1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের টুইট বিরক্তিকর, এনআরএ-র ভিডিও ভয়াবহ

৪ জুলাই ২০১৭

সিএনএনকে আক্রমণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা সাম্প্রতিক টুইটের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় গান লবি গ্রুপ এনআরএ-র প্রকাশ করা ভিডিওটি বেশি অস্বস্তিকর, বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের মিশায়েল ক্নিগে৷

USA America seen from abroad
ছবি: Getty Images/AFP/S. Olson

রেসলিং রিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা স্যুট পরা এক ব্যক্তিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প মাটিতে ফেলে দিয়ে মারছেন, এমন দৃশ্য দেখা গেছে একটি টুইটে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং তাঁর ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এটি টুইট করেছেন৷ ট্রাম্প যাঁকে মারছেন তাঁর মাথায় সিএনএন-এর লোগো লাগানো ছিল৷ এই ভিডিওর মাধ্যমে যে বার্তা দেয়া হয়েছে তা অমার্জিত৷

এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেন আক্ষরিক অর্থেই সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস কিংবা ওয়াশিংটন টাইমসের মতো প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের বিরোধিতা করলেন৷ এসব গণমাধ্যমকে ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা প্রায়ই ‘ভুয়া গণমাধ্যম' বলে আখ্যায়িত করে থাকেন৷

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার শুরু থেকেই ট্রাম্প যেসব গণমাধ্যমকে তাঁর নিজের পক্ষের নয় বলে মনে করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে চড়াও হয়েছিলেন৷

প্রেসিডেন্টের জন্য বেমানান

ট্রাম্প যে ভিডিওটি টুইট করেছেন তা শুধু বিরক্তিকরই নয়, অশোভনও বটে৷ অবশ্য ট্রাম্পের টুইট যেভাবে বিশ্ব গণমাধ্যমে খবর তৈরি করে তা বিবেচনায় ধরলে সাম্প্রতিক টুইটটিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ ট্রাম্পের নতুন আরেকটি টুইট আসার পর হয়ত ভিডিও সংশ্লিষ্ট টুইটটি নিয়ে আলোচনা মিইয়ে যাবে৷

স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, নিজের অপছন্দের মিডিয়া, রাজনীতিবিদ বা বিরোধী কাউকে হয়রানি বা আক্রমণ করতে ট্রাম্পের টুইটার ব্যবহার নিন্দনীয় একটি কাজ৷

আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়া

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ট্রাম্পের টুইটার ব্যবহার একটি কৌশলও হতে পারে৷ এর মাধ্যমে তিনি হয়ত নাগরিক ও গণমাধ্যমগুলো যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করত, তা থেকে তাদের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দি  চান৷ যেমন, এরকম একটি ভিডিও টুইট করার কারণে স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার নিয়ে রিপাবলিকানদের চেষ্টায় যে স্থবিরতা নেমে এসেছে, তার চেয়ে টুইট নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে৷ অথচ স্বাস্থ্যসেবা আলোচনার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মার্কিন নাগরিকের ভালমন্দ জড়িত৷

মিশায়েল ক্নিগে, ডয়চে ভেলে

ট্রাম্পের টুইটের চেয়েও বেশি অস্বস্তির হচ্ছে আরেকটি সাম্প্রতিক ভিডিও৷ ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক সংগঠন ‘ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন' বা এনআরএ ভিডিওটি তৈরি করেছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমর্থক ও ট্রাম্প বিরোধীদের কারণে নাকি দেশের অবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে, বলে জানাচ্ছেন এক নারী৷ ‘‘এসব বন্ধ করার, আমাদের দেশকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে সত্য দিয়ে এসব মিথ্যা ঢাকা'', ভিডিওতে ঐ নারীকে বলতে শোনা গেছে৷

জুন মাসে ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করার পর ভাইরাল হয়েছে৷ সমালোচকরা বলছেন, এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে সহিংসতা উসকে দেয়া হচ্ছে৷

ট্রাম্পের টুইটের চেয়ে ইতিমধ্যেই দারুণভাবে বিভক্ত একটি দেশে এনআরএ-র উসকে দেয়া ভিডিও প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে৷

মিশায়েল ক্নিগে/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ