ব্রাজিলের এক স্টার্ট-আপ কোম্পানি একটি অ্যাপ তৈরি করেছে, যা ট্যাক্সিচালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে৷ অ্যাপটি স্মার্টফোনের ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করে যাত্রী সহ ট্যাক্সির ভেতরের সবকিছুর ছবি তোলে৷
বিজ্ঞাপন
সাগরপারের রিও ডি জানিরোতে কয়েক মিলিয়ন মানুষের বাস৷ ব্রাজিলের এই শহরে যেমন প্রাণোচ্ছল মানুষ আছে, তেমনি আছে অনেক যানবাহন৷ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক শহর রিও৷ বিশেষ করে সেখানকার ট্যাক্সিচালকরা প্রায়ই হামলার শিকার হন৷
রডরিগো টেরা রিওস নিরাপত্তা বাড়াতে তাই একটি অ্যাপ ডেভেলপ করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে হামলার কারণে আমি আমার পরিবারের এক সদস্যকে হারিয়েছি৷ সে ট্যাক্সিচালক ছিল৷ তাকে হত্যা করা হয়৷ ঐ ঘটনার পর আমার মনে হয় যে, এই সমস্যার একটা সমাধান বের করা উচিত৷''
এর জন্য ট্যাক্সিচালকের প্রয়োজন শুধু একটি স্মার্টফোন৷ ‘সেগট্যাক্সি' অ্যাপটি ফোনের ক্যামেরার সাহায্যে ট্যাক্সির ভেতরের অবস্থার ছবি তোলে৷
যে সাতটি ‘ভিডিও চ্যাট অ্যাপ’ আপনার স্মার্টফোনে থাকা উচিত
স্মার্টফোনের কারণে আজকাল শুধু অডিও নির্ভর ফোনালাপ কমে যাচ্ছে৷ বরং সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে ভিডিও চ্যাট৷ এই ভিডিও চ্যাট করার জন্য আবার রয়েছে অনেক অ্যাপ৷ ‘সার্চ ইঞ্জিন জার্নালের’ বিবেচনায় সেরা সাতটি অ্যাপ পাবেন এখানে৷
ছবি: Yuri Cortez/AFP/Getty Images
উভু
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই ভিডিও চ্যাপ অ্যাপ উভু-তে লগ-ইন করা সম্ভব৷ তবে অ্যাপটির সবচেয়ে বড় মজা হচ্ছে, এটি আপনার ফেসবুক বন্ধুদের এবং আপনার স্মার্টফোনে থাকা কন্টাক্ট তালিকার মধ্যে সমন্বয় করে৷ একসঙ্গে ১২ জনের সঙ্গে চ্যাট করা যায় উভু ব্যবহার করে৷ আর অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য বাড়তি কোনো খরচও নেই৷
ছবি: Fotolia/apops
স্কাইপ
স্কাইপ পৃথিবীর অন্যতম পুরনো এবং সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত ভিডিও অ্যাপ৷ এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৯৯ মিলিয়ন৷ শুধু ভিডিও চ্যাট নয়, স্কাইপ ব্যবহার করে ভয়েস চ্যাট, তাৎক্ষণিক ক্ষুদে বার্তাও পাঠানো সম্ভব৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ট্যাঙ্গো
মূলত দু’টি কারণে ট্যাঙ্গো জনপ্রিয়৷ এটা ব্যবহার করা খুব সোজা এবং এটার জন্য কোনো আলাদা পাসওয়ার্ড দরকার হয় না৷ অর্থাৎ এটা ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র আপনার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেল ঠিকানার প্রয়োজন হয়৷ তবে ‘বিজনেস কলে’-র জন্য অ্যাপটি ব্যবহার ঠিক নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হ্যাংআউটস
যেহেতু সবাই আজকাল গুগল ব্যবহার করেন, তাই হ্যাংআউটস ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া আজ আর তেমন কোনো কষ্টের ব্যাপার নয়৷ গুগল-এর এই সেবা ব্যবহার করে একত্রে দশজন পর্যন্ত চ্যাট করতে পারেন৷ এটিতে ছবি এবং ‘ইমোজিস’ শেয়ার করারও অপশন রয়েছে৷
ছবি: DW
পিয়ার
ব্যবসায়িক চ্যাটের জন্য একটি ভিডিও অ্যাপ খুঁজছেন? নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন পিয়ার৷ প্রফেশনালদের নেটওয়ার্ক লিঙ্কডইনের সঙ্গে সহজেই যুক্ত করা যায় অ্যাপটি৷ এই মুহূর্তে অ্যাপটি আইটিউনস-এ সহজলভ্য৷
ছবি: Tencent
ভাইবার
একসঙ্গে চল্লিশজনের সঙ্গে চ্যাট করার সুযোগ দেয় ভাইবার৷ আর চ্যাট সম্পর্কিত সব কিছুই করা যায় এটা ব্যবহার করে৷ এমনকি চাইলে ফাইল শেয়ারও করতে পারেন ভাইবার-এর মাধ্যমে৷
ছবি: viber.com
ক্যামফ্রগ
অপরিচিত, নতুন কারো সঙ্গে চ্যাট করতে চাইলে ক্যামফ্রগ আদর্শ৷ বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য কিংবা পরিচিতজন ছাড়াও চ্যাট রুমে নতুনদের সঙ্গে গল্পগুজবের সুযোগ দেয় ক্যামফ্রগ৷ এটা অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোস এবং আইওস – সবকটি ‘অপারেটিং সিস্টেম’-এর মাধ্যমেই ব্যবহার করা যায়৷
ছবি: Yuri Cortez/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
ট্যাক্সিতে থাকা একটি নোটিশ যাত্রীকে ট্যাক্সিতে ক্যামেরার উপস্থিতির জানান দেয়৷ ঠিক জায়গায় বসানো ও এক্সট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের কারণে ছবিতে সব যাত্রীকে দেখা যায়৷
ফাবিও মেনডোনসা নামের এক ট্যাক্সিচালক জানান, ‘‘আমি সেগট্যাক্সি অ্যাপ ব্যবহার করি৷ আমার মনে হয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বিনিয়োগ করা দরকার৷ শুধু আমার জন্য নয়, যাত্রীদের জন্যও৷''
অধিকাংশ যাত্রীই এই পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন৷ খুব কম লোকই ক্যামেরার বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান৷
এই অ্যাপের বিশেষত্ব হলো, ছবিগুলো ক্যামেরায় নয়, সরাসরি একটি সার্ভারে সংরক্ষিত হয়৷ ফলে ফোন হারিয়ে কিংবা কেউ নিয়ে গেলেও প্রমাণ থেকেই যায়৷ এই সেবা পেতে মাসে ১২ ইউরো দিতে হয়৷
তথ্যের আকার কমাতে শুধু স্থির চিত্র পাঠানো হয়৷ বাফার ফাংশন সুবিধা থাকার কারণে সংযোগ খারাপ হলেও ছবিগুলো লোড হয়ে থাকে৷ তথ্য নিরাপত্তা আইনের কারণে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ছবি সংরক্ষিত থাকে৷
অ্যাপটির ডেভেলপার রডরিগো টেরা রিওস বলেন, ‘‘তথ্য নিরাপত্তার বিষয়ে নজর রাখা আমাদের জন্য একটা বিরাট সমস্যা৷ ছবিগুলো যেন একটি সুরক্ষিত সার্ভারে জমা হয় সেটা নিশ্চিত করতে আমরা সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি৷ ট্যাক্সিচালকরা সংরক্ষিত ছবি দেখতে পারেন না৷''
সার্ভারে যাওয়ার পর ছবিগুলো জুড়ে ভিডিও তৈরি করা হয়৷ হামলার ঘটনায় এগুলো প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷ পুলিশ কিংবা বিমা কর্তৃপক্ষ চাইলে সেগুলো তাদের দেয়া হয়৷ ভবিষ্যতে জিপিএস এর মাধ্যমে ট্যাক্সি ট্র্যাক করার ব্যবস্থা করা হবে৷
এখন পর্যন্ত শুধু ব্রাজিলেই এই অ্যাপ ব্যবহার করা যায়৷ তবে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ডেভেলপাররা এর ইংরেজি সংস্করণ বের করার কাজ করছেন৷
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ট্যাক্সি
সারা বিশ্বেই ‘ট্যাক্সি’ আজ শুধু যানবাহন নয়, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের একটা জায়গা হয়ে উঠেছে৷ ট্যাক্সিটি নতুন, পুরনো, ভাঙা বা বিলাসবহুল – যাই হোক না কেন, সেটায় বসেই যাত্রী সে দেশটিকে, দেশের মানুষকে দেখতে, ও জানতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উজ্জ্বল হলুদ রঙের ট্যাক্সি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের হলুদ রঙের এই ট্যাক্সিগুলো পরিচিত ‘ইয়েলো ক্যাব’ নামে৷ বিশ্বখ্যাত এই ট্যাক্সিগুলো মজবুত এবং আয়তনে বেশ বড় হলেও, ১৯৮০ সালের পর থেকে আর তৈরি হয়নি৷ তাছাড়া পুরনো এই ট্যাক্সিগুলো চালাতে বেশি পেট্রোল লাগলেও, আজও নিউ ইয়র্কের রাস্তায় মাঝে মাঝেই এগুলি চোখে পড়ে৷ শোনা যায়, ১৯৯৯ সালে এই হলুদ ক্যাবের দাম নিলামে ১৩৪,৫০০ অ্যামেরিকান ডলার পর্যন্ত উঠেছিল৷
ছবি: imago/Manfred Segerer
মেয়েদের জন্য গোলাপি রঙের ট্যাক্সি
মেক্সিকোয় বড় শহরগুলোর রাস্তা তেমন নিরাপদ নয়৷ তাই মেক্সিকো-সিটি এবং পুয়েব্লার পৌরসভা সেখানে ‘পিংক ক্যাব’ ট্যাক্সি চালু করেছে৷ উজ্জ্বল গোলাপি রঙের এই ট্যাক্সির চালকরা যেমন মেয়ে, তেমনি যাত্রীও শুধুই মেয়ে এবং শিশুরা৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, নারীচালিত এই ট্যাক্সিতে জিপিএস, ইমারজেন্সি বোতাম এবং কসমেটিক্স বক্স – এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সবসময় থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অতীতে ফিরে যাওয়া
কিউবার রাস্তায় এখনো পুরনো গাড়ি, মানে ‘ওল্ডটাইমার’ চলতে দেখা যায়৷ এদের মধ্যে অধিকাংশই মার্কিনি৷ ১৯৫০ এবং ৬০-এর দশকের এমন অনেক গাড়ি ইতিমধ্যেই ১০০,০০০ কিলোমিটারের ঘর পার করেছে৷ তাই আজকের এ যুগে ঐ গাড়িগুলোয় চড়া পর্যটকদের জন্য এক অকল্পনীয় অভিজ্ঞতা৷ তার ওপর এগুলো ‘শেয়ার ট্যাক্সির’ মতো কাজ করায়, পথে যাত্রী ওঠা-নামা করে৷ ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে পরিচয় হয়ে যায় সহজেই৷
ছবি: picture-alliance/Horst Galuschka
ইচ্ছে মতো যাত্রী তোলা
গণ প্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার ট্যাক্সিগুলিতে কতজন যাত্রী তোলা হবে – তার কোনো নিয়ম-কানুন নেই৷ ফলে ট্যাক্সিতে চালকের ইচ্ছেমতো যাত্রী তোলা হয়৷ তবে এ ছবি শুধু আফ্রিকায় নয়, বাংলাদেশের রাস্তাতেও নিত্যদিনের দৃশ্য৷ আসলে বেশিরভাগ সময় যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য আর কোনো বিকল্প উপায় থাকে না বলেই শেষ পর্যন্ত এরকম ভর্তি ট্যাক্সিতে ওঠেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দুবাইয়ের ‘লাইফলাইন’ জলট্যাক্সি
এখানে যতগুলো সেতু আছে, তারচেয়েও বেশি আছে জলট্যাক্সি৷ খাঁড়িগুলিতে অবশ্য শুধুমাত্র কাঠের তৈরি জাহাজগুলোরই চলাচলের অনুমোদন আছে৷ তবে ‘আব্রাস’ নামের ছোট্ট এই নৌকাটিও অন্ততপক্ষে ২০ জন মানুষকে তুলতে পারে৷ আর এই জলট্যাক্সিতে শ্রমিক, ম্যানেজার, পর্যটক – যেই উঠুন না কেন, সবার জন্যই ভাড়া মাত্র ২০ সেন্ট৷ সম্ভবত বিশ্বের আর অন্য কোথাও এত কম ভাড়ায় ট্যাক্সি চড়া যায় না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অমানবিক কাজ
জাপানে আবিষ্কৃত রিক্সা প্রথমে এশিয়ার দেশগুলিতে পরিচিতি পেলেও, ইতিমধ্যে সাইকেল রিক্সা হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এর চল রয়েছে৷ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবশ্য টানা রিক্সা শহরের প্রায় সব জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে৷ আজকের যুগে মানুষ-টানা রিক্সাকে রাজনীতিবিদ সহ অনেকেই অমানবিক বলে মনে করেন৷ তাই তাঁরা এ ধরণের রিক্সা একেবারেই তুলে দেওয়ার পক্ষে৷
ছবি: Gemeinfrei
সন্নাসীরাও ট্যাক্সিতে ওঠেন
থাইল্যান্ডে ট্যাক্সি চড়ে ঘুরে বেড়ানোটা বেশ মজার একটা ‘অ্যাডভেঞ্চার’৷ তবে ওখানকার তিন চাকাওয়ালা ‘টুক-টুক’-এ চড়তে শক্ত নার্ভ আর স্থিতিশীল পাকস্থলী থাকা প্রয়োজন তা না হলে মুসকিল৷ অন্যদিকে আরামদায়ক গাড়ির মধ্যে লিমোজিন অন্যতম৷এই গাড়িতে ওঠার আগে পর্যটকদের ভাড়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা ভালো৷ থাইল্যান্ডে সন্নাসীদের বিশেষ অবস্থানের কারণে তাঁরা এই ব্যয়বহুল লিমোজিনে উঠতে পারেন, তাও আবার বিনা পয়সায়৷
ছবি: picture-alliance/Sebastian Kahnert
বিরক্তিকর!
কম্বোডিয়ায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য সাইকেল রিক্সা, মোফাট্যাক্সি, মিনিবাসের মতো নানান যানবাহন রয়েছে৷ তবে ‘পিকআপ’ হচ্ছে সস্তা যানবাহনের একটি৷ আরাম যার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, সে এতে চড়তে পারেন৷ তবে ‘পিকআপ’-এ চড়ার আগে এটা ধরেই নিতে হবে যে, তাঁকে অন্যান্য যাত্রীদের সাথে কষ্ট করে বসতে হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
সবুজ চা পান
চীনের প্রধান শহরগুলোতে ট্যাক্সিই মূল যানবাহন৷ শুধুমাত্র পেকিংয়েই চলে প্রায় ৬৬,০০০ ট্যাক্সি৷ শুধু তাই নয়, ট্যাক্সিতে খুব কম খরচে এবং সহজে যাতায়াত করা যায়৷ তবে বেশিরভাগ ট্যাক্সি চালক ইংরেজি না জানায়, গন্তব্যস্থলটি চীনাভাষায় লিখে চালককে ধরিয়ে দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ পর্যটকদের এটাও জানা দরকার যে চীনা ট্যাক্সি চালকরা যখন-তখন সবুজ চা পান করেন৷ তাই আপনাকেও যদি সেই চা খেতে বলা হয়, তাহলে ভয়ের কিছু নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জলের ওপর বিলাসবহুল ট্যাক্সি
ইটালির ভেনিস শহরে হাতে গোনা পিচ ঢালা সমান্তরাল রাস্তা রয়েছে৷ কারণ শহরটি রাস্তার বদলে সরু সরু খালে ভর্তি৷ দেড় হাজার বছর আগে ভূমধ্যসাগরের বুকে শহরটির গোড়াপত্তন হয়৷ আর তখন থেকেই ছোট ছোট নালা বা খালের ভেতর দিয়ে চলতো কাঠের তৈরি সোনালি-কালো গন্ডোলা৷ দাঁড় বেয়ে মাঝিরা এই রোম্যান্টিক নৌকা চালান, রাতের বেলায় যাতে ৪০ মিনিট চড়তে খরচ হয় ১০০ ইউরো৷ আজকাল অবশ্য ইলেক্ট্রিক জলট্যাক্সিও পাওয়া যায় ভেনিসে৷