টোকিও অলিম্পিক সময়েই হবে: প্রধানমন্ত্রী সুগা
১৯ জানুয়ারি ২০২১করোনার কারণে ইতিমধ্যেই এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে টোকিও অলিম্পিক। আগামী জুলাইতে তা হওয়ার কথা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন, এবার নির্ধারিত সময়েই অলিম্পিক হবে। আর অলিম্পিকই হবে করোনার বিরুদ্ধে মানুষের বিজয়ের প্রমাণ।
জাপানের পার্লামেন্টে সুগা বলেছেন, ''আমরা করোনা ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেব। এই অলিম্পিক যাতে বিশ্বজুড়ে মানুষকে আশা ও সাহস দিতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।''
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখও সম্প্রতি বলেছেন, ''টোকিও অলিম্পিক যেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আশার আলো দেখায়।''
অলিম্পিক নিয়ে সন্দেহ
জাপানের অধিকাংশ মানুষ অবশ্য মনে করেন, অলিম্পিক হবে না বা হওয়া উচিত নয়। স্থানীয় মিডিয়ার করা সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অলিম্পিক হওয়া উচিত নয় বা আয়োজন করা সম্ভব নয়।
জাপানের একটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট হলো, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুইশটি দেশ থেকে ছয় হাজার ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন বলে আশা করছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি। আগে ঠিক ছিল, ১১ হাজার ক্রীড়াবিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অ্যাথলিটরা তাঁদের ইভেন্টের পাঁচদিন আগে গেমস ভিলেজে ঢুকতে পারবেন। ইভেন্ট শেষ হওয়ার দুই দিনের মধ্যে তাঁদের ভিলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী চাপে
সম্প্রতি জাপানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে চাপ বেড়েছে প্রধানমন্ত্রী সুগার উপর। সুগা বলেছেন, সরকার আইন বদল করতে চায়। করোনার নিয়ম ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে, সেই ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে সরকার।
পার্লামেন্টে সুগা জানিয়েছেন. ''যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনা নিয়ন্ত্রণে আনব। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেব।''
জাপানে তিন লাখ ৩০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন চার হাজার ৫০০ জন। অন্য উন্নত দেশের তুলনায় জাপানে করোনার প্রকোপ কম। কিন্তু জাপানে এখন আবার করোনা ছড়াচ্ছে। তাই জাপান এখন বিদেশিদের ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে। টোকিও এবং অন্য প্রধান শহরে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।
সুগার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, করোনার মোকাবিলায় তিনি সময়ে তৎপর হননি।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)