আগামী ১২ জুন প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার নেতার মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা৷ তবে ‘উদ্বিগ্ন হলে' বৈঠকে অংশ নেয়ার বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখা হতে পারে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার থেকে কোরীয় উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যৌথ সামরিক অনুশীলন শুরু হয়েছে৷ আগামী দু'সপ্তাহ সেটা চলার কথা৷ অনুশীলন শুরুর পরদিন মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের আলোচনা স্থগিত করে দেয়৷ আর আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের হুমকি দিয়েছে তারা৷ উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম কিয়ে গোয়ান দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-কে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদি আগে থেকে বোঝা যায় যে, দুই নেতার মধ্যে পরমাণুনিরস্ত্রীকরণ নিয়ে হতে যাওয়া বৈঠকটি ‘একপাক্ষিক' হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাহলে বৈঠকে যোগদানের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখা হবে৷ ‘‘আমরা ইতিমধ্যে কোরীয় উপত্যকায় নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে আমাদের আগ্রহ দেখিয়েছি এবং বারবার বলেছি যে, পূর্বশর্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে তার বৈরি ডিপিআরকে নীতি ও পরমাণু হুমকি দেয়া বন্ধ করতে হবে,'' বলেন তিনি৷
কিম জং-উন স্টাইল
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন৷ বিশ্বের অন্যতম বিচ্ছিন্ন এই দেশের ছবি খুব বেশি দেখা যায় না৷ তবে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি, কেসিএনএ প্রায়ই উন-এর ছবি প্রকাশ করে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/KCNA
ছোট্ট উন?
উত্তর কোরিয়ার সরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি ভিডিও থেকে নেয়া এই ছবিতে ছোট্ট কিম জং-উনকে দেখা যাচ্ছে৷ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পাওয়া এই ছবিটি রয়টার্সের৷ তবে ছবিতে আসলেই উনকে দেখা যাচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি সংবাদ সংস্থাটি৷ যেমনটা নিশ্চিত নয় উনের জন্মসালও৷ তবে ১৯৮৩ বা ১৯৮৪ সালে যে তাঁর জন্ম সেটি অবশ্য নিশ্চিত!
ছবি: Reuters
২০১১ সাল থেকে ক্ষমতায়
সে বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাবা কিম জং-ইল মারা যাওয়ার কয়েকদিন পরই উত্তর কোরিয়ার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন উন৷ ছবিতে সামরিক বাহিনীর এক মহড়ায় তাঁকে দেখা যাচ্ছে৷ সম্প্রতি ছবিটি প্রকাশ করে কেসিএনএ৷
ছবি: Reuters/KCNA
পুরুষালি নন!
এই ‘অভিযোগ’-এর কারণেই উনের তিন বছরের বড় ভাই কিম জং-চল উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় যেতে পারেননি বলে মনে করা হয়৷ তো ছবি দেখে আপনিই বলুন উনকে কেমন লাগছে৷ নতুন নির্মিত একটি নার্সারি ও এতিমখানা দেখতে গিয়ে ক্যামেরায় এভাবেই ধরা পড়েন তিনি৷ শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদপত্র ‘রোডোং সিনমুন’ ২০১৫ সালের ২ জুন ছবিটি প্রকাশ করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/KCNA
স্কুলের পড়াশোনা সুইজারল্যান্ডে
বড় ভাই কিম জং-চলের মতো কিম জং-উনও স্কুল পর্যায়ের পড়াশোনা করেছেন সুইজারল্যান্ডে৷ এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকান দেশে গিয়ে৷ সেখানকার একটি সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়েছেন বলে জানা যায়৷ ছবিতে উনকে একটি মেডিক্যাল অক্সিজেন ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/KCNA
উনের স্ত্রী
শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টি প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি ‘অল-ফিমেল’ ব্যান্ডের পারফর্মেন্স উপভোগ করছেন উন৷ তাঁর ডানপাশে বসে আছেন স্ত্রী রি সল-জু৷ তিনি একজন সংগীত শিল্পী ছিলেন বলে ধারণা করা হয়, এবং একটি অনুষ্ঠানে তাঁর পারফর্মেন্স দেখেই উন মুগ্ধ হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়৷
ছবি: picture alliance/Yonhap
কেমন লাগছে?
কোরীয় উপত্যাকার সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট পেকদুতে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন উন৷ ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ছবিটি প্রকাশ করে কেসিএনএ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/KCNA
‘ফিল্ড গাইডেন্স’
কেসিএনএ-র প্রকাশ করা ছবিগুলোর ক্যাপশনে প্রায়ই এই শব্দ দু’টি থাকে৷ বিশ্লেষকরা বলেন, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে উনের প্রতি আনুগত্য দেখানোর এটি একটি উপায়৷ ফলে তিনি যেখানেই যান না কেন – হোক সেটি আপেল খেত পরিদর্শন (ছবিতে যেমনটা দেখছেন) কিংবা অন্যকিছু (পরের ছবিটি দেখুন), উন পরামর্শ দিতেই সেখানে গিয়েছেন বলে প্রচার করা হয়৷
ছবি: Reuters/KCNA
আমদানি কমাতে পরামর্শ
শিশুদের জন্য খাবার তৈরি করে এমন একটি কারখানায় গিয়ে উন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি কমাতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন৷ ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর ছবিটি প্রকাশ করে কেসিএনএ৷
ছবি: Imago/Xinhua/KCNA
8 ছবি1 | 8
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনসহ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার সাম্প্রতিক বক্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম কিয়ে গোয়ান৷ মার্কিন ঐ কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়াকে পরমাণুনিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ‘লিবিয়া মডেল' অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন৷ উল্লেখ্য একবিংশ শতকের শুরুতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে নিজেদের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করেছিল৷
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র যে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ছাড়াও বায়োলজিক্যাল ও কেমিক্যাল অস্ত্র পরিত্যাগের কথা বলেছে, তারও সমালোচনা করেন কিম কিয়ে গোয়ান৷
যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য
যৌথ অনুশীলন নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় অসন্তোষ সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যৌথ অনুশীলনের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বোঝেন বলে আগে জানিয়েছিলেন৷ সেই অবস্থানে পরিবর্তন আসার মতো কোনো বার্তা পিয়ংইয়ং কিংবা সৌলের পক্ষে থেকে যুক্তরাষ্ট্র পায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নাওয়ার্ট৷ ‘‘আমার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কিম জং উনের বৈঠকের পরিকল্পনা করে যাব,'' বলেন তিনি৷
যে দেশে জিন্স ‘হারাম’, গাঁজা ‘হালাল’
দেশটি এতটাই যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী যে সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবেই ‘জিন্স’-এর পোশাক পরা নিষিদ্ধ৷ অথচ অন্যদিকে যে যত খুশি ‘গাঁজা’ সেবন করতে পারবেন! এমন দেশ উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে জানুন মজার কিছু তথ্য৷
ছবি: Getty Images/C. Chu
ইচ্ছে মতো চুল কাটা মানা
হ্যাঁ, উত্তর কোরিয়ায় যার যেমন খুশি চুল কাটবেন সে উপায় নেই৷ স্বৈরশাসক কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর পরই ঠিক করে দিয়েছেন, দেশের সব পুরুষকে বিশেষ ১০টি আর মেয়েদের ১৮টি হেয়ার স্টাইলের মধ্যেই যে কোনো একটি বেছে নিতে হবে৷ আর কিম জং উন যেভাবে চুল কাটান সেভাবে দেশের আর কেউ কাটাতে পারবেন না৷
ছবি: picture alliance/AP Images
যে দেশে ‘স্বর্গ’ আছে...
উত্তর কোরিয়ার সব মানুষ মন থেকে নিজের দেশকে ‘স্বর্গ’ না বললেও, যাঁরা গাঁজা সেবন করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বলেন৷ এ দেশে যে যত খুশি গাঁজা খেতে পারেন৷ গাঁজা সেখানে কোনো নিষিদ্ধ মাদক নয়৷ সুতরাং যে যত খুশি গাঁজা খেলে কোনো সমস্যাই নেই৷
ছবি: picture alliance/Photopqr/l'Alsace
সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামটি কিন্তু উত্তর কোরিয়ায়৷ নাম রুনগ্রাদো মে ডে স্টেডিয়াম৷ ১৯৮৯ সালের পহেলা মে স্টেডিয়ামটির কাজ শেষ হয়েছিল বলে নামের সঙ্গেও জুড়ে দেয়া হয়েছে ‘মে দিবস’৷ ১ লক্ষ ৫০ হাজার দর্শকের আসন আছে স্টেডিয়ামটিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জন্মদিনেও বাধা...
উত্তর কোরিয়ায় বছরের বিশেষ দু’টি দিনে কেউ জন্ম নিলে সেই দিনে জন্মদিন উদযাপন করা যাবে না৷ উত্তর কোরিয়া সাবেক দুই শাসক কিম ই সুং এবং কিম জং ইল মৃত্যুবরণ করেছিলেন বলে সেই দিনগুলোতে দেশের কোনো সাধারণ মানুষের জন্মদিন উদযাপন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ৷ এ নিয়ম মানতে গিয়ে প্রায় ১ লাখ মানুষকে ৮ জুলাই বা ১৭ ডিসেম্বরের জন্মদিন উদযাপন করতে হয় একদিন পর, অর্থাৎ ৯ জুলাই এবং ১৮ ডিসেম্বরে৷
ছবি: Fotolia/Jenny Sturm
যুক্তরাষ্ট্র ‘শত্রু’, তাই...
এক সময় উত্তর কোরিয়ায় সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা ছিল, কিন্তু এখন যে ধরনের শাসন চলছে তাকে সমাজতান্ত্রিক বলার উপায় নেই৷ দেশের নাম ‘ডেমোক্র্যাটিক পিপল’স রিপাবলিক অফ কোরিয়া’, অথচ ঘোষিতভাবেই চলছে একদলীয় শাসন৷ তবে সমাজতন্ত্র না থাকলেও উত্তর কোরিয়ার সেই ‘শীতল যুদ্ধের’ সময়কার যুক্তরাষ্ট্রবিরোধিতা ঠিকই আছে৷ যুক্তরাষ্টের মানুষ বেশি জিন্স পরে বলে এ দেশে জিন্স পরা নিষিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/chromorange
5 ছবি1 | 5
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পরিকল্পনা অনুযায়ী যৌথ অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন৷ আর দুই কোরিয়ার মধ্যে বৈঠক স্থগিত করার উত্তর কোরিয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সিদ্ধান্ত গতমাসের শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত চেতনার বিরোধী৷
অবশ্য উত্তর কোরিয়ার সবশেষ হুমকিকে নিজ দেশের নাগরিকদের কাছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা হতে পারে, বলে মনে করছেন কয়েকজন বিশ্লেষক৷
এর আগেও উত্তর কোরিয়া সৌল ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে করা চুক্তি শেষ মুহূর্তে ভেস্তে দিয়েছে৷ যেমন কোরীয় যুদ্ধের কারণে বিচ্ছিন্ন হওয়া পরিবারের সদস্যদের মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া৷ এছাড়া ২০১২ সালে খাদ্য সহায়তার বিনিময়ে করা অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখার অঙ্গীকার থেকেও সরে এসেছিল দেশটি৷
উত্তর কোরিয়াকে কাবু করতে জাতিসংঘের কিছু ‘অস্ত্র’
পারমাণবিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার কোনো তোয়াক্কাই করছে না উত্তর কোরিয়া৷ দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছে তাই জাতিসংঘেরও৷ দেখা যাক, কত রকমের নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকা পড়েছে উত্তর কোরিয়া৷
ছবি: Reuters/S. Sagolj
কয়লা এবং লোহার ওপর নিষেধাজ্ঞা
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে উত্তর কোরিয়ার ওপর সব ধরনের কয়লা, লোহা এবং লোহার আকরিক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ৷ওপরের ছবিতে উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন ড্যানডং শহরের লিয়াওনিং গ্রিনল্যান্ড এনার্জি কয়লাখনি৷ খনিটি অবশ্য চীনের৷
ছবি: Reuters/B. Goh
মুদ্রায় নিষেধাজ্ঞা
বিদেশে কোনো ব্যাংক খুলতে পারে না উত্তর কোরিয়া৷ এমনকি জাতিসংঘের কোনো সদস্য দেশ যাতে পিয়ংইয়ংয়ের জন্য লাভজনক কোনো আর্থিক লেনদেন বা চুক্তিতে না যায়, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, কোনো দেশের নাগরিক যদি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এমন কোনো ব্যবসায়িক যোগাযোগ স্থাপন করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশটিকে অবশ্যই ওই নাগরিককে বহিষ্কার করতে হবে৷
ছবি: Mark Ralston/AFP/Getty Images
জাহাজ চলাচল
ছবির এই জাহাজটি উত্তর কোরিয়ার৷ ২০১৬ সালের মার্চে ফিলিপাইন্সে এটিকে থামানো হয়৷ উত্তর কোরিয়ার কোনো জাহাজে পণ্য পরিবহনও নিষিদ্ধ করেছে জাতিসংঘ৷ এমনকি পিয়ংইয়ংযে নিজেদের জাহাজে অন্য দেশের পতাকা লাগিয়ে কাজ চালাবে, সেই পথও বন্ধ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Dumaguing
আকাশেও নিষেধাজ্ঞা
উত্তর কোরিয়ার জাতীয় এয়ারলাইন্স ‘এয়ার কোরিও’ অবশ্য পুরোপুরি নিষিদ্ধ নয়৷ এখনো তাদের বিমান রাশিয়া আর চীনে যাওয়া-আসা করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap
জ্বালানিতেও...
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার পর থেকে জ্বালানি আমদানিতেও কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় উত্তর কোরিয়া৷ ফলে জনজীবনেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে৷ নিষেধাজ্ঞার কারণে বছরে মাত্র ৪০ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারে উত্তর কোরিয়া৷ তাই সে দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ডিজেল এবং কেরোসিন পেয়েই খুশি থাকতে হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Ralston
বিদেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং স্থাবর সম্পত্তি
উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিকদের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ৷ জার্মানিসহ এখনো হাতে গোনা যে কয়েকটি দেশে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস আছে, সেখানে উত্তর কোরীয় কূটনীতিকরা চাইলেও একটার বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না৷ দেশের বাইরে দূতাবাস ছাড়া আর কোনো কাজে ঘর ভাড়াও করতে পারে না উত্তর কোরিয়া৷
ছবি: picture alliance/dpa/S.Schaubitzer
সামরিক প্রশিক্ষণ
কোনো দেশ উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বা আধা সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে না৷ এ বিষয়েও রয়েছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা৷
ছবি: Reuters/S. Sagolj
কিম জং উনের মূর্তি
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আবক্ষ মূর্তি দেখতে বা পছন্দের কোনো জায়গায় রাখতে চান? তা জাতিসংঘের একেবারেই কাম্য নয়৷ তাই উত্তর কোরিয়ার ওপর যে কোনো ধরনের মূর্তি বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ৷