নিজে বেশিদূর লেখা পড়া করেননি৷ কিন্তু তাতে কি? শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছেটা শতভাগ৷ কলোম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার আবর্জনা সংগ্রাহকহোসে গুতিয়েরেজ হাজারো শিশুদের হাতে বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছেন বই৷ ২১ বছর আগে আবর্জনার স্তূপ থেকে বই সংগ্রহ করা শুরু করেছিলেন তিনি৷
সেসময় রাতের বেলায় আবর্জনা ট্রাক চালাতেন তিনি৷ সেই বইগুলো তার ছোট্ট বাড়ির নীচের ঘরে জমা করতেন৷ এখন সেই ঘর কমিউনিটি গ্রন্থাগারে পরিণত হয়েছে৷ বইয়ের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি৷ রসায়ন পাঠ্য পুস্তক থেকে শুরু করে শিশুদের নানারকম বই রয়েছে সেখানে৷
গুতিয়েরেজের মতে, তাঁর মতো দরিদ্র পরিবারের শিশুদের কাছে এইসব বই পাওয়া এক ধরনের বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই না৷ শিশুরা এ সব বই পড়তে পেরে ভীষণ খুশি হয় বলে জানালেন তিনি৷ তিনি জানালেন, বোগোটায় ১৯টি গ্রন্থাগার রয়েছে৷ কিন্তু এগুলোর সদস্য হতে গেলে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়৷ প্রতিবেশী শিশুরাই মূলত তাঁর পাঠাগারের পাঠক৷
গুতিয়েরেজের গ্রন্থাগারের এই ভিডিওটি ধারণ করেছে এজে প্লাস ভিডিও৷ ভিডিওটি তাদের ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা হয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে৷ এরমধ্যেই ৬০ হাজার বারের বেশি এটি দেখা হয়েছে সেখানে৷ শেয়ার হয়েছে অন্তত ১০ হাজার বার৷
এপিবি/ডিজি
বন্ধু, কেমন লাগলো ভিডিওটি? জানিয়ে দিন নীচের ঘরে৷
টুপুর টুপুর বৃষ্টিতে বিছানায় শুয়ে হাতে একটা বই নিয়ে পড়ার অনুভূতি একেবারেই আলাদা, যা আধুনিক যুগের ‘ই-বুক’ মেটাতে পারে না৷সেই বইকে পোঁকা কাটা, ধুলো জমা, ছিড়ে বা বর্ষায় নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন জেনে নিন৷
ছবি: Fotolia/silver-johnবইয়ের যত্নের জন্য প্রথমেই দরকার ভালো একটি শেল্ফ বা বইয়ের তাক, যা সহজেই পরিষ্কার করা যায়৷ সবচেয়ে ভালো হয় যদি শেল্ফে কাঁচের দরজা থাকে৷ এমনটা হলে ধুলোবালি কম পড়ে, আবার বইগুলো বাইরে থেকে দেখাও যায়৷ কাঁচের শেল্ফ না থাকলেও, বই কিন্তু কখনোই দরজা বা জানালার গা ঘেষে রাখবেন না৷ এতে রোদ বা বৃষ্টির ছাট এসে সহজে নষ্ট করে দিতে পারে আপনার সখের বইগুলিকে৷
ছবি: DWবই পোঁকা কাটে, এতে ধুলো জমে, বই দুর্গন্ধ হয় কিংবা ছিড়ে যায়৷ ধীরে ধীরে কেনা প্রিয় বইয়ের এই অবস্থা যাতে না হয়, সেজন্য মাঝে মাঝে বইগুলোকে শেল্ফ থেকে নামিয়ে আস্তে আস্তে সেগুলো শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন৷ তারপর কিছুক্ষণ রোদে রাখার পর আবারো যত্ন করে তুলে রাখুন বইয়ের তাকে৷
ছবি: DW/M. Mamunবই জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে, দৃষ্টিকেও করে প্রসারিত৷ তাই ছোটবেলা থেকে শিশুদের যেমন বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস করা দরকার, তেমনি বইয়ের যত্নও শেখানো উচিত তাদের৷ এর জন্য বইয়ের ভেতরে নিমপাতা এবং শেল্ফের প্রত্যেকটি তাকে একটি বা দু’টো করে ন্যাপথলিন বল রেখে দিন৷ এছাড়া শুকনো ল্যাভেন্ডারের ফুল দিয়ে ছোট ছোট পুঁটলি বানিয়ে শেল্ফের কোণায় রাখতে পারেন৷ এটা বইকে পোঁকা কাটা থেকে দূরে রাখবে৷
ছবি: Colourboxগাদাগাদি করে বই না রেখে, বিষয় অনুযায়ী বইয়ে লেবেল লাগিয়ে গুছিয়ে রাখুন৷ তাছাড়া সব বই যে একদিনেই মুছতে বা পরিষ্কার করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই৷ সময় কম থাকলে একেকদিন একেক বিষয়ের বইগুলো পরিষ্কার করুন, যত্ন নিন৷ এতে বই খুঁজে পাওয়া এবং পরিষ্কার করে বই গুছিয়ে রাখা অনেক সহজ হয়ে যাবে৷ তাছাড়া বইপ্রেমী বন্ধুদের উপহার খুঁজতেও গোছানো বুক শেল্ফ সাহায্য করবে আপনাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Simaitisতুলনামূলকভাবে বেশি পুরনো বইয়ে কিন্তু পোঁকামাকড় ও দুর্গন্ধ বেশি হয়৷ এ সব এড়াতে কেউ কেউ বইয়ের ভেতর রাসায়নিক পাউডার দিয়ে রাখেন, যা একেবারেই উচিত নয়৷ কারণ বইয়ে থাকা পাউডার থেকে বই পড়ার সময় শরীরের ক্ষতি হতে পারে৷ আসলে বই নিয়মিত ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করে রাখলে বইয়ের মধ্যে রাসায়নিক ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন হয় না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Peter Endigপড়ার আগে বইয়ে মলাট লাগিয়ে নিলে বইয়ের ওপরটা অনেকদিন পর্যন্ত নতুন থাকে৷ আর যদি পড়ার সময় প্রিয় বইটির চেহারা দেখতে চান, তাহলে ট্রান্সপারেন্ট পেপারের মলাট লাগিয়ে নিন৷ তাহলেই আর কোনো অসুবিধা থাকবে না৷ তবে হ্যাঁ, পড়ার সময় বা পরিষ্কার করার সময় বই কিন্তু কখনো ভেজা বা নোংরা হাত দিয়ে ধরবেন না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Perreyবইপ্রেমীদের মনের পিপাসা মেটাতে যে বিশ্বের সব বই কিনে পড়া সম্ভব নয়, তা সকলেই জানে৷ এরপরও অনেকে বই পড়তে নিয়ে ছিড়ে ফেলে, অযত্নে রেখে নষ্ট করে৷ এটা সত্যিই বেদনাদায়ক৷ তাই কাউকে নিজের সখের বা দরকারি কোনো বই পড়তে দেওয়ার আগে এই কথাটি মনে করিয়ে দেবেন৷ আর তা হলো, আপনার দেওয়া বইটি যদি ভালো থাকে, তবে বন্ধুত্বও টিকে থাকবে৷ তাই বইয়ের যত্ন নিন, অন্যদের যত্ন নিতে উদ্বুদ্ধ করুন৷
ছবি: DW