1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাবাংলাদেশ

‘ট্রাইব্যুনালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিচার হচ্ছে না'

শহীদুল ইসলাম ঢাকা
৬ জুন ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। বিচারের নানা প্রক্রিয়া নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।ছবি: DW

ডয়চে ভেলে: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া কি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে?

মো. মিজানুল ইসলাম: অতীতের উদারহণ টেনে হয়তো আপনি এ প্রশ্ন করেছেন। বর্তমান সরকার আসার পরে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করতে আইন সংশোধন করা হয়েছে। আইন সংশোধন করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের আর্টিকেল নাইন অ্যাডপ্ট করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ না হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।

কোনো বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যে কেউ প্রশ্ন উত্থাপন বা সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু আমরা তদন্ত সংস্থার দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ফরমাল চার্জ তৈরি করেছি। আমরা নিশ্চিত না হয়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত ট্রাইব্যুনালে দাখিল করিনি। তথ্যগুলো গ্রহণযোগ্য, নাকি গ্রহণযোগ্য নয়, সেটা ট্রাইব্যুনাল ঠিক করবেন। তবে গ্রহণযোগ্য নয় এমন কোনো তথ্য আমরা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করিনি। আমরা নিশ্চিত হয়েছি তথ্য-প্রমাণগুলো সঠিক, যথার্থ এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তা সংগ্রহ করা হয়েছে। আমি নিশ্চিত এসব তথ্য-উপাত্তের গ্রহণযোগ্যতা, সঠিকতা সম্পর্কে ভবিষ্যতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হবে না। 

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়গুলো সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করা যাচ্ছে কি? কারণ, গণঅভ্যুত্থানের সময়ের বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। পরবর্তীতে এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠবে কি?

দুটো মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছি। বেশ কিছু মামলা তদন্তাধীন আছে। অনেকেই বলছেন, আন্দোলন চলার সময় ঘটনাগুলো একভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এখন বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রয়োজনে আমাদের পরামর্শ নেন। তারা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য-উপাত্তের সঠিকতা যাচাই করার পর আমাদের কাছে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন। এক্ষেত্রে যারা প্রশ্ন করছেন, বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কথার কথা হিসেবে বলছেন। আমরা যে সাক্ষী-প্রমাণ উপস্থাপন করবো সেটা তদন্তকারী সংস্থা প্রমাণসহ দিয়েছে। সেই প্রমাণ আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করেছি। এরপরে নিশ্চিত হয়েছি, যেটি সঠিক সেটি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের দাখিলকৃত তথ্য-উপাত্তে কোনো গরমিল নেই, অসততার কোনো চিহ্নমাত্র নেই। আমরা যে তথ্য-উপাত্ত দাখিল করেছি তা প্রমাণ করতে সক্ষম হবো।

সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য কোনো সমস্যা হলে ট্রাইব্যুনাল সেটা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে: প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম

This browser does not support the audio element.

শেখ হাসিনার শাসনামলে এই ট্রাইব্যুনালের বিচারিক মানদণ্ড নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এখন সেই একই কাঠামোয় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অন্যদের বিচার হচ্ছে। আগে যারা ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষে ছিলেন তাদের কেউ কেউ এখন প্রসিকিউশনে আছেন। ফলে, এখনকার বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও কি আগের মতো প্রশ্ন উঠতে পারে?

শুধু চিফ প্রসিকিউটর নন, আমি নিজেও জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ছিলাম। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, দেশের প্রচলিত আইন-নীতিমালা ও নৈতিকতার বিবেচনায় কনফিক্ট অব ইন্টারেস্ট তখন হবে, যখন পার্টিকুলার মামলার কোনো পক্ষের... এটিএম আহজারের মামলায় তাজুল ইসলাম এবং আমি আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলাম৷ এ কারণে আপিল বিভাগের শুনানিতে আমরা বিরত থেকেছি। কারণ, এখানে কনফিক্ট অব ইন্টারেস্ট ছিল।

অভিযুক্তদের ন্যায্যবিচার নিশ্চিত করতে আসামিপক্ষের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ও পূর্ণ প্রস্তুতির সুযোগ কতটুকু দেওয়া হয়েছে?

আসামিপক্ষের আইনজীবী নিয়োগের দুটি প্রক্রিয়া। যারা সরাসরি বিচার মোকাবিলা করছেন, তাদের জন্য এরকম এবং যারা উপস্থিত নেই তাদের আরেক ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। যারা উপস্থিত হয়েছেন, তারা প্রসিকিউটর বাদে যে কোনো আইনজীবীকে নিয়োগ করার অধিকার সংরক্ষণ করেন, যদি ওই আইনজীবী মামলা পরিচালনায় সম্মত হন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ থেকেও আইনজীবী আনতে পারবেন। যারা উপস্থিত আছেন, তারা তাদের পছন্দমতো আইনজীবী নিয়োগ করবেন, তাতে কোনো বাধা নেই। যারা পলাতক আছেন এবং যাদের সর্বোচ্চ সাজার বিধান থাকে, তাদের জন্য ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী নিয়োগ করবে।

ট্রাইব্যুনাল থেকে হাজির হওয়ার নোটিশ না দিয়ে বিচার শুরু করবে না। সেক্ষেত্রে তারা যদি হাজির না হন, তখন ট্রাইব্যুনালের বিবেচনায় যাদের উপযুক্ত, যোগ্য ও মামলা পরিচালনায় সক্ষম মনে করবেন তাদেরকে নিয়োগ করবেন। সাক্ষ্যগ্রহণের ২১ দিন আগে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আমরা যে যে ডকুমেন্ট ব্যবহার করবো, তার কপি সরবরাহ করেছি। এটি আইনের বিধান, এর ব্যত্যয় হলে বিচার শুরু হবে না। কাজেই তাদের পূর্ণ প্রস্তুতির সময় দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকে ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে?

এখন পর্যন্ত আমরা যতটুকু বলেছি, আমাদের কাছে এই মর্মে তথ্য আছে মারণাস্ত্র ব্যবহারের আদেশ সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দেওয়া হয়েছিল। এটার যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। যখন বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন সবাই দেখতে পারবে। কারণ, এখন তো প্রকাশ্যে বিচার হচ্ছে।

মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে এর আগে অনেককেই নাজেহাল হতে হয়েছে। এখন শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সাক্ষীদের সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? পরবর্তীতে তারা কোনো জটিলতায় পড়বেন কিনা...

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেওয়ার কারণে অতীতে কেউ হেনস্তার শিকার হয়েছে এটা ঠিক না। তবে বাংলাদেশের আদালতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেওয়ার জন্য কারো বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হয়েছে বা নির্যাতন করা হয়েছে সেটি নয়, বরং আমাদের কাছে তথ্য ছিল প্রসিকিউশন জোর করে সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছিল। বিচার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় সাক্ষীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি আসবে কিনা সে বিষয়ে আইন খুব পরিস্কার। এখানে সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য কোনো সমস্যা হলে ট্রাইব্যুনাল সেটা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। এক্ষেত্রে কারো জীবনের ঝুঁকি হওয়ার সম্ভবনা নেই। আইনের আরেকটি ধারায় সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

যেহেতু তিনি (শেখ হাসিনা) একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলের প্রধানেরা প্রধানমন্ত্রী বা প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে থাকেন। তার মানে এই নয়, যদি প্রশাসনিক প্রধান অপরাধ করেন বা অপরাধের নির্দেশ দেন বা কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকে, তাহলে তার বিচার হবে না। এক্ষেত্রে পরিস্কারভাবে বলতে চাই- এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য কোনো বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এই বিষয়টি চিফ প্রসিকিউটর ফরমাল চার্জ গঠনের দিন বলেছেন। তিনি বলেছেন, এটা অতীতের কোনো প্রতিহিংসা নয়, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের অপরাধ সংগটিত না হয়, তার জন্য এই বিচারটা প্রয়োজন। শুধু রাজনৈতিক নয়, কোনো প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে এই বিচার হচ্ছে না এবং হবেও না।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কীভাবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে? এই বিচার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ বা অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার পর্যবেক্ষণ থাকছে কি?

এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, দেশি প্রভাবশালী বা গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এর সমালোচনা করেছে বলে আমার জানা নেই। আইনগতভাবে তাদের এই সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে অনুমতি নিয়ে এই পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এখন পর্যন্ত কেউ পর্যবেক্ষণের আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছে বলে আমার কাছে তথ্য নেই। পর্যবেক্ষণ করুক আর না-ই করুক আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রসেডিং সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় পুরো বিশ্ব দেখেছে। অনলাইনে তা কপি রয়েছে। ফলে কেউ যদি পর্যবেক্ষণ করতে না-ও আসে, তাহলে এখানে কোনো ব্যত্যয়, আইনে লংঘন বা অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

এই বিচার আন্তর্জাতিক মহলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে যেন প্রতিপন্ন না হয়, তা কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে?

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তখনই হবে, যখন শুধুমাত্র বেছে বেছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের, তারা অপরাধ করুক আর না করুক, তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া হবে। এখানে যে ফরমাল চার্জ দাখিল করেছি, তা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা যদি অপরাধ করেন তাহলে তার বিচার হবে না, এটা তো ন্যায়বিচার না, আইন তো এ কথা বলে না। আইন বলে, যে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী যতগুলো সুযোগ-সুবিধা তার প্রাপ্য, সবগুলো তাকে দেওয়া হবে। এখানে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি এবং ঘটবে না। ফলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।

এই বিচার প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন বা সংস্কারের প্রয়োজন দেখছেন কি?

সংস্কার হয় সময়ের প্রয়োজনে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে। আমি দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি, এই আইনে এমন কোনো ধারা সংযোজন করা হয়নি, যা ন্যায়বিচারকে ব্যাহত করে। তারপরেও যদি কোনো কারণ আসে, তখন সরকার অবশ্যই এটা দেখবে। আমি শতভাগ বিশ্বাস করি এই আইনের মধ্যে এমন কোনো বিধান নেই যেখানে কোনো অভিযুক্তের অধিকারকে খর্ব করেছে। আইনে যে সুযোগ-সুবিধা অভিযুক্তকে দেওয়া হয়েছে, কোনো অভিযুক্ত চাইলে তার সবগুলোই গ্রহণ করতে পারবেন এক্ষেত্রে প্রসিকিউশন কোনো বাধা হবে না।

সরকার পরিবর্তন হলে এই বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাব পড়বে কি?

যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আমরা যতদিন প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করছি, আমি বিশ্বাস করি ততদিন কোনো প্রভাব এখানে পড়বে না। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে কোনো পরিবর্তন হবে বা হবে না, সেটি ভবিষ্যৎ বলবে। তবে আইন, বিধি, নিয়ম, নৈতিকতা যদি অনুসরণ করা হয় এবং যদি সকল পক্ষকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় এবং সেটি দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তনের সুযোগ আছে আমি মনে করি না।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ