ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়াকে নকল করে ক্ষমা চাইলেন জিজি হাদিদ
২৩ নভেম্বর ২০১৬
ডোনাল্ড ট্রাম্প নন, এবার তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে ঘিরে হয়ে গেল তুমুল আলোচনা আর হাসি-ঠাট্টা৷ এবং তারপর ক্ষমা চাওয়ার পর্ব৷
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্পের স্ত্রী, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের হবু ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে নকল করে লোক হাসিয়ে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন জিজি হাদিদ৷
নির্বাচিত হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন এখনো সরকারিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেননি, তাঁর স্ত্রী মেলানিয়াও তেমনি এখনো ‘ফার্স্ট লেডি' হননি৷ তবে নির্বাচনের পর তাঁকে নিয়ে হয়ে গেল প্রথম বিতর্ক আর সমালোচনা৷ ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার হয়ে যাওয়া ‘অ্যামেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ড' অনুষ্ঠানে৷ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার এক পর্যায়ে সুপার মডেল জিজি হাদিদ সেখানে মেলানিয়া ট্রাম্পকে অনুকরণ করে কথা বলেন৷ মাত্র দুটি বাক্য৷ তা শুনে উপস্থিত দর্শকদের মাঝে হাসির রোল ওঠে৷
কিন্তু একটু পরেই শুরু হয়ে যায় তুমুল সমালোচনা৷ যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই জানান, মানুষকে আনন্দ দেয়ার নামে বিকৃতভাবে নকল করে জিজি আসলে মেলানিয়াকে অপমান করেছেন৷ মঙ্গলবার এ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন জিজি হাদিদ৷ এক চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, অনুকরণ করে সবাইকে আনন্দ দিতে চাইলেও কাউকে আঘাত দেয়ার ইচ্ছে তাঁর ছিল না, তবুও কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী৷ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা চিঠিতে ২১ বছর বয়সি সুপার মডেল আরো জানিয়েছেন, তাঁর আশা, মেলানিয়া ট্রাম্পেরও যেহেতু শো-বিজ সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে তাই তিনি বিষয়টি বুঝতে পারবেন এবং সে কারণে তাঁকে অনুকরণ করায় তিনি অপমান বোধ করবেন না৷
এসিবি/জেডএইচ (এপি)
ট্রাম্পকে নিয়ে কার্টুন: না হেসে উপায় কী!
ট্রাম্পের জয়ে বিশ্ব জুড়ে কার্টুনিস্টদের পোয়াবারো
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Cortez
মেক্সিকোয় ট্রাম্পের জন্য ‘দেয়াল’
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প৷ তাই অলঙ্করণ শিল্পী আর্টুরো কেম্চস মেক্সিকো সিটির ক্যারিকেচার মিউজিয়ামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন৷ কেম্চস ইবেরো-অ্যামেরিকান ইউনিয়ন অফ গ্র্যফিক হিউমরিস্টস সমিতির সভাপতি৷ প্রদর্শনীর জন্য তিনি তাঁর সতীর্থদের কাছ থেকে শত শত ড্রয়িং পেয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Cortez
২০১৭ সাল থেকে ভ্রাম্যমান প্রদর্শনী
‘ট্রাম্প: এ ওয়াল অফ ক্যারিকেচার্স’ প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হয় গত অক্টোবর মাসে৷ ইউরোপীয় শিল্পীরাও এই প্রদর্শনীতে অবদান রেখেছেন৷ অনেক কার্টুনে নাৎসিদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে৷ সাড়া জাগানো প্রদর্শনীটি ২০১৭ সালের সূচনায় অন্যান্য শহরে যাবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে দেখানো হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Cortez
ফ্যাশন গুরু কার্ল লাগারফেল্ডও কম যান না
ট্রাম্প সম্পর্কে ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল লাগারফেল্ড লিখেছেন, ‘‘রাজনীতিতেও উনি মহিলাদের দিকে এমনভাবে তাকান যেন ঘোড়ার ব্যাপারি৷’’ কার্টুনের মাঝখানে যে মূর্তিটিকে রেখেছেন, তিনি হলেন জার্মানির দক্ষিণ ঘেঁষা এএফডি দলের প্রধান ফ্রাউকে পেট্রি৷ পেট্রিরও নাকি কার্টুনটা ভালো লেগেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Frankfurter Allgemeine Magazin
#হেয়ারফোর্সওয়ান
ট্রাম্পের চুল নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা গোড়া থেকেই চলেছে৷ কোথায় নরওয়ের কোন মাঠে খড় পড়ে রয়েছে, তার ছবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পরচুলোর খামার’ হিসেবে ইন্টারনেট মাতিয়েছে৷ কাজেই মার্ক নাইট মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানকেও ট্রাম্পের হেয়ারস্টাইলে সজ্জিত করেছেন৷
ছবি: Twitter/@Knightcartoons
আফ্রিকান দৃষ্টিকোণ
আব্দুলকরিম বাবা আমিনু নাইজেরিয়ার একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিল্প সমালোচক ও অলঙ্করণ শিল্পী৷ তাঁর কার্টুনের ক্যাপশন হলো, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গদের ঘৃণা করেন বলে আমরা দেশ ছেড়ে চলে যাব৷ তারপর তিনি এই দেশ নিয়ে যা খুশি করুন!’’
ছবি: DW/Abdulkareem Baba Aminu
স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ক্যানাডার দ্বারস্থ
কার্টুনিস্ট ইগ্রেক-এর ট্রাম্প-বিরোধী কার্টুনগুলোতে প্রায়ই স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দেখা পাওয়া যায়৷ এখানে ট্রাম্পের জয়ের পর ‘লিবার্টি’ বা স্বাধীনতা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন৷ টুইটারে ইংরেজিতে @ইগ্রেক দেখুন৷
ছবি: Twitter/@ygreck
যে কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারে
বেলজিয়ামের অলঙ্করণ শিল্পী লেকটরর (টুইটারে ইংরেজিতে @লেকটরর) ট্রাম্পকে নিয়ে অনেক কার্টুন এঁকেছেন৷ এই কার্টুনটার বক্তব্য হলো, ‘‘যে কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারে’’, এই কথাটার মানে মাত্র আট বছরে কিভাবে বদলে গেছে...
ছবি: Twitter/@lectrr
দেয়াল লিখন
স্পেনের বার্সেলোনায় ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে এই গ্র্যাফিটির উদয়: চোয়াড়ে চেহারার এক গুণ্ডা প্রকৃতির মানুষ৷ সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে ‘অর্ধেক পৃথিবী নির্বাক’, লিখেছিলেন স্প্যানিশ দৈনিক ‘এল পাইস’-এর এক কলামনিস্ট৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Lago
গুয়ের মাছি
পথশিল্পী হানস্কি যখন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কার্টুনটি আঁকেন, ট্রাম্প তখনো রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাননি৷ নিউইয়র্কের লোয়ার ইস্ট সাইডের একটি শপিং এলাকার দেয়ালে স্প্রে করে ছবিটি আঁকা হয় ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে৷
ছবি: picture-alliance/abaca/Van Tine Dennis
ধর্মের নামে
গাডো আফ্রিকার সবচেয়ে বিখ্যাত কার্টুনিস্টদের অন্যতম৷ ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনি প্রচারণায় বলেছিলেন, ‘‘আমি খ্রিষ্টধর্মের ঐতিহ্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি৷’’ তাই গাডো তাঁর কার্টুনে দেখিয়েছেন, ট্রাম্প কিভাবে মুসলিমদের ক্রুশবিদ্ধ করছেন৷