জার্মান রাজনীতির এমন কিছু গুণগত বৈশিষ্ট্য আছে, যাদের কল্যাণে এ দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো কোনো রাজনীতিকের উদয় ও উত্থান সম্ভব নয়, বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের জেফারসন চেজ, যিনি নিজে একজন প্রবাসী মার্কিন নাগরিক৷
বিজ্ঞাপন
চেজ লিখছেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর জার্মান বন্ধুবান্ধবদের কাছে আমার মতামতের কদর বেড়ে গিয়েছিল, কেননা আমি জার্মানি প্রবাসী মার্কিন নাগরিক৷ ট্রাম্পের মতো কেউ যে ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে পারেন, জার্মানদের কাছে তা একটা দুঃস্বপ্নের মতো৷ কাজেই আমাকে যে দু'টো প্রশ্ন বারংবার শুনতে হয়েছে, সে দু'টি হলো – ‘‘অ্যামেরিকায় এটা ঘটল কিভাবে?'' আর ‘‘এটা কি এখানেও ঘটতে পারে?''
বাকি ইউরোপের মতো জার্মানিতেও পপুলিস্ট বা লোকানুবর্তী দক্ষিণপন্থি রাজনীতি ক্রমেই আরো বিস্তার লাভ করছে, এএফডি রাজনৈতিক দল ও পেগিডা আন্দোলন যার প্রমাণ৷ জার্মান জনগণের কিছু কিছু অংশ নিঃসন্দেহে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সন্তুষ্ট নয়৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও এখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো কারোর সাফল্যের সম্ভাবনা কম, বলে আমি মনে করি৷ তার একটি কারণ হলো, জার্মান রাজনৈতিক দলগুলি উচ্চ আসনের জন্য যেভাবে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন করে থাকে৷
ডনাল্ড ট্রাম্প: ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট
রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় বইয়ের লেখক এবং রিয়েলিটি টিভি স্টার হিসেবে পরিচিত ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট৷ হোয়াইট হাউজে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিবার, সাম্রাজ্য
তিনি যাদের ভালোবাসেন তাদের নিয়ে তোলা ছবি৷ এখানে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভানকা এবং টিফানি, ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র এবং নাতি কাই ও ডোনাল্ড জন থ্রি৷ তাঁর তিন বড় সন্তান ট্রাম্প অরর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিলিয়নিয়ার থেকে বিলিয়নিয়ার
১৯৮৪ সালে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিউ জার্সির ট্রাম্প প্লাজায় হারাহ’স ক্যাসিনো উদ্বোধন করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এটা অন্যতম এক খাত যেখানে বিনিয়োগ করে বাপের টাকায় মিলিয়নিয়ার হওয়া ট্রাম্প নিজেকে বিলিয়নিয়ারে পরিণত করেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M. Lederhandler
বাপের টাকায় ব্যবসা শুরু
রিয়েল স্টেট সাম্রাজ্যের শুরুটা ট্রাম্প করেছিলেন তাঁর বাবা ফ্রিডরিকের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে৷ তিনি তাঁর ছেলেকে শুরুতে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন৷ এবং তাঁর মৃত্যুর পর ট্রাম্প এবং তাঁর তিন ভাইবোন উত্তরাধিকার সূত্রে চার’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক হন৷
ছবি: imago/ZUMA Press
একটি নামের মধ্যে কী আছে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এবং মার্কেটের উত্থান পতনের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন৷ নিউ ইয়র্ক সিটির ট্রাম্প টাওয়ার তাঁকে দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য এনে দিয়েছে৷ ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ তবে কখনো তিনি তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনো আর্থিক কাগজপত্র প্রকাশ করেননি৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাঁর সম্পদের পরিমাণ তিনি যা বলেন তাঁর এক-তৃতীয়াংশ মাত্র৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
‘খুব ভালো, খুব স্মার্ট’
ট্রাম্প নিজের সম্পর্কে নিজেই বলেন একথা৷ তিনি সুপরিচিত সুপরিচিত ‘ওয়ার্টন স্কুল অফ দ্য ইউনিভার্সিটি অফ পেনসেলভেনিয়ায়’ লেখাপড়া করেছেন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B.J. Harpaz
ক্যাপ্টেন ট্রাম্প
কলেজে পাঠানোর আগে ১৩ বছর বয়সে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে পাঠানো হয়েছিল ট্রাম্পকে৷ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের আগেই একাডেমি থেকে একটি অফিসার’স ব়্যাংক অর্জন করেন তিনি৷ নির্বাচনি প্রচারাভিযানকালে তিনি জানান যে, তিনি স্কুলে কাঠামো এবং সামরিক সংস্কৃতি উপভোগ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/
ভিয়েতনাম যাওয়ার বদলে গোড়ালির চিকিৎসা
মিলিটারি শিক্ষা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম যুদ্ধে যাননি ট্রাম্প৷ পড়াশোনা করার সময় তিনি চারবার কালহরণ করেছিলেন এবং গোড়ালির চিকিৎসার জন্য একবার বিরতি নিয়েছিলেন৷ ট্রাম্প হবেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগ অবধি কোনো সরকারি কার্যালয় বা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেননি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
প্রথম স্ত্রী: ইভানা জেলনিউকোভা
১৯৭৭ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার ইভানা জেলনিউকোভাকে বিয়ে করেন ট্রাম্প৷ তাঁদের তিন সন্তান হয়৷ ডোনাল্ড জন জুনিয়র, ইভানকা মারি এবং এরিক ফ্রেডরিক৷ তবে বিবাহবহিভূর্ত সম্পর্কসহ নানা জটিলতায় ১৯৯০ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ ইভানা হচ্ছেন সেই নারী, যিনি ট্রাম্পের ডাক নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য ডোনাল্ড৷’
ছবি: Getty Images/AFP/Swerzey
দ্বিতীয় পরিবার
ট্রাম্প পরবর্তীতে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলসকে বিয়ে করেন৷ ১৯৯৩ সালে তাঁদের মেয়ে টিফানির জন্ম দেন ম্যাপেলস৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/J. Minchillo
অন্য নারীদের সঙ্গে ট্রাম্প
ট্রাম্প সম্ভবত নিজের স্ত্রীর বদলে অন্য নারীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ভালোবাসেন৷ তিনি প্রায়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যেতেন এবং তরুণী মডেলদের সঙ্গে ছবি তুলতেন৷ ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ অবধি আয়োজিত সব ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার একজন অংশীদার ছিলেন তিনি৷ নির্বাচনের আগে আগে এক অডিও প্রকাশ হয় যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর খ্যাতি তাঁকে কোনোরকম পরিণতির ভয় ছাড়াই মেয়েদের ‘গায়ে হাত দেয়ার’ সুযোগ করে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Lemm
বাণিজ্য এবং বিনোদনের মিশ্রণ
ট্রাম্প জানতেন কীভাবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়৷ এই ছবিতে তাঁকে ‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের’ একটি শোতে দেখা যাচ্ছে৷ রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য এপ্রেন্টিস’, যেখানে প্রার্থীদের নিয়োগ অথবা বাতিল করা হতো, ট্রাম্পকে খ্যাতি অর্জনে সহায়তা করেছে৷ শোতে ট্রাম্পের প্রিয় লাইন ছিলে, ‘ইউ আর ফায়ার্ড!’
ছবি: Getty Images/B. Pugliano
রাজনীতিতে ট্রাম্প
যদিও অতীতে রাজনীতির সঙ্গে তাঁর খুব কম যোগাযোগ ছিল, তারপরও ২০১৫ সালে সালের ১৬ জুলাই তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন৷ রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন৷’ নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় তিনি অভিবাসী, মুসলমান, নারী এবং তাঁর বিরুদ্ধে থাকা প্রত্যেককে অপমান করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lane
ওয়াশিংটনের পথে
প্রেসিডেন্ট হিসেবেও হোয়াইট হাউসে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ট্রাম্প৷ ৷ সবশেষ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করল সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষ। অ্যামেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা হয়েছে।
ছবি: Getty Images/AFP/M. Ngan
13 ছবি1 | 13
যুক্তরাষ্ট্রে যে কেউ ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান হিসেবে নিজের নাম লিখিয়ে রাজ্য পর্যায়ের প্রাইমারিগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন৷ জার্মানিতে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের কনভেনশনে প্রার্থী মনোনয়ন করে বটে, কিন্তু দলীয় সম্মেলনে শুধুমাত্র অ-নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন৷ দলের নেতৃস্থানীয় সদস্যরাই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলির জন্য প্রার্থী নির্বাচনে ভূমিকা নিতে পারেন৷ কাজেই জার্মানিতে প্রার্থীরা তাদের দলের মূল ধারার সঙ্গে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত৷ ওদিকে ট্রাম্প রাজনীতির সঙ্গে আদৌ যুক্ত না হয়ে, এমনকি রিপাবলিকান দলেও ‘আউটসাইডার' হয়ে থেকে স্রেফ ঘোষণা করেন যে, তিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাবার চেষ্টা করবেন – জার্মানিতে যে কথা ভাবাই যায় না৷
একটি পন্থা অবশ্য থেকে যাচ্ছে: ধরে নেওয়া যাক ‘জার্মান ডোনাল্ড' একজন নাম-করা সেলিব্রিটি; সেক্ষেত্রে তিনি একটি নতুন দল গঠন করতে পারেন কিংবা কোনো সাম্প্রতিককালে সৃষ্ট দলের চাঁই হয়ে উঠতে পারেন – যেমন এএফডি দলের৷ অ্যাডল্ফ হিটলার ঠিক এভাবেই ন্যাশনাল সোশ্যালিস্টদের নেতা হয়ে তাঁর রাজনৈতিক উত্থান শুরু করেন, যা থেকে তিনি ১৯৩৩ সালে জার্মান চ্যান্সেলরের পদে উন্নীত হন৷
কিন্তু আমাদের ‘জার্মান ডোনাল্ড' কোনো প্রথা ও ঐতিহ্যবর্জিত ভুঁইফোড় দলের হয়ে একদিন জার্মান চ্যান্সেলরের পদ অলঙ্কৃত করতে পারবেন, এটা ভাবা বৃথা৷ জার্মান নির্বাচন হয় ‘প্রোপোর্শনালিটি' বা ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে৷ এখানে কোনো ভোটই মাঠে মারা যায় না৷ এছাড়া জার্মানিতে বহুদলীয় নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শুধু দু'টি দল নয়৷ এদেশের নির্বাচন পদ্ধতিতে কোনো দলের পক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়াটা খুবই বিরল; ফেডারাল জার্মান প্রজাতন্ত্রের ৬৭ বছরের ইতিহাসে ১৯৫৭ থেকে ১৯৬১, শুধুমাত্র এই একটি কর্মকালে সিডিইউ-সিএসইউ দল একা শাসন চালাতে পেরেছে৷
‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব' প্রণালীর সঙ্গে মার্কিন প্রথার মূল তফাৎ হলো এই যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন প্রার্থী সাকুল্যে বেশি ভোট পেলেও, নির্বাচনে পরাজিত হতে পারেন৷ এবারেও হিলারি ক্লিন্টন বস্তুত ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন: ক্লিন্টন পেয়েছেন ৪৭.৭ শতাংশ ভোট, যেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৫.৫ শতাংশ ভোট৷ ট্রাম্প যা জিতেছেন, তা হলো ইলেক্টোরাল কলেজ৷ এই ইলেক্টর-ভিত্তিক নির্বাচন প্রণালীর সুবিধা হলো এই যে, এর ফলে ছোট ছোট এলাকাগুলির মানুষজনের মতামতও গুরুত্ব পায়, শুধু নিউ ইয়র্ক কিংবা ক্যালিফর্নিয়ার মতো বড় শহরগুলি নয়৷ তা সত্ত্বেও বিগত কয়েক দিনে আমি আমার বন্ধু-বান্ধবদের বলতে বাধ্য হয়েছি যে, জার্মানরা যেভাবে তাদের সর্বোচ্চ নেতাদের নির্বাচন করেন, সে পদ্ধতি সুপারিশ করা চলে৷
জেফারসন চেজ/এসি
ট্রাম্পের জয়ে তারকারা যা বললেন
ভোটগ্রহণের আগে ট্রাম্পের চেয়ে হিলারির প্রতি তারকাদের বেশি সমর্থন দেখা গেছে৷ ফলে নির্বাচনের ফলে তারকারা কিছুটা হতাশ৷
ছবি: Getty Images
কেটি পেরি
হিলারির সমর্থক এই পপস্টার বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন৷ প্রথম টুইট যখন করেন তখন ট্রাম্পের বিজয় প্রায় নিশ্চিত৷ তখন তিনি লিখেছিলেন, ‘বিপ্লব আসছে’৷ এর পরের টুইটে তিনি সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান৷ আরেক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘স্থির হয়ে বসে থাকবেন না৷ কাঁদবেন না৷ কিছু একটা করুন৷ আমরা এমন জাতি নই যারা ঘৃণাকে তাদের উপর কর্তৃত্ব করতে দেয়৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/Kyodo/MAXPPP
ডেভিড ম্যান্ডেল
রাজনীতি নিয়ে স্যাটায়ারধর্মী টিভি সিরিজি ‘ভিপ’-এর প্রোডিউসার ডেভিড ম্যান্ডেল (মাঝে) টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমার ধারণা ট্রাম্প আগামী ৫০ বছর ধরে এই দেশের সর্বনাশ করে যাবেন৷’’
ছবি: Getty Images/M. Blake
শের
মার্কিন এই সংগীত তারকা ও অভিনেত্রী মনে করছেন ট্রাম্পের জয়ের পর বিশ্ব আর কখনই আজকের মতো হবে না৷ তরুণদের জন্য তাঁর দুঃখ হচ্ছে বলেও টুইটারে তিনি লিখেছেন৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
আরিয়ানা গ্র্যান্ডে
২৩ বছর বয়সি এই মার্কিন সংগীত তারকা গ্র্যান্ডে টুইট করেছেন, তিনি কাঁদছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Buck
ম্যাডোনা
তাঁকে অবশ্য একটু আশাবাদী মনে হচ্ছে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা কখনও আশা ছাড়ি না৷’’
ছবি: Getty Images/Robyn Beck
আব্দেলকরিম
প্রচারণার সময় ট্রাম্প অভিবাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন৷ তাই তাঁর জয়ে ডানপন্থিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন৷ তবে জার্মান-মরোক্কান কমেডিয়ান আব্দেলকরিম বলছেন, ‘‘ডানপন্থি পপুলিস্টরা এত আনন্দিত কেন? ট্রাম্পের পরিবারও তো অভিবাসী ছিল৷’’
ছবি: DW/S. Kinkartz
স্টেফেন বাল্ডউইন
মার্কিন অভিনেতা, প্রোডিউসার ও লেখক স্টেফেন বাল্ডউইন ট্রাম্প সমর্থক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘শিগগিরই আসল কাজ শুরু হবে৷ অ্যামেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করার কাজ শুরু করতে হবে৷ এমন এক ইতিহাসের অংশ হতে পেরে গর্বিত লাগছে৷’’
ছবি: AP
স্টিভেন সিগাল
মার্কিন অভিনেতা, ফিল্ম প্রোডিউসার. স্ক্রিনরাইটার, পরিচালক সিগালও ট্রাম্প সমর্থক৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্প অপূর্ব জয়ের জন্য আপনাকে অভিনন্দন৷ যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও সেরা বানানোর কাজ শুরুর দিকে তাকিয়ে আছি৷’’