টেলিভিশন ক্ষতি করছে!
১৮ অক্টোবর ২০১৩বাংলাদেশে টেলিভিশন চ্যানেল বেড়েছে খুব কম সময়ে৷ ফলে প্রতিযোগিতা বেড়েছে৷ টেলিভিশন সাংবাদিকতা বিটিভি-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে নতুনত্বও দেখিয়েছে অনেক৷ তবে সামহোয়্যার ইন ব্লগে রেজা ঘটক লিখেছেন টিভি চ্যানেলগুলোর একঘেয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশনাসহ বিভিন্ন দুর্বলতা নিয়ে৷ তাঁর লেখার শিরোনাম, ‘টেলিভিশন দেশকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে...'৷ আসলেই কি তাই?
রেজা ঘটক লিখেছেন, ‘আগে আমাদের শুধু সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্স বিটিভি-র উপর নির্ভর করতে হতো আর এখন সেই (টিভি চ্যানেলের) সংখ্যা বেড়ে ২০-২১-২২...!!! অথচ ঈদ-পূজার মতো বড় বড় উৎসবে নতুন এবং উপভোগ্য অনুষ্ঠানের সংখ্যা কত? দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিশেষ করে যারা প্রোগ্রামে কাজ করেন, তাদের মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই! ... আরে ভাই, বস্তা পচা একই ধরনের অনুষ্ঠান আর কত চালাবেন? পারলে নতুন কিছু দেখান, নইলে সাফ জানিয়ে দিন আমাদের যোগ্যতা এটুকুই৷ ... কিন্তু ভাবটা এমন যেন পৃথিবীর সেরা অনুষ্ঠান এরা করছেন! ... সবাই সংবাদ, বস্তাপচা নাটক, ফাউল টকশো, ইনিয়ে বিনিয়ে নানা কাহিনি দেখাচ্ছেন, কিন্তু একটাও দেখার মতো নয়, তারা কি সেটা জানেন? এছাড়া বিজ্ঞাপনের বিড়ম্বনা তো আছেই৷ বিজ্ঞাপনের আবার কোনো মানদণ্ড নেই৷ একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য এরকম হাইব্রিড বিজ্ঞাপনই যথেষ্ট৷ যারা টেলিভিশনের উপস্থাপক, তাদের উচ্চারণ তো মাশাল্লা সেইরাম! কান ঝালাপালা হয়ে যায়৷ একটা দেশ চোখের সামনে এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে...'
রেজা ঘটক লেখা শেষ করেছেন এভাবে, ‘টেলিভিশন দেখে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না৷ এসব টেলিভিশন চ্যানেলের কল্যাণে এখন নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ অনেক কমে গেছে৷ সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেইসবুক৷ টেলিভিশন আর ফেইসবুকের কারণে নতুন প্রজন্ম এখন বই থেকে যোজন যোজন দূরে৷ এভাবে একটা দেশ বিকশিত হতে পারে না৷ সেই সুযোগে সেখানে বাসা বাধে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী৷ সো, সাধু, সময় থাকতে সাবধান...''
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন