দৈর্ঘ্যে স্বল্প৷ বলে বলে উত্তেজনা৷ এধারার ক্রিকেট জনপ্রিয়তায় এগিয়ে বাংলাদেশে৷ তুলনায় টেস্টে আগ্রহ কম ক্রিকেটপ্রেমীদের৷ পাঁচ দিনের ক্রিকেটে দর্শকখরার এই বিজ্ঞাপনও কি পিছিয়ে দিচ্ছে টাইগারদের?
২০০৮ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচছবি: Khan Godhuly/AFP/Getty Images
বিজ্ঞাপন
বছর তিনেক আগের কথা৷ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কোনো এক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলছে৷ বিকেলবেলায় ঢাকা শহরে চলতে চলতে প্রায় সবাই মুঠোফোনে খেলা দেখছে৷ ভিড় জমেছে পাড়ার চায়ের দোকানেও৷ সকলে ছোটপর্দায় খেলা দেখছে৷ বাজিও ধরছে কেউ কেউ৷ আমি গিয়েছি ধানমন্ডিতে কূটনীতিক কলামিস্ট মোহাম্মদ জমিরের বাসায়৷ তিনিও বৈঠকখানায় টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখছেন৷ তবে টি-টোয়েন্টি নয়, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচ, অর্থাৎ অ্যাশেজ সিরিজ৷ বিষয়টি আমার কাছে ছিল বিস্ময়জাগানিয়া৷ বাংলা সাহিত্যের সিরিয়াস পাঠকদের মতোই বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটের সত্যিকারের দর্শকও এমন হাতেগোনা৷ তাই তো করোনাকালের আগের উন্মুক্ত গ্যালারির সময়েও ঢাকায় টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক থাকতো কমই৷ সেই শূন্যতা পূরণে শিক্ষার্থীদের বিনা টিকিটে খেলা দেখার সুযোগ দেয়া হতো৷ তারপরও বা কতটাই পূর্ণ হতো গ্যালারি?
আশা জাগিয়েও জিততে না পারা ছয় টেস্ট
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ১২১টি টেস্ট ম্যাচ খেলে মাত্র ১৪টিতে জিতেছে৷ আরো কয়েকটি ম্যাচে জেতার আশা জাগিয়ে তুলেছিল টাইগাররা৷ এমন ছয়টি টেস্টের তথ্য থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Jewel Samad/AFP/Getty Images
মুলতান টেস্ট, ২০০৩
বাংলাদেশের অধিনায়ক খালেদ মাহমুদকে চোখ মুছতে মুছতে মাঠ ছাড়তে দেখা যাচ্ছে৷ কারণ, ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের মুলতানে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচ জেতার ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ৷ ২৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তানের সংগ্রহ একটা সময় ছিল ৮ উইকেটে ২০৫৷ কিন্তু মাঠে থাকা ইনজামাম বলতে গেলে প্রায় একাই সেদিন বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিলেন৷ ১৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি৷ পাকিস্তান জিতেছিল এক উইকেটে৷
ছবি: Jewel Samad/AFP/Getty Images
ফতুল্লা টেস্ট, ২০০৬
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শাহরিয়ার নাফীসের শতকের (১৩৮) সুবাদে ৪২৭ রান করে বাংলাদেশ৷ এরপর রফিকের অসাধারণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ২৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায়৷ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৮ রানে অলআউট হওয়ায় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দেয়৷ আবারও রফিকের কারণে ২৭৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার৷ কিন্তু মাঠে তখনো ছিলেন রিকি পন্টিং৷ অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন তিনি৷
ছবি: Hamish Blair/Getty Images
চট্টগ্রাম টেস্ট, অক্টোবর ২০০৮
প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে বাংলাদেশের ৪ উইকেট পড়ে গেলেও মুশফিকুর রহিম ও মেহরাব জুনিয়রের ব্যাটিংয়ের কারণে ২৪৫ রান তুলেছিল টাইগাররা৷ এরপর সাকিব ৩৬ রানে সাত উইকেট নিয়ে কিউইদের ১৭১ রানে আটকে দিয়েছিলেন৷ দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৪২ রান তুললে মোট ৩১৭ রানের টার্গেট পায় নিউজিল্যান্ড৷ ওপেনার রেডমন্ডের ৭৯ আর চার নম্বরে নামা ড্যানিয়েল ভেট্টোরির ৭৬ রানের সুবাদে তিন উইকেটে জিতে যায় কিউইরা৷
ছবি: Farjana Khan Godhuly/AFP/Getty Images
ঢাকা টেস্ট, ফেব্রুয়ারি ২০০৮
মর্কেল আর স্টেইনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ৷ তবে শাহাদাত হোসেনের (২৭ রানে ছয় উইকেট) কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১৭০ রানেই অলআউট হয়ে যায়৷ এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৮২ রানে অলআউট হয়ে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে মাত্র ২০৫ রানের টার্গেট দিতে সমর্থ হয় টাইগাররা৷ স্মিথ ও হাশিম আমলার ব্যাটিংয়ে ভর করে পাঁচ উইকেটের জয় পায় প্রোটিয়ারা৷
ছবি: Duif du Toit/Gallo Images/Getty Images
চট্টগ্রাম টেস্ট, ২০১৬
সাব্বিরকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন জো রুট৷ পঞ্চম দিনে জেতার জন্য ৩৩ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের৷ ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২ উইকেট৷ বাংলাদেশ হেরে যায় ২২ রানে৷ তাই ৬৪ রানে অপরাজিত থাকা সাব্বিরকে হতাশা ঘিরে ধরেছিল৷ প্রথম ইনিংসে মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে (৮০ রানে ৬ উইকেট) ইংল্যান্ড ২৯৩ রান তুলতে সমর্থ হয়৷ জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ২৪৮ রান৷ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪০ রান করে ইংলিশরা৷ বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২৬৩ রানে৷
ছবি: Getty Images/G. Copley
ঢাকা টেস্ট, ২০২১
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাদেরকে ১১৭ রানে বেঁধে ফেলে টেস্ট জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ৷ দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ২৩১ রানের টার্গেট পেয়েছিল টাইগাররা৷ কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ৷ ফলে ১৭ রানে হেরে যায় টাইগাররা৷ এটাই টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রানে পরাজয়৷ ৯ উইকেট পাওয়ায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন রাহকিম কর্নওয়াল৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
6 ছবি1 | 6
এই পরিস্থিতিই আসলে বলে দেয় যে, আমাদের ক্রিকেট উন্মাদনার প্রায় পুরোটাই টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেকেন্দ্রিক৷ তাই যেখানে করতালির মুখরতা নেই সেখানে ক্রিকেটাররা উৎসাহ পাবেন কম, সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়৷
অন্যদিকে ম্যাচও যদি হয় শুধুই নিয়মরক্ষার, না থাকে প্রতিযোগিতার ঝাঁজ, না থাকে তারকা ক্রিকেটার, সেখানে দর্শক এসেও তো আবার ঘরে ফিরে যাবেন৷ বাংলাদেশের দীর্ঘ পরিসরের ঘরোয়া লিগ সেই পরণতিই বরণ করে বসে আছে অনেক দিন হলো৷ একটি টেস্ট মর্যাদার দেশ যদি তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের এই দশা নিয়েই চলতে থাকে, তবে সেই সামর্থ্যের ক্রিকেটার বের হওয়া যেমন কঠিন, তেমনি সমঝদার দর্শক তৈরির পথও আটকেই থাকবে৷ কারণ, ম্যাচ ভালো হলে মানুষ তাতে চোখ রাখতে বাধ্য৷
একটা অভিযোগ প্রায়ই সামনে আসে৷ আমাদের তারকা ক্রিকেটাররা বিপিএল ছাড়া অন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরে অনাগ্রহী৷ এর বড় কারণ হতে পারে সম্মানির স্বল্পতা৷ আবার নিজের ঘর মনে করার মতো দল না থাকাও একটা ব্যাপার হয়ে থাকতে পারে৷ এক বিপিএল ছাড়া দর্শকদের মনেও এমন আবেগ উসকে দেয়া যায়নি অন্য কোনো প্রতিযোগে৷ ফলে নিজ দলের খেলা দেখতে যাওয়ার টান থেকে ভরে না আর গ্যালারি৷ দর্শকের এই অনুভূতির জায়গা নিয়ে কীভাবে খেলা যায়, তা ভেবে বের করতে হবে আমাদের ক্রিকেট-কর্তাদের৷ এতে করে টিকিট থেকে আয়ের উৎস গতি পাবে৷ আবার পক্ষে-বিপক্ষের দর্শকের চাপ মাথায় নিয়ে পারফর্ম করার পরীক্ষাও হয়ে যাবে ঘরোয়া আসরেই৷ আমাদের মাথায় রাখতে হবে, একটা সময় আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের চাপ জয় করেই একজন নান্নু, একজন আকরাম, একজন বুলবুল সফল হয়েছিলেন৷ সেই সময়ের চেয়ে আমাদের ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে, এটা সত্য৷ কিন্তু খাল নদীর পর সমুদ্রজয়ের জন্য তার প্রস্তুতিও আরো বড় হওয়া চাই৷ ক্রিকেটের বেলায় সেটা যদি টেস্ট ম্যাচ হয়, সেই সামর্থ্যের ক্রিকেটার লাগবে৷ লাগবে যুতসই হাততালি৷ কিন্তু সেই সমর্থক কই? কোথায় পাবো তাদের? ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা পাশের ভারতের মতো টেস্ট সমঝদার দর্শক যেদিন আমাদের হবে, সেদিন আমরা টেস্ট ম্যাচ জিততে অভ্যস্ত হবো, এটা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি৷ আর সেই সমর্থকরা প্রতিপক্ষের কৃতিত্বেও বাহবা জানাতে ভুলবেন না৷ ভবিষ্যতের সেই দর্শকরা কাইল মেয়ার্সের ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো কিংবা রাকিম কর্নওয়ালের ৯ উইকেট শিকারের মতো ঘটনা আপন দলের অযোগ্যতার উপহার হিসেবে নয়, প্রতিপক্ষের যোগ্যতর অর্জন হিসেবেও মানতে শিখবে৷
তায়েব মিল্লাত হোসেন, সাংবাদিকছবি: Privat
যে ১৬টি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ
সেই ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা৷ তার মধ্যে জয় এসেছে ১৬টিতে৷ চলুন জেনে নিই সেই টেস্টগুলোর কথা৷
ছবি: Marty Melville/Photospor/AP/picture alliance
জানুয়ারি ১-৫ (২০২২), প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে টেস্টে ঐতিহাসিক এক জয় পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটেই এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মুমিনুলবাহিনী।
ছবি: Marty Melville/Photospor/AP/picture alliance
জুলাই ৭-১১ (২০২০) প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে
হারারের একমাত্র টেস্ট ২২০ রানে জিতেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের দেওয়া ৪৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবোয়ে অলআউট হয় ২৫৬ রানে। এই জয়ের অন্যতম রূপকার মেহেদী হাসান মিরাজ।
মুশফিকুর রহিমের দ্বিশতক (২০৩) আর মুমিনুলের শতকে (১৩২) ভর করে বাংলাদেশ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এক ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় পায়৷ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে ২৬৫ রান করেছিল৷ এরপর বাংলাদেশ খেলতে নেমে ছয় উইকেটে ৫৬০ রান তোলে৷ পরের ইনিংসে জিম্বাবোয়ে ১৮৯ রান করে অলআউট হয়ে যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
নভেম্বর ৩০-ডিসেম্বর ২, ২০১৮ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মিরপুর টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ৷ এই প্রথম প্রতিপক্ষকে ফলো অন করানো ও ইনিংস ব্যবধানে জয়ের অনির্বচনীয় দুটি স্বাদ দল পেল একদিনেই৷ দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০তে জয়৷ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ৷ ১১৭ রানে ১২ উইকেট, বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি৷ ম্যান অব দা ম্যাচ মেহেদী হাসান মিরাজ৷ ম্যান অব দা সিরিজ সাকিব আল হাসান৷
ছবি: Picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad
নভেম্বর ২২-২৪, ২০১৮ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রতিপক্ষকে দুই ইনিংস মিলিয়ে সবচেয়ে কম বলে দুবার অলআউট করে জেতা ম্যাচের নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ৷ আড়াই দিনে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা৷ সাড়ে সাত সেশনের মতো খেলা হয়েছে এই টেস্টে৷ এটিই টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম জয়৷ নাঈম হাসান প্রথম ইনিংসে পেয়েছেন ৫ উইকেট৷ দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল পেয়েছেন ৬ উইকেট৷ মুমিনুল হক পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
নভেম্বর ১১-১৫, ২০১৮ প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে
জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ২১৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ৷ সিরিজ ১-১ ড্র৷ ৪৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় সেশনে জিম্বাবুয়ে থামে ২২৪ রানে৷ ৩৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সফলতম বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ৷ দ্বিশত হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা মুশফিকুর রহিম৷ সিরিজ সেরা হয়েছেন তাইজুল ইসলাম৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
জানুয়ারি ৬-১০, ২০০৫, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ২২৬ রানে জয়ী
টাইগাররা প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় চট্টগ্রামে৷ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪৮৮ রান তোলে স্বাগতিকরা৷ আর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ২০৪ রান করে৷ প্রথম ইনিংসে জিম্বাবোয়ের স্কোর ছিল ৩১২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৪ রান৷
ছবি: Getty Images/AFP
জুলাই ৯-১৩, ২০০৯, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ: বাংলাদেশ ৯৫ রানে জয়ী
দেশের বাইরে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের দেখা পায় ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই৷ কিংসটাউনে সেই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারায় টাইগাররা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Samad
জুলাই ১৭-২০, ২০০৯, প্রতিপক্ষ ওয়েস্টইন্ডিজ: বাংলাদেশ চার উইকেটে জয়ী
সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ছিল সাফল্যে ঠাসা৷ দ্বিতীয় টেস্টে সেন্ট জর্জেসে স্বাগতিকদের হারায় টাইগাররা, সেবার জিতেছিল চার উইকেটে৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Brooks
এপ্রিল ২৫-২৯, ২০১৩, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৪৩ রানে জয়ী
জিম্বাবোয়ের হারারেতে স্বাগতিকদের আবার ‘বধ’ করে টাইগাররা৷ প্রথম ইনিংসে ৩৯১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৯১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ৷ জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৮২ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Njikizana
অক্টোবর ২৫-২৭, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ তিন উইকেটে জয়ী
ঢাকায় বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়৷ তিন দিনে শেষ হওয়া সেই টেস্টে শুরুতে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রান করে জিম্বাবোয়ে৷ আর দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ১১৪৷ অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে ২৫৪ আর দ্বিতীয় ইনংসে ৭ উইকেটে ১০৭ রান তুলে জিতে যায় স্বাগতিকরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
নভেম্বর ৩-৭, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৬২ রানে জয়ী
খুলনায় জিম্বাবোয়েকে হারায় বাংলাদেশ৷ সেই টেস্ট পাঁচ দিন পর্যন্ত গড়ালেও শেষমেশ তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবোয়ে৷ ফলাফল স্বাগতিকদের ১৬২ রানের জয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
নভেম্বর ১২-১৬, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৮৬ রানে জয়ী
আবারো চট্টগ্রামে জিম্বাবোয়েকে হারায় টাইগাররা৷ সেবার ব্যবধান ছিল ১৮৬ রানের৷
ছবি: Getty Images/AFP/Strdel
অক্টোবর ২৮-৩০, ২০১৬, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড: বাংলাদেশ ১০৮ রানে জয়ী
এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্রিকেট শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট জয় এটি৷ ঢাকায় ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করে টাইগাররা৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
মার্চ ১৫-১৯, ২০১৭, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী
একদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শততম ম্যাচে জয়, অন্যদিকে প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়-দুই দিক দিয়েই ঐতিহাসিক বাংলাদেশের এই টেস্ট ম্যাচটি৷ পঞ্চম দিনে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা৷ ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
আগস্ট ২৭-৩০, ২০১৭, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া: বাংলাদেশ ২০ রানে জয়ী
প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে৷ এটা ছিল সাকিব ও তামিমের ৫০তম টেস্ট। সাকিব মোট ১০ উইকেট নিয়ে এবং তামিম দুই ইনিংসেই অর্ধশত করে স্মরণীয় করে রাখলেন এই টেস্টকে৷ ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান৷ দ্রষ্টব্য: ইএসপিএন ক্রিকইনফো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ছবিঘরটি তৈরি করা হয়েছে৷