1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেলিকম কেলেঙ্কারিতে ভারত সরকার নাস্তানাবুদ

১১ নভেম্বর ২০১০

কেলেঙ্কারির পর কেলেঙ্কারি৷ এবার টেলিকম কেলেঙ্কারি৷ টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনে ঘোরতর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টেলিকম মন্ত্রী ও ডিএমকে দলের নেতা এ.রাজার ইস্তফার দাবিতে বিরোধী পক্ষ আজ নিয়ে দ্বিতীয়দিন সংসদ অচল করে রাখে৷

ভারতের মোবাইল ফোন বাজার অত্যন্ত আকর্ষণীয়ছবি: picture-alliance/dpa

টু-জি স্পেকট্রামের লাইসেন্স বণ্টনে ঘোর দুর্নীতির অভিযোগে টেলিকমমন্ত্রী এ. রাজাকে বরখাস্ত করার দাবিতে বিরোধী পক্ষ আজ নিয়ে দ্বিতীয় দিনেও সংসদের কাজকর্ম অচল করে রাখে৷ বিরোধীদের অভিযোগ, লাইসেন্স বণ্টনের বিষয়ে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল সংক্ষেপে সিএজি'র রিপোর্টে বলা হয়েছে, বণ্টন ব্যবস্থায় নিয়মবিধি পালন না করায় সরকারের লোকসান হয়েছে এক লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার কোটি টাকা৷ স্বাধীন ভারতে এতবড় কেলেঙ্কারি আর হয়নি৷ টেলিকম মন্ত্রী এ.রাজা আইন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ উপেক্ষা করে, টেলিকম কমিশনের সুপারিশে কান না দিয়ে ১২২টি টেলিকম কোম্পানিকে এই লাইসেন্স দেন ২০০৮ সালে ২০০১ সালের দামে – অর্থাৎ বাজার দামের চেয়ে কম দামে৷

প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই সংসদ উত্তাল হয়ে ওঠেছবি: AP

বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভেদকর বলেন, দুর্নীতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে৷ জনপ্রতিনিধি হিসেবে এর প্রতিকার চাই৷ তাই আমরা এই দুর্নীতির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি করছি৷ অভিযোগ খণ্ডন করে সংসদীয় মন্ত্রী পবন বনশাল সংসদীয় কমিটির দাবি নাকচ করে সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, সংবিধান অনুসারে সিএজির রিপোর্ট প্রথমে আসে অর্থ মন্ত্রকে এবং পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে৷ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা পেশ করা হয় সংসদে৷ সংসদে পেশ করার আগেই এই নিয়ে হৈচৈ করা অযৌক্তিক৷ দোষীকে শাস্তি দেবার একটা পদ্ধতি আছে৷

টেলিকম দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে৷ এরই মাঝে সরকার সুপ্রীম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে বলেছ, টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনে কোন অনিয়ম হয়নি৷ সিবিআই তদন্তেরও আর দরকার নেই৷

বিতর্কিত এই মন্ত্রীকে মনমোহন সিং সরাতে পারছেন না কী জোট ধর্মের খাতিরে? টেলিকমমন্ত্রী এ.রাজা শরীক দল ডিএমকের সংসদে যাদের ১৮জন সাংসদ৷ ডিএমকে মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলে সরকার পড়ে যেতে পারে৷ প্রধানমন্ত্রী যদি একটা মাঝামাঝি উপায় বের না করেন, তাহলে দুর্নীতি সম্পর্কে দ্বিচারিতার অপবাদ নিতে হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ