিন করদাতাদের অর্থে পরিচালিত এই প্রকল্পের আওতায় জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা খাতে আড়াইশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়৷ মূলত নিম্ন আয়ের মানুষেরা এই সেবা গ্রহণ করে থাকেন৷ তবে, ট্রাম্প গর্ভপাত সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন আনায় অনেক সেবাদাতা প্রতিবাদ হিসেবে প্লানডপেরেন্টহুড প্রকল্প থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন৷
ছবি: Veronica Cardenas/REUTERS
দেশজুড়ে প্রতিবাদ
গর্ভপাত আইনটির প্রতিবাদে গত শনিবারও মার্কিন রাজপথে নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ৷ ট্রাম্প প্রশাসন এই আইন চালু করার পর থেকেই এমন প্রতিবাদ চলছিল৷
ছবি: Jeenah Moon/REUTERS
6 ছবি1 | 6
সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের সেনেট যে আইন তৈরি করেছিল, তাতে বলা হয়, ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে নারীরা আর গর্ভপাত করাতে পারবেন না। কারণ, ছয় সপ্তাহ পরে ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন শোনা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো, অধিকাংশ নারীই ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রগনেন্সি বুঝতে পারেন না। ফলে গর্ভপাত করতে চাওয়া নারীদের মাথায় হাত পড়েছিল। অনেকে অন্য রাজ্যে গিয়ে গর্ভপাত করাচ্ছিলেন। কেউ পার্শ্ববর্তী মেক্সিকোয় চলে যাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক বলেন, দেশের সংবিধানকে অমান্য করা হয়েছে টেক্সাসের ওই আইনে। শুধু তা-ই নয়, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে যে রায় দিয়েছে, টেক্সাসের আইন তারও বিরোধী। সেকারণেই আপাতত আইনটির উপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছেন তিনি।
স্থগিতাদেশ ঘোষণা হতেই বিভিন্ন গর্ভপাত কেন্দ্রগুলি খুলে গেছে। নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, আদালতের রায় মেনে সেন্টারগুলি খোলা হয়েছে।
তেমনই এক সেন্টারের কর্মকর্তা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ফের কবে আইন কার্যকরী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। ফলে আদালতের রায় আসার সঙ্গে সঙ্গে সেন্টারগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছে।