1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পকে ধরা সহজ নয়

৪ মার্চ ২০১৬

রিপাবলিকান দলের চার মুখ্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কো রুবিও, টেড ক্রুজ ও জন কেইসিকের মধ্যে বিতর্ক হয়ে গেল ফক্স নিউজে৷ প্রতিপক্ষকে এক হাত নেয়ার এ সুযোগ কেউ ছাড়েননি৷ তবে ট্রাম্পকে কাত করা যায়নি৷

USA Vorwahlen Super Tuesday Donald Trump
ছবি: Reuters/S. Audette

মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে একটি মোক্ষম অস্ত্র হলো, তিনি যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রসঙ্গে একাধিকবার তাঁর মত পাল্টেছেন, সেই অভিযোগ করা – পারলে প্রমাণ সহ৷ শুক্রবার ফক্স নিউজ-এর বিতর্কে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বীরাই শুধু নয়, ফক্স নিউজ-এর সঞ্চালিকা ও সঞ্চালক, কেলি এবং ওয়ালেস, ট্রাম্পকে এই মত পাল্টানো নিয়ে চেপে ধরার চেষ্টা করেছেন৷

আফগানিস্তান, সিরীয় উদ্বাস্তু, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছিলেন কিনা – ইত্যাদি বিষয়ে ট্রাম্প যে তাঁর প্রচার অভিযানে একবার এক কথা, আরেকবার আরেক কথা বলেছেন – ফক্স মডারেটর মেগিন কেলি তিনটি ভিডিও দেখিয়ে তা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন৷ এর ট্রাম্প উত্তরে বলেন যে, সিরিয়া সম্পর্কে আরো বেশি তথ্য জানতে পেরে, তিনি তাঁর মনোভাব পাল্টেছেন৷ ‘‘আমি এ যাবৎ কোনো সফল ব্যক্তিকে দেখিনি, যার কিছুটা না কিছুটা নমনীয়তা আছে৷'' ট্রাম্প ‘ফ্লেক্সিবিলিটি' কথাটি নিয়ে খেলেছেন৷ যেমন তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে কী বলেছেন, তা ব্যক্ত করতে রাজি না হলেও, ট্রাম্প এটুকু জানিয়েছেন যে, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে তাঁর নীতি ‘‘খুব বেশি নমনীয়'' হবে না৷

রমনি বনাম ট্রাম্প

শুক্রবারের বিতর্কের আগেই ২০১২ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থী মিট রমনি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বাকবিতণ্ডা মার্কিন মিডিয়াকে খোরাক যোগায়৷ বৃহস্পতিবার রমনি ট্রাম্পকে ‘‘কনম্যান'' বা ‘জুয়াচোর' বলায়, এর কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প রমনিকে ‘‘চোক আর্টিস্ট'' আখ্যা দেন – অর্থাৎ এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি নার্ভ ফেল করার দরুণ প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল করতে পারেন না৷ সে আমলে রমনি নাকি ট্রাম্পের সমর্থনের জন্য নতজানু হতেও রাজি ছিলেন৷ এবারেও নাকি রমনি শুধুমাত্র জেব বুশের পরামর্শেই প্রার্থী হননি৷ তবে রমনির প্রার্থী না হবার মূল কারণ নাকি ট্রাম্প স্বয়ং৷ অপরদিকে রমনি যদি রিপাবলিকানদের প্রার্থী হতেন, তাহলে ক্লিন্টন তাঁকে খেয়ে ফেলতেন....ইত্যাদি৷

বিতর্কের উঁচুনীচু

শুক্রবারের ডিবেটে ফক্স নিউজের মেগিন কেলির সঙ্গে ট্রাম্পের কথাবার্তা ভদ্রতার মাত্রা অতিক্রম করেনি৷ কেলি ট্রাম্পের ব্যর্থ অনলাইন ইউনিভার্সিটির ব্যাপারে ট্রাম্পকে চেপে ধরলে, ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়: ‘‘গিভ মি এ ব্রেক'' – ‘আমাকে একটু ছাড়ান দাও৷ আদালতে দেখা যাবে, কি ঘটে৷' ৬৯ বছর বয়সি ট্রাম্পের দুই অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৪-বছর-বয়সি রুবিও এবং ৪৫-বছর-বয়সি ক্রুজ ট্রাম্পকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু বিশেষ সফল হননি: যেমন ট্রাম্প যে ফ্লোরিডার পাম বীচে তাঁর ভিলায় বিদেশি শ্রমিকদের নিযুক্ত করেছেন; অথবা তিনি তাঁর বস্ত্র উৎপাদনের ব্যবসা এখনও চীন ও মেক্সিকো থেকে সরিয়ে আনেননি কেন৷ রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে তিক্ততা এমন পর্যায়ে নেমে যায় যে, ট্রাম্প তাঁর হাতের সাইজ দেখিয়ে অপর একটি অঙ্গের সাইজ প্রমাণ করার চেষ্টা করেন! এর শুরু কিন্তু গতমাসে, যখন রুবিও বলেছিলেন যে, ট্রাম্পের হাতগুলো খুবই ছোট....৷

তবুও রুবিও, ক্রুজ এবং কেইসিক, তিনজনেই বলেছেন যে, ট্রাম্প রিপাবলিকান নমিনি হলে তাঁরা ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন৷ ট্রাম্পও সেই ভব্যতা প্রত্যাবর্তন করেছেন – যার অর্থ, রিপাবলিকান দলের ওপরমহলের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জোট সৃষ্টির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনো নতুন বা আনকোরা প্রার্থীকে মাঠে নামানোর স্বপ্নের এখানেই ইতি৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ