বৃহস্পতিবার হিলারি ক্লিন্টন একটি ভাষণে বলেছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে ‘একটি ঐতিহাসিক ভ্রম'; ট্রাম্প অ্যামেরিকাকে পারমাণবিক সংঘাত ও অর্থনৈতিক সংকটের দিকে নিয়ে যাবেন বলে তাঁর আশঙ্কা৷
বিজ্ঞাপন
ক্লিন্টন অবশেষে যাবতীয় কূটনৈতিক কলা-কৌশল ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন৷ ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হবার প্রস্তুতি নেই তো বটেই, মেজাজ ও মনোভাবের দিক থেকেও তিনি অযোগ্য - বৃহস্পতিবার স্যান ডিয়েগোর বলরুমে এ কথা বলেন হিলারি৷
ট্রাম্প যে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে এসেছেন সেই বিষয়ের প্রতি কটাক্ষ করে ক্লিন্টন বলেন, ‘‘গল্ফ কোর্স কেনার একটা ভালো সুযোগ নষ্ট করলে কারো প্রাণ যায় না, কিন্তু বিশ্ব রাজনীতি ওভাবে কাজ করে না৷ লাক্সারি হোটেলের চেয়ে বিশ্ব রাজনীতির বিষয়গুলি আরো অনেক বেশি উন্নত ও জটিল৷''
ট্রাম্প যে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে টুইটারে আক্রমণ করবেন,সেটাও হিলারি ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছিলেন৷ ট্রাম্পও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই একাধিক টুইটে ক্লিন্টনকে ‘ফোনি' অর্থাৎ মেকি, ‘ক্রুকেড হিলারি', ‘লায়িং হিলারি' অর্থাৎ অসৎ ও মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেছেন৷ তবে হিলারির চিন্তার কারণ সম্ভবত অন্যত্র৷
ডেমোক্র্যাট মনোনয়নের দৌড়ে হিলারির একমাত্র অবশিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স দূর থেকে ক্লিন্টন-ট্রাম্প বিতর্কে যোগ দিয়েছেন৷ ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত ধ্যানধারণাগুলি যে ‘অবিশ্বাস্যরকমের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন' সে ব্যাপারে স্যান্ডার্স ক্লিন্টনের সঙ্গে একমত৷ অন্যদিকে ক্লিন্টন স্বয়ং যে ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ও লিবিয়ায় গাদ্দাফি-শাসনের অন্ত ঘটানোর পক্ষে ছিলেন, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন৷
স্যান্ডার্স যে এই বিতর্কে যোগ দিচ্ছেন, সেটাই লক্ষণীয়৷ তার কারণ হলো, ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাইমারির আগের সর্বশেষ জরিপে স্যান্ডার্স যে শুধু ক্লিন্টনকে ধরে ফেলেছেন,তাই নয়, মাত্র এক শতাংশে হলেও স্যান্ডার্স এগিয়ে রয়েছেন৷ স্যান ডিয়েগোতেও ক্লিন্টন তাঁর সমর্থকদের ক্যালিফর্নিয়ায় ৭ই জুনের প্রাইমারির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘ক্যালিফর্নিয়ায় ভালোভাবে শেষ করাটা আমাদের জন্য জরুরি৷'' কিন্তু ক্যালিফর্নিয়াতেই শেষ হবে তো? কেননা বার্নি স্যান্ডার্স শুধু নাছোড়বান্দাই নন, তিনি বার বার ‘মরিয়া প্রমাণ করিয়াছেন যে, তিনি মরেন নাই'৷
এসি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সম্পর্কে মজার ও উদ্ভট তথ্য
জাপান সফরে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কোলে বমি করেছিলেন জর্জ বুশ!
ছবি: Imago/Agencia EFE
বমি করেছিলেন জর্জ বুশ
১৯৯২ সালে জাপান সফরের সময় অসুস্থ ছিলেন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ৷ ফলে রাতের খাবারের সময় যখন তাঁর সামনে জাপানি বিফ স্টেক নিয়ে আসা হয়েছিল তখন তিনি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কোলে বমি করে দিয়েছিলেন৷ এই ঘটনার পর জাপানি ভাষায় ‘বুশু-সুরু’ নামে একটি বিষয় যুক্ত হয়েছে৷ এর মানে হচ্ছে ‘বুশের মতো কিছু করা’!
ছবি: AFP/Getty Images
আব্রাহাম লিংকন
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে একটি পানশালার যৌথ মালিক ছিলেন লিংকন৷ যদিও মদ্যপানের বিশেষ ভক্ত ছিলেন না তিনি৷ অবশ্য যার সঙ্গে তিনি পানশালা চালু করেছিলেন তিনি ছিলেন উলটো, অর্থাৎ একেবারে আসক্ত৷ এই ভিন্নতার কারণে ব্যবসাটি কখনও লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি৷ অবশেষে অংশীদারের মৃত্যুর পর পানশালাটি বন্ধ হয়ে যায়৷
ছবি: National Archives/Newsmakers
জেরার্ল্ড ফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মডেলিং করতেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম প্রেসিডেন্ট৷ ১৯৪২ সালে একবার ‘কসমোপলিটন’ ম্যাগাজিনের কভার মডেল হয়েছিলেন৷ অবশ্য খুব বেশিদিন এই পেশায় ছিলেন না ফোর্ড৷
ছবি: picture alliance/United Archives/WHA
জিমি কার্টার
তাঁকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ইউএফও (অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু) প্রেসিডেন্ট৷ ১৯৬৯ সালে তিনি আকাশে ইউএফও দেখার কথা জানিয়েছিলেন৷ এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার সময় তিনি ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে ইউএফও দেখা নিয়ে যত তথ্য আছে, প্রেসিডেন্ট হলে, সেগুলো তিনি সাধারণ জনগণ ও বিজ্ঞানীদের জন্য উন্মুক্ত করবেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Betancur
কেলভিন কুলিজ
সকালে বিছানায় নাস্তা করার আগে তিনি নাকি মাথায় পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে নিতেন৷ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে বিশ্বাস করতেন তিনি!
ছবি: picture-alliance/dpa
রোনাল্ড রেগান
একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি তালাকপ্রাপ্ত৷ অবশ্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগের কথা এটি৷ ১৯৪০ এর দশকে তিনি অভিনেত্রী জেন ওয়াইম্যানকে বিয়ে করেছিলেন৷ ১৯৪৮ সালে তাঁরা পৃথক হয়ে যান৷ এরপর ১৯৫২ সালে তিনি আরেক অভিনেত্রী ন্যান্সি ডেভিসকে বিয়ে করেন৷ জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি ন্যান্সির সঙ্গেই ছিলেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/Carlos Schiebeck
ক্রীতদাসের বংশধর ওবামা?
দুই বছর ধরে গবেষণা শেষে ২০১২ সালে অ্যানসেস্ট্রি ডটকম জানায়, ওবামা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান দাস জন পাঞ্চ-এর ১১তম ‘গ্রেট-গ্র্যান্ডসান’৷ ১৬ শতকের শুরুতে দাস হিসেবে অ্যামেরিকায় গিয়েছিলেন পাঞ্চ৷ এরপর মালিকের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি৷ এর শাস্তি হিসেবে তাঁকে আজীবন দাসত্ব করতে বাধ্য করা হয়৷ ফলে পাঞ্চই অ্যামেরিকার প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত আফ্রিকান ক্রীতদাস৷