1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প ‘অযোগ্য' ও ‘অক্ষম'

৮ জুলাই ২০১৯

ট্রাম্প প্রশাসন সম্পর্কে ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের মূল্যায়ন ফাঁস হয়ে যাওয়ায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উপর চাপ পড়ছে৷ ট্রাম্প নিজে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷ ব্রিটেন ঘটনার তদন্ত করছে৷

USA Präsident Donald Trump auf dem Morristown Municipal Airport in Morristown
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Balce Ceneta

দুই দেশের মধ্যে সমসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে দূতাবাস তথা রাষ্ট্রদূতদের বড় ভূমিকা রাখে৷ কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে তাঁরা সাধারণত প্রকাশ্যে কোনোরকম বিতর্কিত মন্তব্য করেন না৷ তবে পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজেদের আন্তরিক মূল্যায়ন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠানোও তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ ঠিক সেই কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত৷ট্রাম্প প্রশাসন সম্পর্কে তাঁর খোলামেলা মূল্যায়ন ফাঁস হয়ে যাওয়ায় দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে৷ স্বয়ং ট্রাম্প নিজে বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷ ব্রিটেনে আগামী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের সময়ে এমন ঘটনা বিষয়টি আরও জটিল করে তুলছে৷ সে দেশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷

২০১৭ থেকে এখনো পর্যন্ত ওয়াশিংটেন ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কিম ড্যারক লন্ডনে একাধিক মেমো পাঠিয়েছেন৷ তারই কিছু অংশ ফাঁস হয়ে গেছে৷ ‘দ্য মেল অন সানডে' সংবাদপত্র সেই সব মেমো থেকে নানা উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে৷ ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই দাবি অস্বীকার করে নি৷ ড্যারক লিখেছেন, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও সামগ্রিকভাবে হোয়াইট হাউস অযোগ্য এবং একেবারেই কার্যকর নয়৷ এমনটা আগে কখনো দেখা যায় নি৷ হোয়াইট হাউসের মধ্যে অন্তর্কলহ ও অরাজকতা সম্পর্কে একাধিক প্রতিবেদনকেও সত্য বলে মনে করেন ড্যারক৷ ব্যক্তি হিসেবেও ট্রাম্প নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং আসলে অক্ষম৷ তাঁর মূল্যায়ন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকাল কার্যত ভেঙে পড়তে চলেছে এবং কলঙ্কের মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটবে৷

রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন৷ তাঁর মতে, রাষ্ট্রদূত হিসেবে কিম ড্যারক ভালো করে ব্রিটেনের সেবা করেন নি৷ ট্রাম্প আরও বলেন, তাঁর প্রশাসন ও তিনি মোটেই রাষ্ট্রদূতের অনুরাগী নন৷

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী জেরেমি হান্ট রাষ্ট্রদূত ড্যারক-এর মন্তব্য মেনে না নিলেও কোনো রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা ও দায়িত্ব ব্যাখ্যা করেন৷ তাঁর মতে, অকপট রিপোর্ট ও ব্যক্তিগত মূল্যায়ন পাঠানো যে কোনো রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ তবে সেগুলি একান্তভাবে তাঁরই মতামত৷ হান্ট বলেন, ড্যারক-এর মূল্যায়ন ব্রিটেনের সরকার বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতামত নয়৷ তাঁর মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসন অত্যন্ত কর্মক্ষম এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্রিটেনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু৷

এসবি/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ