যুদ্ধাপরাধের বিচার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩মানবতা বিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান৷ এখন এটি আইনে পরিণত হল৷ এই আইন অনুযায়ী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনেরও বিচার হবে৷ কী প্রক্রিয়ায় এই বিচার হবে, সেই প্রশ্নের জবাব ডয়চে ভেলেকে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হায়দার আলি৷ তিনি বলেন, জামায়াতসহ যে সব সংগঠন একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে, এখন সেই সব সংগঠনের ব্যাপারে তদন্ত করবে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিম৷ তদন্ত শেষ হলে মামলা হবে৷
ট্রাইব্যুনালে অপরাধ প্রমাণ হলে সংগঠনের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেয়া হবে, তেমনি যাদের সিদ্ধান্তে মানবতা বিরোধী অপরাধ হয়েছে এবং যারা এসব অপরাধ করেছেন, তাদেরও শাস্তি হবে৷ ট্রাইব্যুনালে এখন যে সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচার চলছে এবং যারা এরই মধ্যে শাস্তি পেয়েছেন, তারাও নতুন মামলা থেকে রেহাই পাবেন না৷
তিনি আরও জানান, জামায়াতসহ অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন যদি মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়, তাহলে একাত্তরে এর সঙ্গে জড়িতরা ভিন্ন নামেও আর রাজনীতি করতে পারবেননা৷ তবে যে সব ব্যক্তি মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত নন, তারা ভিন্ন নামে রাজনীতি করতে পারবেন, জামায়াতের নামে নয়৷