ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গাজায় নিহত ২
৮ ডিসেম্বর ২০১৭
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মুসলিমপ্রধান বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ হয়েছে৷ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন৷
তুরস্কে বিক্ষোভের ছবিছবি: Reuters/O. Orsal
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার ‘ক্রোধ দিবস’ পালন করেছে ফিলিস্তিনিরা৷ গাজায় হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান৷ এক পর্যায়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে দুজন প্রাণ হারান বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র৷ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে৷ ‘সহিংস দাঙ্গা’ থামাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয় বলে জানিয়েছে তারা৷
এছাড়া পশ্চিম তীরের হেবরন, বেথেলহেম ও রামাল্লায় শত শত ফিলিস্তিনি জু্ম্মার নামাজের পর ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন৷ বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে পাথর ছুড়ে মারেন৷ জবাবে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী৷
জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদের বাইরেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করেছেন৷
বাংলাদেশের ঢাকায় বিক্ষোভে জড়ো হয়েছিল প্রায় তিন হাজার মানুষ৷
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে অংশ নেন৷ ফিলিস্তিনিদের একটি শরণার্থী শিবিরের কাছের রাস্তায় পাঁচ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী সমবেত হয়েছিলেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Momani
ইরানের তেহরানে সরকারি উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে শত শত মানুষ অংশ নেন৷ এছাড়া দেশটির অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম৷
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে একটি মসজিদের বাইরে সমবেত হয়েছিলেন তিন হাজারেরও বেশি প্রতিবাদকারী৷ এই সময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছেন, আর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছেন৷ রাজধানী আংকারাসহ অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে৷
জর্ডান, মিশর, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায়ও শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে৷ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷
এর আগে বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়৷ এতে কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি আহত হন৷
বিতর্কিত শহর জেরুসালেম
জেরুসালেম বিশ্বের প্রাচীনতম ও সবচেয়ে বিতর্কিত শহরগুলির অন্যতম৷ ইহুদি, মুসলিম ও খ্রিষ্টান, তিনটি ধর্মের মানুষের কাছে জেরুসালেম একটি পবিত্র শহর৷ এ কারণে জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ ও বিতর্ক লেগেই আছে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/S. Qaq
রাজা ডেভিডের শহর
ওল্ড টেস্টামেন্টের বিবরণ অনুযায়ী, জুডাহ ও ইসরায়েলের রাজা ডেভিড যীশুখ্রিষ্টের জন্মের প্রায় এক হাজার বছর আগে জেবুসাইটদের কাছ থেকে জেরুসালেম জয় করেন৷ ডেভিড জেরুসালেমকে তার রাজধানী করেন ও জেরুসালেম তাঁর রাজ্যের ধর্মীয় কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷ বাইবেলে কথিত আছে যে, ডেভিডের পুত্র রাজা সলোমন জেরুসালেমে ইসরায়েলের দেবতা ইয়াওয়েহ’র প্রথম মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন ও জেরুসালেম ইহুদি ধর্মের প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷
ছবি: Imago/Leemage
পারস্যের শাসনে
নব্য ব্যাবিলোনিয়ান রাজা দ্বিতীয় নেবুচাডনেজার (বাম থেকে তৃতীয়) খ্রিষ্টপূর্ব ৫৯৭ ও ৫৮৬ সালে জেরুসালেম জয় করেন বলে বাইবেলে আছে৷ তিনি রাজা জেহোইয়াকিম (ডান থেকে পঞ্চম) ও অন্যান্য সম্ভ্রান্ত ইহুদিদের বন্দি করে ব্যাবিলনে পাঠান ও ইয়াওয়েহ’র মন্দিরটি ধ্বংস করেন৷ পারস্যের রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট ব্যাবিলন দখল করার পর নির্বাসিত ইহুদিদের জেরুসালেমে ফেরার ও মন্দিরটি পুনরায় গড়ে তোলার অনুমতি দেন৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
রোমক ও বাইজান্টাইন আমল
খ্রিষ্টজন্মের ৬৩ বছর পরে জেরুসালেম রোমক শাসনে আসে, কিন্তু জনগণের মধ্যে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকায় তার তিন বছর পরেই প্রথম ইহুদি-রোমক যুদ্ধের অবতারণা ঘটে৷ চার বছর যুদ্ধের পর রোমকরা জয়ী হয় ও ইহুদিদের মন্দিরটি পুনরায় ধ্বংস করা হয়৷ রোমক আর বাইজান্টাইনরা মিলে প্রায় ৬০০ বছর ধরে জেরুসালেম শাসন করে৷
ছবি: Historical Picture Archive/COR
আরব বিজয়
বৃহত্তর সিরিয়ায় ইসলামের জয়ের পর মুসলিম সেনাবাহিনী জেরুসালেমে পৌঁছায়৷ (ছবিতে) খলিফা উমরের আদেশে ৬৩৭ সালে দীর্ঘ অবরোধের পর জেরুসালেমের পতন ঘটে৷ মুসলিম শাসন চলাকালীন বিভিন্ন গোষ্ঠীর শাসকরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাত চালান৷ জেরুসালেম একধিকবার অবরুদ্ধ ও বিজিত হয়৷
ছবি: Selva/Leemage
ক্রুসেড
১০৭০ সাল থেকে মুসলিম নেতারা ক্রমেই খ্রিষ্টান জগতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেন৷ শেষমেষ পোপ দ্বিতীয় আর্বান ক্রুসেডের ডাক দেন৷ ২০০ বছরের মধ্যে মোট পাঁচটি ক্রুসেড জেরুসালেম জয়ের জন্য যাত্রা করে৷ কিন্তু ১২৪৪ সালে ক্রুসেডাররা শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারায় ও জেরুসালেম পুনরায় মুসলিম শাসনে আসে৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
অটোমান ও ব্রিটিশ আমল
অটোমানরা মিশর ও আরব জয় করার পর ১৫৩৫ সালে জেরুসালেম একটি অটোমান জেলার প্রশাসনিক কার্যালয়ে পরিণত হয়৷ অটোমান শাসনের প্রথম কয়েক দশকে শহরটির প্রভূত উন্নতি ঘটে৷ ১৯১৭ সালে অটোমান সৈন্যদের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের জয়ের পর ফিলিস্তিন ব্রিটিশ শাসনে আসে ও জেরুসালেম বিনাযুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়৷
ছবি: Gemeinfrei
বিভক্ত শহর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন তার ফিলিস্তিনি সনদ ছেড়ে দেয়৷ অপরদিকে জাতিসংঘ হলোকস্ট থেকে যেসব ইহুদি বেঁচেছেন, তাদের জন্য একটি স্বদেশ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দেশবিভাগের সিদ্ধান্ত নেয়৷ অতঃপর কিছু আরব দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ও অংশত জেরুসালেম দখল করে৷ ১৯৬৭ সাল অবধি জেরুসালেমের পশ্চিমাংশ ইসরায়েল ও পুবের অংশ জর্ডানের দখলে ছিল৷
ছবি: Gemeinfrei
পূর্ব জেরুসালেম ইসরায়েলের হাতে ফিরল
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের এক যুদ্ধে ইসরায়েল মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ সাইনেয়াই, গাজা স্ট্রিপ, পশ্চিম তীর, গোলান হাইটস ও পূর্ব জেরুসালেমের দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ ইসরায়েলের প্যারাট্রুপার সৈন্যরা ১৯৪৯ সাল যাবৎ প্রথমবারের মতো ইহুদিদের জেরুসালেমের ‘ওয়েলিং ওয়াল’-এ দাঁড়ায়৷ পূর্ব জেরুসালেমকে সরকারিভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ না করা হলেও, সামগ্রিক প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
জেরুসালেমে মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলি মুসলিমদের জন্য খোলা৷ টেম্পল মাউন্ট একটি স্বশাসিত মুসলিম প্রশাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ মুসলিমরা ডোম অফ দ্য রক ও তার সংলগ্ন আল-আকসা মসজিদটি দর্শন করতে পারেন ও সেখানে নামাজ পড়তে পারেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ
আজ অবধি জেরুসালেমের পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ মর্যাদা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তির পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে৷ ১৯৮০ সালে ইসরায়েল গোটা জেরুসালেমকে তার ‘‘চিরন্তন ও অবিভাজনযোগ্য রাজধানী’’ বলে ঘোষণা করে৷ ১৯৮৮ সালে জর্ডান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমের উপর তার দাবি পরিত্যাগ করার পর ফিলিস্তিন রাজ্য ঘোষিত হয়৷ ফিলিস্তিন রাজ্যও জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বলে গণ্য করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
10 ছবি1 | 10
এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের একটি নিজস্ব রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অবশ্যই দিতে হবে৷ ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে সব মুসলিম দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী৷
তবে সরকারকে আরো ‘শক্ত ভাষায়’ প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ৷ শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘‘সে যতবড় রাষ্ট্রই হউক না কেন, জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আমরা মানি না, বাংলাদেশ মানে না৷ এটা আমরা গ্রহণ করি না, এটাকে প্রত্যাহার করতে হবে৷ এই কথাগুলো বর্তমান সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, আরো জোরেশোরে বলতে হবে৷’’
জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা বিশ্বব্যাপী তার অনুসারীদের যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে৷
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বলেছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া আরও জটিল করে তুলছে৷ আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ ফ্রান্সের প্যারিসে লেবানন নিয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন হারিরি৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, একক সিদ্ধান্ত কিংবা শক্তিশালী পক্ষ জোর করে তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার সমাধান হবে না৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...
ইসরায়েল: দেশটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
ফিলিস্তিনের সঙ্গে এবং সেই কারণে বলতে গেলে প্রায় গোটা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেই ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রটির বৈরিতা৷ তবে ইহুদি অধ্যুষিত এ দেশ সম্পর্কে এই তথ্যগুলো কি জানেন? জানলে সত্যিই অবাক হবেন৷
রাষ্ট্র ভাষা কয়টি?
জানেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রভাষা ক’টি? দু’টি৷ আধুনিক হিব্রু ভাষা এবং আরবি৷ হিব্রু ভাষার কথা তো সবাই শুনেছেন, কিন্তু ‘আধুনিক হিব্রু’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে তা হয়ত অনেকেই বুঝতে পারবেন না৷ এই ভাষাটি গত ১৯ শতকের শেষভাগ পর্যন্তও বিকশিত হয়েছে৷ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আধুনিক হিব্রুর শেকড় প্রাচীন হিব্রু হলেও এখন এ ভাষায় ইংরেজি, স্লাভিচ, আরবি এবং জার্মানসহ অনেকগুলো বিদেশি ভাষার প্রভাব রয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Ivan Montero
ইসরায়েলের আয়তন কত?
ছোট্ট দেশ৷ কিন্তু কত ছোট? ইসরায়েলের আয়তনই বা কত? কাজির গরু নাকি গোয়ালে থাকে না, গাছে থাকে৷ ইসরায়েলের ক্ষেত্রে কথাটা একটু অন্যভাবে বলা যায়৷ ইসরায়েলের ভূমি চুক্তিতে থাকে না, বাস্তবে থাকে৷ ১৯৪৯ সালে ইসরায়েল, লেবানন, জর্ডান ও সিরিয়ার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চু্ক্তি অনুযায়ী দেশটির আয়তন হওয়ার কথা ২০ হাজার ৭৭০ বর্গ কিলোমিটার৷ কিন্তু ইসরায়েলের আয়তন এখন ২৭ হাজার ৭৯৯ বর্গ কিলোমিটার৷
ইসরায়েলের ‘সবাই’ সেনাসদস্য
ইসরায়েল একমাত্র দেশ যেখানে প্রাপ্ত বয়স্ক সব নাগরিকের জন্যই সেনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক৷ সুতরাং দেশটিতে যতজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক সেনাসদস্যও এক অর্থে ততজন৷ সেনাপ্রশিক্ষণও স্বল্পমেয়াদি হয় না৷ সব প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে ৩ বছরের এবং মেয়েকে অন্তত ২ বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়৷
ছবি: dapd
ইসরায়েলিও ফিলিস্তিনের সমর্থক?
ইহুদিদের একটি ধর্মীয় সংগঠন জিওনিজম মতবাদ এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে৷ সংগঠনটির নাম, ‘নেতুরেই কার্টা’ বা ‘নগর রক্ষক’৷ ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই সংগঠনটি ‘ফিলিস্তিনের সমর্থক’ হিসেবে পরিচিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আইনস্টাইন প্রেসিডেন্ট হননি
নোবেল বিজয়ী জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিনিধন বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন৷ ইসরায়েল তাঁর কথা শুধু কৃতজ্ঞচিত্তে মনেই রাখেনি, তাঁকে সম্মানও জানাতে চেয়েছিল প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে৷ ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আইনস্টাইন৷
ছবি: Imago/United Archives International
ঈশ্বরের কাছে চিঠি
ইসরায়েলের মানুষ সত্যি সত্যিই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রচুর চিঠি লিখে৷ প্রতি বছর জেরুসালেমের ডাক বিভাগ এমন অন্তত হাজার খানেক চিঠি পায় যেখানে প্রাপকের জায়গায় লেখা থাকে ‘ঈশ্বর’!
ছবি: Fotolia/V. Kudryashov
জেরুসালেম যা যা সয়েছে
ইতিহাস বলছে, প্যালেস্টাইনের রাজধানী জেরুসালেমে এ পর্যন্ত ২৩ বার ভয়াবহ আগুন লেগেছে আর বহিঃশক্তির আক্রমণের শিকার হয়েছে ৫২ বার৷ জেরুসলেম দখল এবং পুনরুদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে ৪৪ বার৷
ছবি: DW/S. Legesse
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ নোট
ইসরায়েলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ মুদ্রা৷ ‘ব্রেইল’-এর মতো বর্ণের সহায়তায় কাগুজে নোটগুলোতে লেখা থাকে বলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কেনাকাটা বা মুদ্রা বিনিময়ে কোনো অসুবিধা হয় না৷ সারা বিশ্বে ইসরায়েল ছাড়া ক্যানাডা, মেক্সিকো, ভারত আর রাশিয়াতেও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই বিষেষ ব্যবস্থা রয়েছে৷