ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারে অংশ নেয়া এক ব্যক্তির মুখে উঠে এসেছে এই অভিযোগ৷ রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, জর্জিয়ার এক সভায় এক নির্বাচন কর্মীকে ভোটে কারচুপি হয়েছে- এমন কথা স্বীকার করার জন্য চাপ দেয়া হয়েছিল৷
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার অনুসারীদের পক্ষ থেকে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়৷ দাবি করা হয়, আটলান্টার স্টেট ফার্ম অ্যারেনায় ভোট গণনার এক ভিডিওতে রুবি ফ্রিম্যান, তার মেয়ে ওয়ান্ড্রিয়া 'শায়ে' মস এবং ফুলটন কাউন্টির আরেক নির্বাচন কর্মীকে ভোট কারচুপিতে অংশ নিতে দেখা গেছে৷ অভিযোগে বলা হয়, ফ্রিম্যান ও তার মেয়ে একটি ব্রিফকেস থেকে কতগুলো নকল ব্যালট পেপার বের করে সেগুলো কয়েক দফা গণনা করেছেন৷ আরো দাবি করা হয়, এভাবে ১৮০০০ জাল ভোট দিয়ে জর্জিয়ায় ট্রাম্পকে হারানো হয়েছে৷ এর ফলে ট্রাম্প সমর্থকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ ফ্রিম্যান ও তার মেয়েকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়, হত্যার হুমকিও দেয়া হয় তাদের৷
ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবে ক্যাপিটলে যত ক্ষয়ক্ষতি
বুধবার অনেকটা সময় ট্রাম্প সমর্থকদের দখলে ছিল মার্কিন ক্যাপিটল৷ বিস্তর ক্ষতি করেছেন তারা৷ জানুন ছবিঘরে...
ছবি: Alex Wong/Getty Images
যা হয়েছিল
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদভবন ক্যাপিটলে ঢুকে পড়লেন উত্তেজিত ডনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকরা৷ পুলিশের বাধা না মেনে দখল নেন ক্যাপিটল ভবনের একতলার৷ বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে৷ পরে, বাধ্য হয়ে গুলি চালায়৷ সব মিলিয়ে ক্যাপিটল ভবন ও সংবাদমাধ্যমের নানা সম্পত্তির অনেক ক্ষতি হয়৷
ছবি: REUTERS
রক্তাক্ত ক্যাপিটল
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প সমর্থকদের ক্রোধের আঁচ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জ্যাকারি টেলরের আবক্ষমূর্তিতেও লেগেছে৷ ক্যাপিটলের ভেতরে হাতাহাতির ফলে রক্তপাত ঘটে, সেই রক্ত দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট টেলরের মূর্তির গায়েও৷
ছবি: Samuel Corum/Getty Images
ভাঙচুর যত
বুধবার টেলিভিশন থেকে ইন্টারনেট সর্বত্র ছেয়ে ছিল ক্যাপিটলে ভাঙচুরের ছবি৷ বিক্ষুব্ধরা শুধু ক্যাপিটলের বিভিন্ন দরজা, জানালার কাঠ-কাঁচ ভেঙেই থামেনি, ভেতরের মূল পোডিয়ামও কাঁধে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা৷ একটি ভিডিওতে দেখা যায় কয়েক শতক পুরোনো আসবাব, ঝাড়বাতি সব টেনে মাটিতে ফেলে দিতে৷
ছবি: Erin Scott/REUTERS
যা বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
ক্যাপিটলে উপস্থিত হাউস প্রতিনিধি জেসন ক্রো বলেন, ‘‘আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়৷ পালাবার পথ ছিল না৷ যখন আমি ইরাক বা আফগানিস্তানে লড়ছিলাম, তখনও আমি এতটা ভীত হয়েছিলাম৷ এরপর আর কখনো এমন অনুভূতি হয়নি৷ কিন্তু সেই সময় আমার সামনে লড়ে বিপদ থেকে বেরোবার পথ ছিল৷ লড়ার জন্য ক্যাপিটলে আমার পকেটের কলম ছাড়া আর কোনো অস্ত্র ছিল না৷’’
ছবি: Alex Wong/Getty Images
আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম
শুধু ক্যাপিটলের ভেতরে নয়, বাইরে থাকা সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা, মাইক ভাঙা হয়েছে৷ সাংবাদিকদের গালিও দেওয়া হয়৷ ওপরের ছবিতেও তার প্রতিফলন৷ ক্যাপিটলের দরজার ওপরে লেখা ‘মার্ডার দ্য মিডিয়া!’
ছবি: Erin Scott/REUTERS
সন্ত্রাস ও মৃত্যু
বুধবারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে৷ এর মধ্যে, রয়েছেন এক পুলিশকর্মীও৷ ভাঙচুর, মারামারি ও হাতাহাতির ভয়াবহতার কারণে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই বুধবারের ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছে৷
ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS
6 ছবি1 | 6
প্রতিবেদনে ট্রাম্পের সহযোগী হিসেবে তুলে ধরা এক ব্যক্তির বক্তব্যে উঠে এসেছে নির্বাচনের এক মাস পর, অর্থাৎ, ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতের এক বৈঠকের কথা৷ ‘ব্ল্যাক ভয়েস ফর ট্রাম্প'-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হ্যারিসন ফ্লয়েড সোমবার রয়টার্সকে বলেন, সেদিন শিকাগোর ট্রেভিয়ান কুট্টিকে আটলান্টায় গিয়ে রুবি ফ্রিম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলেন তিনি৷ ৬২ বছর বয়সি রুবি ফ্রিম্যান অস্থায়ী নির্বাচন কর্মী৷ হ্যারিসন ফ্লয়েডের দাবি, তারপর জর্জিয়ার কোব কাউন্টির পুলিশ স্টেশনে রুবি ফ্রিম্যানের সঙ্গে ট্রেভান কুট্টির কথা হয়৷ তাদের সেই কথোপকথনে ফ্লয়েডও নাকি টেলিফোনে যুক্ত হয়েছিলেন৷
সেদিন কুট্টির সঙ্গে ট্রাম্পের দলের নেতা গ্যারিসন ডগলাসকেও যেতে বলেছিলেন এবং তার অনুরোধে ডগলাসও সেখানে গিয়েছিলেন বলে ফ্লয়েড জানান৷
ট্রাম্প সমর্থকদের ‘সেভ অ্যামেরিকা মার্চ’
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানে তার সমর্থকরা রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘সেভ অ্যামেরিকা মার্চ’ শুরু করেছে৷ ছবিঘরে বিস্তারিত৷
ছবি: Jim Urquhart/REUTERS
ট্রাম্পের আহ্বান
২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে বলে বরাবরই দাবি করে আসছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ এবার ওয়াশিয়টন ডিসিতে এক সমাবেশের আহ্বান করলেন তিনি৷ স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ১১টায় হোয়াইট হাউজের কাছে এলিপসে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্পের ভাষণ দেয়ার কথা৷
কী হবে ৬ জানুয়ারি?
ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের যে ফল জানা গেছে সেটা এখনো ‘আনুষ্ঠানিক’ ফলাফল নয়৷ এই ভোটের ফল পাঠানো হয়েছে রাজধানীতে এবং ছয় জানুয়ারি কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে ভোট আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করা হবে৷ এরপরই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা৷
ছবি: Shannon Stapleton/REUTERS
ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড
মার্কিন নির্বাচনে হার নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে একের পর এক নাটকের জন্ম দিয়ে চলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আর হয়নি এমন অনেক কিছুই করছেন তিনি৷ এবার দিলেন নির্বাচনের ফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক৷
ছবি: Samuel Corum/Getty Images
উত্তপ্ত ওয়াশিংটন ডিসি
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হচ্ছেন ট্রাম্প সমর্থকরা৷ ‘মার্চ টু সেভ অ্যামেরিকা’ ব্যানার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সামনে জড়ো হয়েছেন তারা৷ বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে৷ এতে আহত হন কয়েকজন৷
ছবি: Shannon Stapleton/REUTERS
সততার জয় কামনা...
‘সততার মূল্যায়ন হোক, জালিয়াতির নয়’ এমন প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সুপ্রিম কোর্টের সামনে৷ কারো হাতে প্ল্যাকার্ড ‘চুরি বন্ধ কর’৷
ছবি: Jim Urquhart/REUTERS
হাজারো সমর্থক
সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৫ হাজার সমর্থক এরই মধ্যে ডিসিতে পৌঁছেছেন৷ সমাবেশে ৩৫ হাজার সমর্থক যোগ দেবেন বলে জানা গেছে৷
ছবি: Samuel Corum/AFP
গ্রেপ্তার
ডিসির মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ এদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে পুলিশকে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে৷
ছবি: Shannon Stapleton/REUTERS
অদ্ভুত সাজপোশাকে
কেউ কেউ এমন সাজপোশাকে উপস্থিত হয়েছেন, মনে হচ্ছে কোনো কার্নিভালে অংশ নিতে এসেছেন৷
ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS
রক্ষণশীলদের সক্রিয়তা
প্রাউড বয়েজসহ অন্য রক্ষণশীল ট্রাম্প-সমর্থকরা বড় ধরনের মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ এছাড়া কট্টরপন্থি ডানপন্থি গ্রুপ থ্রি পার্সেন্টার্সও ফ্রিডম প্লাজায় নেমেছে বিক্ষোভে৷ শিরোস্ত্রাণ আর বর্ম পরেও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কেউ কেউ৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
মামলা
ভোট চুরির অভিযোগে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আদালতে ডনাল্ড ট্রাম্পের করা মামলাগুলো একের পর এক খারিজ হয়ে যাচ্ছে৷ ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন তারা৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
10 ছবি1 | 10
তবে সোমবার এক বিবৃতিতে ফ্রিম্যানকে ভোট কারচুপিতে অংশ নেয়ার অভিযোগ স্বীকারের জন্য চাপ দেয়ার বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করে ডগলাস বলেন, ‘‘৪ জানুয়ারি আমি কর্মহীন ছিলাম৷ স্বেচ্ছাসেবক চালক হিসেবে কাজ করার অনুরোধ জানানো একটি ফোন পেয়ে আমি সেখানে গিয়েছিলাম৷ এই কাজ আমি অতীতেও বহুবার করেছি৷ গাড়ি চালানো ছাড়া সেখানে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না৷''
রয়টার্সের কাছে ফ্লয়েড আরো দাবি করেন, কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি ফোন করে এমন একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন৷ ওই ব্যক্তি নিজের নাম বলেছিলেন চ্যাপলেইন৷ ফ্লয়েডের দাবি, চ্যাপলেইন নিজে শ্বেতাঙ্গ, তাই কৃষ্ণাঙ্গ রুবি ফ্রিম্যান তাকে বিশ্বাস করবেন না- এমন ধারণা থেকেই তাকে বৈঠকটি আয়োজনের ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন৷ প্রসঙ্গত, ফ্রিম্যানের মতো ফ্লয়েড, ডগলাস এবং কুট্টিও কৃষ্ণা্ঙ্গ৷
মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোতে৷ ইরানের গণমাধ্যম এই পরাজয়কে উৎসবের কারণ মনে করছে৷ অন্যদিকে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে ফিলিস্তিন ইস্যু৷
ছবি: tehrantimes.com
‘‘ট্রাম্পের পতন উদযাপন করছে ইরান’’
ইরানের দ্য তেহরান টাইমস মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ‘‘ট্রাম্পের পতন উদযাপন করছে ইরান’’ শিরোনামে সংবাদ করেছে৷ পত্রিকাটি লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার বিষয়টি ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও নতুন প্রেসিডেন্ট তেহরানের প্রতি মার্কিন নীতিতে কতটা পরিবর্তন আনবেন তা নিশ্চিত হতে পারছেন না তারা৷ ফলে বাইডেনের জয়ের চেয়ে ট্রাম্পের প্রস্থানেই সন্তুষ্ট বেশি তারা৷
ছবি: tehrantimes.com
‘‘বাইডেনের জয় থেকে ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত দাবি’’
ইসরায়েলের প্রভাবশালী পত্রিকা হারেৎস-এ ‘‘বাইডেনের জয় থেকে ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত দাবি’’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে, গত চারবছর ধরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্বাসকে ব্যাপক চাপে রেখেছিল ট্রাম্প প্রশাসন৷ এখন সেই চাপে পরিবর্তন আসতে পারে৷
ছবি: haaretz.com
‘‘বাইডেনের জয় নেতানিয়াহুর জন্য ধাক্কা, ফিলিস্তিনিদের জন্য আশা’’
লেবাননের ইংরেজি পত্রিকা নাহানেটের শিরোনাম, ‘‘বাইডেনের জয় নেতানিয়াহুর জন্য ধাক্কা, ফিলিস্তিনিতের জন্য আশা৷’’ বিশেষজ্ঞদের বরাতে পত্রিকাটি লিখেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একজন কট্টর মিত্র ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ বাইডেনের জয়ের ফলে এখন আবার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার হতে পারে৷
ছবি: naharnet.com
‘‘বিভক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শাসনের কঠিন কাজের পরিকল্পনা করছেন বাইডেন, মিত্ররা’’
কাতারের দৈনিক সংবাদপত্র গাল্ফ টাইমসের শিরোনাম, ‘‘বিভক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শাসনের কঠিন কাজের পরিকল্পনা করছেন বাইডেন, মিত্ররা৷’’ পত্রিকাটি লিখেছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর শুরুতেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন জো বাইডেন৷ বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি৷
ছবি: gulf-times.com
‘‘মার্কিন নির্বাচন ২০২০ - আরবরা কী চায়?’’
আরব নিউজ মার্কিন নির্বাচন নিয়ে আরবদের ভাবনা তুলে ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷ পত্রিকাটিতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সংবাদ, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হচ্ছে৷
ছবি: arabnews.com
‘‘মার্কিন নির্বাচনে জেতায় বাইডেনকে সৌদি নেতাদের অভিনন্দন বার্তা’’
সৌদি পত্রিকা সৌদিগেজেটের শিরোনাম, ‘‘মার্কিন নির্বাচনে জেতায় বাইডেনকে সৌদি নেতাদের অভিনন্দন বার্তা৷’’ পত্রিকাটিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাতেই এক বিবৃতিতে সৌদি নেতারা জো বাইডেনকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷
ছবি: saudigazette.com.sa
6 ছবি1 | 6
তবে ফ্লয়েড আরো দাবি করেন, ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারির আগেই তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন৷ রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘‘ট্রাম্প নিজে কখনো আমাকে জর্জিয়ায় যেতে বলেননি৷ ব্ল্যাক ভয়েসেস ফর ট্রাম্প-এর বোর্ড মেম্বারদের সঙ্গেও বিষয়টির কোনো সম্পর্ক নেই৷''
‘ব্ল্যাক ভয়েসেস ফর ট্রাম্প'-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের দাবি, তিনি ট্রাম্পের দলের পক্ষ থেকে যে আইনি ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছিল, রুবি ফ্রিম্যানকে তা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্যই এমন একটি সভার আয়োজন করেছিলেন৷ রুবি ফ্রিম্যানের আইনজীবী ভন ডুবোস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি৷ তবে এক মুখপাত্রের মাধ্যমে রুবি ফ্রিম্যান জানিয়েছেন, আইনি ব্যবস্থা থেকে রেহাই দেয়ার অনুরোধ কাউকে কখনোই তিনি করেননি৷
এদিকে এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে কুট্টি কারচুপিতে অংশ নেয়ার অভিযোগ স্বীকারের জন্য ফ্রিম্যানকে চাপ দেয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন৷
এখন রিপাব্লিকান ন্যাশনাল কমিটিতে রয়েছেন ডগলাস৷ এ ঘটনা সম্পর্কে রয়টার্সের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি৷