1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)১০ জুলাই ২০১৮

ব্রিটেনে দুই মন্ত্রীর বিদায়ের পর প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আপাতত টিকে গেছেন৷ তবে দল, সরকার ও মন্ত্রিসভায় তাঁর প্রতি সমর্থন নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ ইইউ'র সঙ্গে আলোচনা কোন পথে এগোবে, তা-ও স্পষ্ট নয়৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: Getty Images/AFP/L. Marin

পরপর দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেসা মে নিজে কতকাল ক্ষমতায় টিকে যেতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বিদায় নেবার পর কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা তাঁর সামনে আরও বাধা সৃষ্টি করবে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তার উপর মন্ত্রিসভা ও রক্ষণশীল দলের মধ্যে বিশাল বিভাজনও প্রধানমন্ত্রীর কাজ আরও কঠিন করে তুলছে৷ দলের ইউরোপপন্থি কিছু নেতা শুধু টেরেসা মে'র অবস্থানের প্রশংসা করেছেন৷ সোমবার সংসদেও মে নিজের অবস্থানের পক্ষে জোরালো সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন৷

দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আদৌ কোনো স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন৷ ব্রেক্সিটের প্রশ্নে গণভোটের প্রায় দুই বছর পর তিনি বলেন, এই সময়কালে তিনি জাতীয় স্তরে জোরালো বিতর্কের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্তে এসেছেন৷ ইইউ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বদলে কিছু ক্ষেত্রে এই রাষ্ট্রজোটের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কই সঠিক পথ বলে তিনি মনে করেন৷ অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত ইইউ'র সদস্য না থেকেও অনেক বিধিনিয়ম মেনে চলতে প্রস্তুত তিনি৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাঁর এই ‘সফট' ব্রেক্সিটের প্রস্তাব গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হলে তিনি নতুন করে সংকটের মধ্যে পড়বেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ মে নিজে ইইউ'র উদ্দেশ্যে নমনীয় অবস্থানের ডাক দিয়েছেন৷

সোমবারই টেরেসা মে ব্রেক্সিট মন্ত্রী হিসেবে ডমিনিক রাব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জেরেমি হান্টকে নিযুক্ত করেছেন৷ রাব ব্রেক্সিটপন্থি হলেও হান্ট গণভোটের সময়ে ইইউ-তে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন৷ এর ফলে কট্টরপন্থি ও নরমপন্থিদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷

কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে বলছেন, এর ফলে জনগণের রায় অগ্রাহ্য করা হচ্ছে৷ ইইউ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার বদলে টেরেসা মে ‘আধা-ব্রেক্সিট'-এর পথে এগোচ্ছেন৷ ফলে আলোচনায় ব্রিটেনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে তাঁরা সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ তাছাড়া ২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ইইউ'র সঙ্গে কোনো চুক্তি সম্ভব না হলে তারও প্রস্তুতি স্থগিত রাখছেন মে৷

ইইউ ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি৷ ইউরোপীয় কমিশন দেশ হিসেবে ব্রিটেনের সঙ্গে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী৷

ইইউ কমিশনের প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার সপ্তাহান্তে টেরেসা মে'র সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেন৷ তাঁর মুখপাত্র বলেন, আলোচনার জন্য ইইউ'র দ্বার ২৮ ঘণ্টা খোলা রয়েছে৷ কমিশনের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় লেখেন, রাজনীতিকরা আসে-যায়, কিন্তু তাঁরা মানুষের জন্য যে সমস্যা সৃষ্টি করে যায়, তা থেকে যায়৷ এমনকি ডেভিস ও জনসনের বিদায়ের পর ব্রেক্সিটের আইডিয়া আদৌ কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন টুস্ক৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ