জার্মানির বৃহত্তম বেসরকারি টেলিভিশন সংস্থা আরটিএল-এর প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিরাপত্তা, অভিবাসন ও ডিজেল কেলেঙ্কারি ইত্যাদি প্রসঙ্গে ভোটারদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
রবিবার সন্ধ্যায় আরটিএল-এর ‘লাইভ' অনুষ্ঠানে কোনোরকম হাতে লেখা চিরকুট অথবা অটোকিউ ছাড়াই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ম্যার্কেল৷
জার্মানিতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী আক্রমণ, বিশেষ করে সাম্প্রতিক বার্সেলোনা সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যার্কেলকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর সরকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে৷ ম্যার্কেল বলেন যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশি নজরদারি ও প্রযুক্তির একটি সংমিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে৷ জার্মানিতে আনুমানিক ১০,০০০ ব্যক্তি উগ্রপন্থি মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকলেও, তাদের মধ্যে মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে বাস্তবিক বিপজ্জনক বলে গণ্য করা হয়, বলেন ম্যার্কেল৷
জার্মান নির্বাচনের প্রচারণা প্ল্যাকার্ড
আসল? বিদেশিবিদ্বেষী? সেকেলে? জার্মানির নির্বাচনের জন্য তৈরি পোস্টারে এ রকম আরো অনেক শব্দ দেখা যাচ্ছে৷ ভোটারদের দলে ভেড়াতে বড় দলগুলোর পোস্টারে কী দেখা যাচ্ছে দেখে নেই চলুন৷
ছবি: picture alliance/dpa/B.Pedersen
খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ)
টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নির্বাচনি পোস্টারে এখন আর কোনো অপরিচিত মুখ নন৷ তাঁর দল সিডিইউ ২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে গোটা জার্মানিতে ২২,০০ প্ল্যাকার্ড বসাচ্ছে৷ এতে জার্মান চ্যান্সেলরের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে জার্মান পতাকা ব্যবহারে করে দলটির দেশপ্রেম বোঝানো হয়েছে৷ আর স্লোগানে প্রাধান্য পেয়েছে নিরাপত্তা, পরিবার এবং কাজের মতো বিষয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/B.Pedersen
সামাজিক গণতন্ত্রী (এসপিডি)
সামাজিক গণতন্ত্রীরা তাদের দীর্ঘদিনের লাল আর বর্গাকারের লোগোকে পোস্টারে প্রাধান্য দিয়েছে৷ তাদের পোস্টারে শিক্ষা, পরিবার, পেনশন, বিনিয়োগ এবং বেতন বৈষম্যের মতো বিষয়াদি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ২৪ মিলিয়ন ইউরোর নির্বাচনি প্রচারণার পর নির্বাচনের ঠিক আগে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নাকি একটি বোমা ফাটাতে পারে এসপিডি, তবে সেসম্পর্ক কিছু এখনো জানা যায়নি৷
মুক্তগণতন্ত্রী দল (এফডিপি)
মুক্তগণতন্ত্রীদের নির্বাচনি প্রচারণায় খরচ হচ্ছে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সাদাকালো ফটোশুটের মাধ্যমে পোস্টারে আধুনিক মার্কেটিংয়ের ছাপ ফুটিয়ে তুলেছে সেদেল৷ তাদের পোস্টারে শোভা পাচ্ছেন একজন: ক্রিস্টিয়ান লিন্ডার৷ তবে পোস্টারে ছোট করে লেখা নানা কথা পড়তে ভোটারদের বেশ কষ্টই করতে হবে৷ ‘অস্থিরতাও একটা গুণ’, লেখা হয়েছে পোস্টারে৷
সবুজ দল
সবুজ দল তাদের দলীয় নীতিকেই নির্বাচনের পোস্টারে তুলে ধরছেন৷ সেদলের স্লোগানে জায়গা করে নিয়েছে পরিবেশ, ইন্টিগ্রেশন এবং শান্তির মতো বিষয়৷ তাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘‘পরিবেশই সবকিছু নয়, তবে পরিবেশ ছাড়া সবকিছুই অর্থহীন৷’’
জার্মানির জন্য বিকল্প (এএফডি)
তবে আসন্ন নির্বাচনের সবচেয়ে বিতর্কিত প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছে ডানপন্থি এএফডি পার্টি৷ আপাত দৃষ্টিতে এই পোস্টারটি দেখলে মনে হবে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসছেন৷ কিন্তু স্লোগান কী বলছে জানেন? ‘‘নতুন জার্মান? তাদের আমরাই তৈরি করবো৷’’ দলটির আরেক পোস্টারে বিকিনি পরা তিন নারীকে দেখা গেছে৷ আর তাতে লেখা: ‘‘বোরকা? আমরা বিকিনি পছন্দ করি৷’’
বামদল
বামদলের পোস্টারে বিভিন্ন ফস্টের বর্ণিল উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে৷ ‘‘[বর্নিল] মানুষ৷ স্পষ্টভাবে ডানপস্থি ঘৃণার বিরোধী’’, বলছে তাদের স্লোগান৷ দলটির নির্বাচনি প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে সাশ্রয়ী ভাড়া, আরো স্বচ্ছ পেনশনের নিশ্চয়তা এবং অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের মতো বিষয়৷
6 ছবি1 | 6
ম্যার্কেল বলেন যে, তিনি জার্মানির যাবতীয় ১৬টি অঙ্গরাজ্যে পুলিশের সাজসরঞ্জাম ও কর্মধারা একীকৃত করার চেষ্টা করবেন৷ বিভিন্ন রাজ্যে ভিডিও নজরদারি অথবা পুলিশি তল্লাসির প্রক্রিয়া যে কেন আলাদা হবে, তা অনেক নাগরিকের কাছেই দুর্বোধ্য, বলে মন্তব্য করেন ম্যার্কেল৷ তিনি বলেন যে, তাঁর খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল পুলিশি প্রক্রিয়াকে সর্বত্র অনুরূপ করার চেষ্টা করার: ‘‘আমি নিজে আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব৷''
অভিবাসন
২০১৫ সালে ম্যার্কেল উদ্বাস্তুদের জন্য জার্মানির সীমান্ত খুলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ রবিবার সন্ধ্যায় তিনি তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুনরায় সমর্থন করেন: ‘‘আমার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল, বলে আজও আমার ধারণা৷'' বর্তমানে ইটালি ও গ্রিসের সীমান্তে যে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী এসে পৌঁছাচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যার্কেল ইউরোপের অপরাপর দেশের প্রতি সংহতি প্রদর্শন করার ও সাহায্য করার আহ্বান জানান৷
একজন ভোটার এ প্রশ্নও তোলেন যে, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীরা যখন তাদের আবেদনের নিষ্পত্তি হবার জন্য অপেক্ষা করছেন, তখন তাদের কাজ করতে দেওয়া হয় না কেন৷ কয়েকজন ভুক্তভোগীকে বলতে শোনা যায় যে, তারা বছরের পর বছর করদাতাদের আনুকুল্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে বাধ্য হয়েছেন, যদিও তারা কাজ করতে চান৷
ডিজেল কেলেঙ্কারি
ডিজেল কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে ম্যার্কেল ভোটারদের বলেন যে, তিনি জার্মান গাড়ি শিল্পের কার্যকলাপে হতাশ হয়েছেন৷ সাবেক পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে তিনি এর ফলশ্রুতি বোঝেন৷ ‘‘আমি রুষ্ট'', ম্যার্কেল তাঁর শ্রোতা ও দর্শকদের বলেন৷ এই কেলেঙ্কারি থেকে জার্মান মোটর গাড়ি শিল্পের আন্তরিক হানি ঘটার ঝুঁকি রয়েছে ও গাড়ি শিল্পকে তা যতোদূর সম্ভব সামাল দিতে হবে, বলেন ম্যার্কেল৷ এক গাড়িমালিক প্রশ্ন তোলেন, জার্মান গাড়িমালিকরা মার্কিন গাড়িমালিকদের চেয়ে কম ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন কেন? ম্যার্কেল বলেন, দু'টি দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা হওয়াটাই এর কারণ৷
জার্মানির যে সাত রাজনৈতিক দলের নামও শোনেননি আপনি
জার্মানরা শুধু সিডিইউ বা এসপিডি নয়, কিছু ছোট এবং বিরল দলকেও ভোট দিতে পারে৷ এই যেমন, প্রাণী সুরক্ষা পার্টি কিংবা মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি৷ ভাবছেন, এরা কারা? চলুন দেখে নিই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
প্রাণী সুরক্ষা দল
জার্মানিতে প্রাণী অধিকার বিষয়ক অ্যাক্টিভিস্টরা সুযোগ পেলে পুরো হাইওয়ে বন্ধ করে দেন যাতে ব্যাঙেরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারে৷ এমন দেশে তাই ‘অ্যানিমেল প্রোটেকশন পার্টি’ বা প্রাণী সুরক্ষা দল থাকবে না, তা কি হতে পারে? তবে গ্রিন পার্টির কারণে এ দলের পালে হাওয়া কম থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
দ্য রিপাবলিকানস
ব্যাপারটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর৷ জার্মানির রয়েছে নিজস্ব রিপাবলিকান পার্টি, নাম আরইপি৷ তবে এই দলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই৷ জার্মান রিপাবলিকনরা হচ্ছেন ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী, যারা নিজেদের ‘রক্ষণশীল দেশপ্রেমিক’ এবং দেশের ‘সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়’ রক্ষায় লড়াইরত বলে মনে করেন৷
ছবি: DW
দ্য পার্টি
হ্যাঁ, এই দলের নাম ‘দ্য পার্টি’৷ জার্মানির স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘টাইটানিক’ এর সম্পাদকরা ২০০৪ সালে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ দলটির প্রধান হচ্ছেন মার্টিন স্যোনেবর্ন (ছবিতে)৷ ২০১৪ সালে তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে দলটির জন্য একটি আসন নিশ্চিত করেন৷ ভবিষ্যতে দলটির অবস্থা আরো ভালো হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Sven Simon/M. Ossowski
গণভোট দল
জার্মানির রেফারেন্ডাম পার্টি বা গণভোট দলের কাছে সুইজারল্যান্ড এক বিশাল অনুপ্রেরণা৷ দলটি চায় দেশের সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গনভোটের মাধ্যমে জনগণ নেবে৷ সুইজারল্যান্ডে ২০১৬ সালে তেরোটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি
জার্মানির এমএলপিডি একটি ছোট দল, যদিও দেশটির অর্ধেক মানুষ এক সময় কমিউনিস্ট ছিলেন৷ মানে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৯ সাল অবধি যখন জার্মানি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল৷ তৎকালীন পূর্ব জার্মানি তখন শাসন করেছিল সোশ্যালিস্ট ইউনিটি পার্টি৷ বর্তমানে উগ্র বামপন্থি এমএলপিডি’র জার্মান রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Link
ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি
‘অ্যালায়েন্স সি - ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি’ একটি ক্রিশ্চিয়ান পার্টি, যেটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে৷ খ্রিষ্টান-মৌলবাদীদের একটি দল এবং শ্রমিক, পরিবেশ এবং পরিবারভিত্তিক একটি দল একত্র হয়ে এই দল গড়ে৷ বাইবেলের মান রক্ষা করে দেশ পরিচালনা করতে চায় এই দল৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. MacDougall
6 ছবি1 | 6
অপরদিকে ডিজেল কেলেঙ্কারির কারণে যে সব জার্মান গাড়িমালিকদের গাড়ির দাম কমে গেছে, ম্যার্কেল জার্মান গাড়ি শিল্পের প্রতি তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানান – নয়ত ‘‘সারা বিশ্বে সুপ্রশংসিত জার্মান গাড়ি শিল্পের লক্ষণীয় হানি ঘটতে পারে'', বলে ম্যার্কেল মন্তব্য করেন৷
ম্যার্কেল জার্মান গাড়িনির্মাতাদের প্রতি ডিজেল জ্বালানিতে গ্রাহকদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্টা করার আহ্বান জানান৷ ‘‘জলবায়ু সুরক্ষার লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য আমাদের ডিজেলের প্রয়োজন,'' ঘোষণা করেন ম্যার্কেল৷ ডিজেল গাড়ি থেকে একদিকে যেমন কম কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়, অপরদিকে তেমনই বেশি নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট সৃষ্টি করতে পারে৷
তুরস্ক
তুরস্ক যে জার্মান লেখক ডোগান আখানলিকে আটক ও তুরস্কে হস্তান্তরের জন্য ইন্টারপোলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ব্যবহার করেছে, ম্যার্কেল তার সমালোচনা করেন৷ ঐ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে আখানলিকে শনিবার স্পেনে গ্রেপ্তার করা হয়৷ অতঃপর স্পেন আখানলিকে ছেড়ে দেওয়ায় তিনি খুশি, বলে ম্যার্কেল মন্তব্য করেন ও যোগ করেন, ‘‘এ ধরনের কাজের জন্য ইন্টারপোলের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের অপব্যবহার করা উচিত নয়৷''
আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ম্যার্কেল একটি চতুর্থ কর্মকালের জন্য সিডিইউ-সিএসইউ দলের প্রার্থী৷ সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, সিডিইউ-সিএসইউ দল সংসদে সর্বাধিক আসন পেতে চলেছে, তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়৷
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷