1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ট্রাম্প অ্যামেরিকায় কার্যত হত্যালীলায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন'

৮ আগস্ট ২০১৯

সপ্তাহান্তে হত্যালীলার পর অ্যামেরিকার দুটি শহরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সমবেদনা জানালেন৷ বিক্ষোভকারী ও বিরোধীরা তাঁর বিভাজনমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে এখনো সোচ্চার রয়েছেন৷

এল পাসো শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/AP Images/AP Photo/E. Vucci

গত সপ্তাহান্তে পর পর দুটি শহরে বন্দুকবাজদের হামলায় নিরীহ মানুষের মৃত্যু অ্যামেরিকার মতো হিংসায় অভ্যস্ত দেশকেও নাড়িয়ে দিয়েছে৷ বিশেষ করে এল পাসো শহরে সন্ত্রাসী হামলার পেছনে বর্ণবাদ ও শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যে বিশ্বাসী আততায়ীর ভূমিকা নিয়ে প্রবল বিতর্ক চলছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে এই দুই হামলার নিন্দা ও দেশে ঐক্যের কথা বলেছেন৷ বুধবার তিনি সমবেদনা জানাতে ওহায়ো রাজ্যের ডেটন ও টেক্সাস রাজ্যের এল পাসো শহর সফর করেন৷ কিন্তু তাঁর উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ সমালোচকদের দাবি, অতীতে তিনি বার বার বর্ণবাদ ও শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যের প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়ে সংকীর্ণ ভাবাদর্শ ছড়াতে সাহায্য করেছেন৷

এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে এমনকি সফররত সাংবাদিকেরাও সারাদিন ট্রাম্প-এর বেশি দেখা পাননি৷ কার্যত লোকচক্ষুর অন্তরালে ট্রাম্প হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান ও নিহতদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করেন৷ ডেটন শহরে হাসপাতালের বাইরে প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারী ট্রাম্প-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান৷ তাঁরা বর্ণবাদ ও রাজনৈতিক উত্তেজনায় ইন্ধন জোগানোর বিরুদ্ধে এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন৷ এল পাসো শহরে বিক্ষোভকারীরা ‘রেসিস্ট গো হোম' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রেসিডেন্টের গাড়িবহরের পথে উপস্থিত ছিলেন৷

কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে একমাত্র প্রেসিডেন্টের নিজস্ব টুইটের মাধ্যমে তাঁর সফরের কিছু সরাসরি খণ্ডচিত্র উঠে এসেছে৷ একটি ছবিতে ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়াকে হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে৷ হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর একটি ছবি দেখা গেছে৷ সংবাদ মাধ্যমে ‘ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবর সত্ত্বেও তাঁর সফর যথেষ্ট সফল হয়েছে বলে ট্রাম্প দাবি করেন৷

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশ্যাম বিতর্কিত মন্তব্য করে এই সফরকে ঘিরে আরও বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন৷ ডেটন শহরে ডেমোক্র্যাট দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতকে প্রথমে ‘উষ্ণতায় ভরা' হিসেবে বর্ণনা করলেও পরে তিনি এক টুইট বার্তায় তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন৷ শহরের সংসদ সদস্য শেরড ব্রাউন ও মেয়র ন্যান হোয়েলি প্রেসিডেন্টের সফরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সমালোচনা করেন৷ বিশেষ করে বর্ণবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্প-এর বিভাজনমূলক কথাবার্তার সমালোচনা করেন ব্রাউন৷ তবে প্রেসিডেন্টকে যথেষ্ট উষ্ণতার সঙ্গে শহরে স্বাগত জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন৷ গ্রিশ্যাম এমন পরিস্থিতিতে দলীয় রাজনীতিকে হাতিয়ার করার প্রচেষ্টার সমালোচনা করেন৷

বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় পর্যায়ের নেতারাও আবার প্রেসিডেন্টের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন৷ প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর উসকানিমূলক কথাবার্তা ও বর্ণবাদী আক্রমণের মাধ্যমে অ্যামেরিকায় কার্যত হত্যালীলায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন৷ ফলে এমন সংকটের সময়েও তিনি নৈতিক নেতৃত্ব দেবার যোগ্য নন৷

এসবি/কেএম (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ