1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল

২ ডিসেম্বর ২০২০

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷ আইনি লড়াইয়ে ট্রাম্প টিমের লাগাতার ব্যর্থতা সত্ত্বেও রিপাবলিকান সমর্থকদের সংশয় বাড়ছে৷

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার ছবি: picture-alliance/AP Photo/C. Riedel

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের লাগাতার অভিযোগ সত্ত্বেও ডনাল্ড ট্রাম্প সুবিধা করে উঠতে পারছেন না৷ এই দাবির সপক্ষে তথ্যপ্রমাণের অভাবে একের পর এক আদালত ও রাজ্য নির্বাচন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ খারিজ করে দিচ্ছে৷ যেখানে পুনর্গণনা হচ্ছে সেখানেও তাঁর পরাজয়ের ব্যবধান উলটে বেড়ে যাচ্ছে৷ রিপাব্লিকান দলের নেতৃত্ব গোটা বিষয়টিকে ঘিরে নিরবতা পালন করলেও নেতাদের অস্বস্তি দিনে দিনে বাড়ছে৷


এবার খোদ ট্রাম্প নিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার জানালেন, যে আইন মন্ত্রণালয় গত মাসের নির্বাচনে কোনো রকম কারচুপির প্রমাণ পায় নি৷ সংবাদ সংস্থা এপি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বার বলেন, এখন পর্যন্ত ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে এমন কোনো বড় আকারের কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যার ফলে নির্বাচনের ফলাফলে পরিবর্তন ঘটতে পারে৷ উল্লেখ্য,ট্রাম্প প্রচার অভিযান অভিযোগ করে আসছে, যে আইন মন্ত্রণালয় নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ যথেষ্ট গভীরভাবে তদন্ত করছে না৷

উইলিয়াম বারের দপ্তর ট্রাম্পের অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ না পেলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগের তদন্ত করছে৷ মোটা অঙ্কের রাজনৈতিক চাঁদার বদলে কিছু দাগী অপরাধী প্রেসিডেন্টের ক্ষমা কিনতে পারছে বলে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ট্রাম্প গত সপ্তাহে প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল পার্ডন’ বা প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ক্ষমা করেছেন৷ ভবিষ্যতে আইনি অভিযোগ এড়াতে তিনি নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্যও ‘আগাম ক্ষমা’ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷

এদিকে ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার উইসকনসিন রাজ্যের শীর্ষ আদালতে দুই লাখ একুশ হাজার ‘অ্যাবসেন্টি ব্যালট’ বাতিল করার আবেদন জানিয়েছে৷ বাইডেন সেই রাজ্যে প্রায় ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লাগাতার অভিযোগের ফলে সাফল্য না এলেও ট্রাম্প শিবিরের রাজনৈতিক ফায়দা হচ্ছে৷ বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী রিপাবলিকান দলের সমর্থকদের একটা বড় অংশ মনে করছে, যে নির্বাচন ন্যায্যভাবে পরিচালনা করা হয়নি৷


২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে বাস্তবে কোনো ফল পাওয়া যাবে না, এমনটা ধরে নিয়ে ট্রাম্প নানা বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের পরাজয় কার্যত মেনে নিচ্ছেন৷ হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে তিনি বিগত চার বছরের ‘অসাধারণ’ অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আমরা আরও চার বছরের জন্য চেষ্টা করছি৷ সেটা সম্ভব না হলে চার বছর পর আবার দেখা হবে৷’’ অর্থাৎ আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলে ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার প্রার্থী হিসেবে আসরে নামার ইঙ্গিত দিলেন৷ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনে জিতলেও ওদের সেটা পছন্দ হয় নি৷ আমি চিরকাল এই নির্বাচনকে ভুয়া বলে যাব৷’’


এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ